alt

জাতীয়

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আমাদের দায়িত্ব, ভারতের কিছু বলার দরকার নেই : বিবিসিকে নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক : শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

অন্তর্র্বতী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। এ নিয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই।

বিবিসি হিন্দিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে নাহিদ সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি, তাদের নিরাপত্তা প্রদান এবং ভারত–বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়ে ভারত বারবার কথা বলছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন— এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, এখানকার সংখ্যালঘুরা আমাদের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এ নিয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই। যা নিয়ে ভারতের বলা প্রয়োজন, তা হলো গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারত কী ধরনের সাহায্য করতে পারে? এ নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন। আরও বলতে চাই, ভারতীয় গণমাধ্যম আমাদের সরকারকে নিয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। ভারতের উচিত এ বিষয়ে একটি সীমা টানা। আমরা চাই, তথ্যের ভিত্তিতে আলোচনা হোক এবং সম্পর্ক উন্নয়নের প্রশ্নেও আলোচনা হোক।

জুলাই–আগস্ট গণহত্যা নিয়ে ভারতের অবস্থান পরিষ্কার করা দিয়ে কী বোঝাতে চাচ্ছেন— এ প্রশ্নের উত্তরে নাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগ জুলাই-আগস্টে যে গণহত্যা ঘটিয়েছে, সেটি ভারত কীভাবে দেখে, তা ভারত এখনো স্পষ্ট করেনি। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ভারত এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি। উপরন্তু, যার (শেখ হাসিনা) ওপর এ ঘটনার দায় বর্তায়, ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে।

এর মানে কি এই যে ভারত বাংলাদেশে সংঘটিত খুনখারাবিকে এড়িয়ে যাচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা স্বজন হারিয়েছেন, ভারত যদি তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ সেটিকে ইতিবাচকভাবে নেবে। আমি চাই, ভারত আমাদের সহায়তা করুক, যেন গণহত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

সংখ্যালঘুদের নির্যাতন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, এখানে যা কিছু হয়েছে, তা আমাদের নজরে আছে। মানুষের যে কষ্ট হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। এও মনে রাখতে হবে, যদি সময়মতো (গণঅভ্যুত্থানের পরপর) ব্যবস্থা না নেওয়া হতো, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো।

দুর্গাপূজার প্রসঙ্গ টেনে উপদেষ্টা বলেন, বলা হচ্ছিল, আরও সহিংসতা হবে। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করি। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপিত হয়। আমাদের সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলেছে, আশ্বস্ত করেছে। তারাও এতে আশ্বস্ত হয়েছেন।

সংখ্যালঘুরা বলছেন, কথা হয়েছে; কিন্তু পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি- এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো বলব, অন্য কোনো সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেনি, যা আমরা গত তিন মাসে করেছি। আগের সরকারগুলো এ নিয়ে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে। তাদের ওপর থেকে সংখ্যালঘুদের আস্থা কমে গিয়েছিল। আমাদের এসব ঠিক করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি, তাদের কিছু বিষয় আছে, যা এখনই সমাধান হওয়ার নয়। এজন্য আমাদের সময় দিতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর কিছু উগ্র ও কট্টরপন্থী সংগঠনের তৎপরতা বাড়তে পারে। এ কারণে শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতের নিরাপত্তারও সমস্যা হতে পারে, প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো কোনো সহিংসতা বা উগ্রবাদী সংগঠনকে সমর্থন করে না। বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক সরকার চায়।

তিনি বলেন, আপনি যা বলছেন, তা আওয়ামী লীগের প্রচার করা অসত্য বয়ান। তারা বলত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর তৎপরতা বেড়ে যাবে। এসব বলে বলে তারা এত বছর বাংলাদেশ শাসন করেছে। ভারতও এ বয়ান সমর্থন করে। প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারে থাক বা না থাক, এ দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে কেন প্রভাব পড়বে?

তিনি বলেন, এর মানে হলো, ভারত এ দেশের মানুষের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে এ প্রশ্ন উঠত না। যেমন— আমরা দেখি না ভারতে কে ক্ষমতায়, বিজেপি নাকি কংগ্রেস। সে রকমই এখানেও হওয়া উচিত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে না নেই, সে প্রশ্ন থাকা উচিত নয়।

ভারত সরকার বলছে, ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে সড়ক, নৌ বা রেল যোগাযোগের প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে এগুলো থেকে কে সুবিধা পাবে, আওয়ামী লীগ নাকি বাংলাদেশের জনগণ? জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমি শুধু এটিই বলব, বিষয়গুলো আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে না দেখাই উচিত। আমরা দুই দেশ একে অপরকে সঙ্গ দিলে উভয়ের কল্যাণকর কাজ করা সম্ভব। আমরা কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করিনি। কোনো প্রকল্পও বন্ধ করিনি। সবকিছু আগের মতোই চলছে।

বিনিয়োগ পর্যালোচনা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে অন্তর্র্বতী সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, হ্যাঁ, আমরা প্রকল্পগুলোর সমীক্ষা করছি। তবে শুধু ভারতের সঙ্গে নয়, সব দেশের সঙ্গে থাকা প্রকল্পগুলোর সমীক্ষা করছি। এটি দেখার চেষ্টা করছি যে, প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতি হয়েছিল কি না, কিংবা বাংলাদেশের জন্য উপকারী নয়, এমন কিছু এর মধ্যে আছে কি না।

পদ ফেরত চান অপসারিত উপজেলা চেয়ারম্যানরা

ছবি

বড় জমায়েত নিয়ে কাকরাইলে জুমা আদায় করলেন সাদপন্থিরা

ভারতে বসে হাসিনার বক্তব্য-বিবৃতিতে অসন্তুষ্ট ঢাকা

কপ২৯ : জলবায়ু অর্থায়ন ও ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর প্রত্যাশা

ছবি

বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী আজারবাইজান, স্থাপন করতে চায় দূতাবাস

ছবি

আরিচাঘাটে ড্রেজার পাইপে রহস্যজনক আগুন, কোটি টাকার ক্ষতি

ছবি

হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর একটা দিনও একজন সমন্বয়ককে দেখি নাই: আন্দোলনে আহত সাইফুল

ছবি

‘কুইক রেন্টাল’ এর বিশেষ দায়মুক্তির দুটি ধারা অবৈধ ও বেআইনি : হাইকোর্ট

ছবি

শিবালয়ে বিআইডব্লিউটিএ,র ড্রেজারের ভাসমান পাইপে রহশ্যজনক আগুন, ৫ কোটি টাকা ক্ষতি

ছবি

উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে হেনস্তার ঘটনায় জেনেভা দূতাবাসের কাউন্সেলর কামরুল ‘স্ট্যান্ড রিলিজ’

ছবি

আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ সোহরাওয়ার্দী কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহর মৃত্যু

ছবি

সংস্কারের গতিই ঠিক করে দেবে, নির্বাচন কত দ্রুত হবে: এএফপিকে প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

আজারবাইজানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

কার্বন নিঃসরণ কমাতে নতুন জোট ‘জি জিরো’ গঠন

ছবি

কুইক রেন্টাল : দায়মুক্তির বিধান অবৈধ ঘোষণা করল উচ্চ আদালত

ছবি

সংবিধান থেকে ‘জাতির পিতা’ ও ধর্মনিরপেক্ষতা বাদ দেওয়ার প্রস্তাব অ্যাটর্নি জেনারেলের

ছবি

নভেম্বরে ‘১০ দিনে ১৩শ’ আইন কর্মকর্তা নিয়োগ

ছবি

নতুন উপদেষ্টাদের বিষয়ে জনগণের মনোভাব খতিয়ে দেখার আশ্বাস মাহফুজ আলমের

ছবি

বাংলাদেশের সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বান

নেপালের জলবিদ্যুতের জন্য ‘দক্ষিণ এশীয় গ্রিড’ চান ইউনূস

ছবি

কপ২৯ এর তৃতীয় দিনেও নেই কোনো দৃশ্যমান অর্জন

ছবি

গাজীপুরে দফায় দফায় শ্রমিক বিক্ষোভ, সড়ক অবরোধ

ছবি

সব আহতকে ‘না দেখেই’ ফিরছিলেন, তোপের মুখে স্বাস্থ্য উপদেষ্টা, গাড়ি আটকে বিক্ষোভ

ছবি

জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় ‘নতুন সভ্যতার’ ডাক প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

৫ বছর ধরে ছয় রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল বন্ধ, ৯টি চলছে জোড়াতালি দিয়ে

ছবি

জুলাই গণহত্যার ১০০তম দিনে শহীদি স্মৃতিকথাঃ কান্দে আমার মায়

বিপ্লবের ১০০ তম দিন উপলক্ষ্যে শহীদ ও আহতদের নিয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন এর কর্মসূচি

ছবি

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেই হবে বইমেলা: সংস্কৃতি উপদেষ্টা

ছবি

শিল্পকলার সামনে পথনাটক করে প্রতিবাদ ও নিরাপত্তা চাইবে নাট্যকর্মীরা

ছবি

নেপাল ও ভুটানের উৎপাদিত জলবিদ্যুতের জন্য ‘দক্ষিণ এশীয় গ্রিড’ চান ইউনূস

ছবি

সেনাবাহিনী কত দিন মাঠে থাকবে সে সিদ্ধান্ত সরকারের

ছবি

টেকসই পৃথিবীর জন্য ভিন্নধারার সভ্যতা গড়ে তুলতে হবে : ড. ইউনূস

ছবি

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার গাড়ির ওপর উঠে গেল আহতরা

ঢালাও ভাবে প্রেস অ্যাক্রিডিটেশন বাতিল সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার অন্তরায় : সম্পাদক পরিষদ

ছবি

জিয়াউল আহসানকে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিল ট্রাইব্যুনাল

কপ২৯ : দীর্ঘ সময় পেরিয়ে কার্বন ক্রেডিট বাণিজ্য অনুমোদিত

tab

জাতীয়

সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা আমাদের দায়িত্ব, ভারতের কিছু বলার দরকার নেই : বিবিসিকে নাহিদ ইসলাম

নিজস্ব বার্তা পরিবেশক

শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

অন্তর্র্বতী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তার দায়িত্ব আমাদের। এ নিয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই।

বিবিসি হিন্দিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) প্রকাশিত ওই সাক্ষাৎকারে নাহিদ সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি, তাদের নিরাপত্তা প্রদান এবং ভারত–বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন।

বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার বিষয়ে ভারত বারবার কথা বলছে। বিষয়টি কীভাবে দেখছেন— এমন প্রশ্নের উত্তরে উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম বলেন, এখানকার সংখ্যালঘুরা আমাদের নাগরিক। তাদের নিরাপত্তা দেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এ নিয়ে ভারতের কিছু বলার দরকার নেই। যা নিয়ে ভারতের বলা প্রয়োজন, তা হলো গত জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণহত্যা।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ভারত কী ধরনের সাহায্য করতে পারে? এ নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন। আরও বলতে চাই, ভারতীয় গণমাধ্যম আমাদের সরকারকে নিয়ে ভুল সংবাদ প্রচার করে যাচ্ছে। ভারতের উচিত এ বিষয়ে একটি সীমা টানা। আমরা চাই, তথ্যের ভিত্তিতে আলোচনা হোক এবং সম্পর্ক উন্নয়নের প্রশ্নেও আলোচনা হোক।

জুলাই–আগস্ট গণহত্যা নিয়ে ভারতের অবস্থান পরিষ্কার করা দিয়ে কী বোঝাতে চাচ্ছেন— এ প্রশ্নের উত্তরে নাহিদ বলেন, আওয়ামী লীগ জুলাই-আগস্টে যে গণহত্যা ঘটিয়েছে, সেটি ভারত কীভাবে দেখে, তা ভারত এখনো স্পষ্ট করেনি। কয়েকটি দেশ বাংলাদেশের জনগণের পাশে থাকার কথা জানিয়েছে। কিন্তু ভারত এ বিষয়ে কোনো কথা বলেনি। উপরন্তু, যার (শেখ হাসিনা) ওপর এ ঘটনার দায় বর্তায়, ভারত তাকে আশ্রয় দিয়েছে।

এর মানে কি এই যে ভারত বাংলাদেশে সংঘটিত খুনখারাবিকে এড়িয়ে যাচ্ছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, যারা স্বজন হারিয়েছেন, ভারত যদি তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ সেটিকে ইতিবাচকভাবে নেবে। আমি চাই, ভারত আমাদের সহায়তা করুক, যেন গণহত্যাকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

সংখ্যালঘুদের নির্যাতন নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, এখানে যা কিছু হয়েছে, তা আমাদের নজরে আছে। মানুষের যে কষ্ট হয়েছে, সে সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল। এও মনে রাখতে হবে, যদি সময়মতো (গণঅভ্যুত্থানের পরপর) ব্যবস্থা না নেওয়া হতো, তাহলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো।

দুর্গাপূজার প্রসঙ্গ টেনে উপদেষ্টা বলেন, বলা হচ্ছিল, আরও সহিংসতা হবে। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করি। শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদযাপিত হয়। আমাদের সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কথা বলেছে, আশ্বস্ত করেছে। তারাও এতে আশ্বস্ত হয়েছেন।

সংখ্যালঘুরা বলছেন, কথা হয়েছে; কিন্তু পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি- এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তো বলব, অন্য কোনো সরকার সংখ্যালঘুদের সঙ্গে এত ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেনি, যা আমরা গত তিন মাসে করেছি। আগের সরকারগুলো এ নিয়ে শুধু রাজনৈতিক ফায়দা নিয়েছে। তাদের ওপর থেকে সংখ্যালঘুদের আস্থা কমে গিয়েছিল। আমাদের এসব ঠিক করতে হবে। আমরা চেষ্টা করছি, তাদের কিছু বিষয় আছে, যা এখনই সমাধান হওয়ার নয়। এজন্য আমাদের সময় দিতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকারের বিদায়ের পর কিছু উগ্র ও কট্টরপন্থী সংগঠনের তৎপরতা বাড়তে পারে। এ কারণে শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারতের নিরাপত্তারও সমস্যা হতে পারে, প্রশ্নকর্তার প্রশ্নের জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো কোনো সহিংসতা বা উগ্রবাদী সংগঠনকে সমর্থন করে না। বাংলাদেশের মানুষ গণতান্ত্রিক সরকার চায়।

তিনি বলেন, আপনি যা বলছেন, তা আওয়ামী লীগের প্রচার করা অসত্য বয়ান। তারা বলত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে উগ্রবাদী সংগঠনগুলোর তৎপরতা বেড়ে যাবে। এসব বলে বলে তারা এত বছর বাংলাদেশ শাসন করেছে। ভারতও এ বয়ান সমর্থন করে। প্রশ্ন হলো, বাংলাদেশে আওয়ামী লীগ সরকারে থাক বা না থাক, এ দিয়ে ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে কেন প্রভাব পড়বে?

তিনি বলেন, এর মানে হলো, ভারত এ দেশের মানুষের সঙ্গে নয়, আওয়ামী লীগের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করেছিল। বাংলাদেশের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক থাকলে এ প্রশ্ন উঠত না। যেমন— আমরা দেখি না ভারতে কে ক্ষমতায়, বিজেপি নাকি কংগ্রেস। সে রকমই এখানেও হওয়া উচিত, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে না নেই, সে প্রশ্ন থাকা উচিত নয়।

ভারত সরকার বলছে, ভারত–বাংলাদেশের মধ্যে সড়ক, নৌ বা রেল যোগাযোগের প্রকল্পগুলো সম্পন্ন হলে এগুলো থেকে কে সুবিধা পাবে, আওয়ামী লীগ নাকি বাংলাদেশের জনগণ? জবাবে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমি শুধু এটিই বলব, বিষয়গুলো আওয়ামী লীগের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে না দেখাই উচিত। আমরা দুই দেশ একে অপরকে সঙ্গ দিলে উভয়ের কল্যাণকর কাজ করা সম্ভব। আমরা কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করিনি। কোনো প্রকল্পও বন্ধ করিনি। সবকিছু আগের মতোই চলছে।

বিনিয়োগ পর্যালোচনা নিয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে অন্তর্র্বতী সরকারের এ উপদেষ্টা বলেন, হ্যাঁ, আমরা প্রকল্পগুলোর সমীক্ষা করছি। তবে শুধু ভারতের সঙ্গে নয়, সব দেশের সঙ্গে থাকা প্রকল্পগুলোর সমীক্ষা করছি। এটি দেখার চেষ্টা করছি যে, প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে কোনো দুর্নীতি হয়েছিল কি না, কিংবা বাংলাদেশের জন্য উপকারী নয়, এমন কিছু এর মধ্যে আছে কি না।

back to top