# উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অব্যাহতি দেয়া কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্ন তুললেন
# প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ
স্বপদে বহালের জন্য একাট্টা হয়েছেন সারাদেশের স্বতন্ত্র উপজেলা চেয়ারম্যানরা। তাদের ভাষ্য, উপজেলা পরিষদ হচ্ছে গ্রামীণ জনগণের কেন্দ্রবিন্দু। মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে মাঠ প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সরকারের আদেশ বাস্তবায়ন করে থাকে নির্বাচিত উপজেলা প্রতিনিধিরা। সেক্ষেত্রে পতিত সরকারের কারণে গণহারে উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণ ‘খুবই দু:খজনক’। তারা স্বপদে বহালের জন্য প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্শন করেছেন।
গত ১০ নভেম্বর রাজধানীর ক্রাইম রিপার্টার্স এসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মলনে উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন বলেন, গত ৪ নভেম্বর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের উপদেষ্টা ও সচিব বরাবর আবেদন করা হয়। মিলন গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য অপসারিত চেয়ারম্যান।
স্থানীয় সরকার বিভাগ গত ১৪ আগস্ট সারাদেশের ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সাময়িকভাবে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করে।
১০ নভেম্বরের সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়, ২০২৪ সালের ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ‘নির্দলীয় ভিত্তিতে’ ৪টি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। অনেকগুলো উপজেলার মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়াতে নির্বাচন হয়নি। তাদের ভাষ্যঃ ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ের পর শপথ নিয়ে তারা উপজেলা পরিষদের কাজ শুরু করেন।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যানমোস্তাক আহমদ পলাশ বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ হচ্ছে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন সারা বাংলাদেশে স্বতন্ত্রভাবে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কোনো দলীয় প্রতীক ছিলো না। আমি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মান্যবর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মহোদয় কে অনুরোধ জানাই জনস্বার্থে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের বহাল করার জন্য।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে ‘প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়েই ব্যস্ত’ থাকেন। ‘ইচ্ছা করলেই’ জনগণের সাথে তাদের ‘গভীরতম’ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ‘হয় না’। যার ফলে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, রাষ্ট্র ও সরকার কর্তৃক নির্দেশিত সকল আদেশ বাস্তবায়নে ‘প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগ ও হ-য-ব-র-ল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে’।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দীর্ঘদিন প্রশাসক দিয়ে উপজেলা পরিষদে জনগণের সেবা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাদের অভিযোগ জনগণ প্রতিনিয়ত ‘ভোগান্তির শিকার’ হচ্ছে।
তারা বলেন, স্থানীয় সরকার উপজেলা পরিষদ আইনের বাইরে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সারাদেশের উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের (পুরুষ ও মহিলা) অব্যহতি দেয়া স্থানীয় মূল আইনের সাথে ‘সাংঘর্ষিক’।
তারা বলেন, সারা দেশে বিগত সরকারের আমলে দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পরিষদ বহাল আছে। আর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও মহানগর বিএনপি নেতা শপথ গ্রহণ করে মেয়র হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেছেন। আর সেখানে উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপসারনে তাদের প্রশ্ন, ‘এটা কি বৈষম্য নয়?’
তারা গণতন্ত্রের ভিতকে ‘শক্তিশালী’ করতে এবং তৃণমূল জনগণের ‘কল্যাণে’ সার্বিক বিবেচনায় উপজেলা পরিষদের ‘স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত’ প্রতিনিধিদের স্বপদে বহাল করার অনুরোধ জানান।
ওই সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে চাপাইনবাবগঞ্জের গনস্থাপুর উপজেলার মো:আশরাফ হোসেন (আলিম), নাটোর বাগাতিপাড়া উপজেলার মো:এ.এস. এম জাহাঙ্গীর হোসেন (মানিক), কক্সবাজার মহেশখালী উপজেলার মো: জয়নাম আবেদীনসহ একাধিক অপসারিত চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
# উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানদের অব্যাহতি দেয়া কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্ন তুললেন
# প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণ
স্বপদে বহালের জন্য একাট্টা হয়েছেন সারাদেশের স্বতন্ত্র উপজেলা চেয়ারম্যানরা। তাদের ভাষ্য, উপজেলা পরিষদ হচ্ছে গ্রামীণ জনগণের কেন্দ্রবিন্দু। মানুষের মৌলিক চাহিদা মেটাতে মাঠ প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে সরকারের আদেশ বাস্তবায়ন করে থাকে নির্বাচিত উপজেলা প্রতিনিধিরা। সেক্ষেত্রে পতিত সরকারের কারণে গণহারে উপজেলা চেয়ারম্যানদের অপসারণ ‘খুবই দু:খজনক’। তারা স্বপদে বহালের জন্য প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্শন করেছেন।
গত ১০ নভেম্বর রাজধানীর ক্রাইম রিপার্টার্স এসোসিয়েশনে এক সংবাদ সম্মলনে উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক চেয়ারম্যান ইজাদুর রহমান মিলন বলেন, গত ৪ নভেম্বর এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের উপদেষ্টা ও সচিব বরাবর আবেদন করা হয়। মিলন গাজীপুর সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য অপসারিত চেয়ারম্যান।
স্থানীয় সরকার বিভাগ গত ১৪ আগস্ট সারাদেশের ৪৯৫টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারদের সাময়িকভাবে আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করে।
১০ নভেম্বরের সংবাদ সম্মেলনে দাবী করা হয়, ২০২৪ সালের ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ‘নির্দলীয় ভিত্তিতে’ ৪টি ধাপে অনুষ্ঠিত হয়। অনেকগুলো উপজেলার মেয়াদ উত্তীর্ণ না হওয়াতে নির্বাচন হয়নি। তাদের ভাষ্যঃ ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র ভাবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ের পর শপথ নিয়ে তারা উপজেলা পরিষদের কাজ শুরু করেন।
ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার নির্বাচিত চেয়ারম্যানমোস্তাক আহমদ পলাশ বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ হচ্ছে গ্রামীণ জনপদের উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু। ষষ্ঠ উপজেলা নির্বাচন সারা বাংলাদেশে স্বতন্ত্রভাবে অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে কোনো দলীয় প্রতীক ছিলো না। আমি বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মান্যবর স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা ও স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মহোদয় কে অনুরোধ জানাই জনস্বার্থে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের বহাল করার জন্য।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসেবে ‘প্রশাসনিক কার্যক্রম নিয়েই ব্যস্ত’ থাকেন। ‘ইচ্ছা করলেই’ জনগণের সাথে তাদের ‘গভীরতম’ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা ‘হয় না’। যার ফলে স্থানীয় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম, রাষ্ট্র ও সরকার কর্তৃক নির্দেশিত সকল আদেশ বাস্তবায়নে ‘প্রতিনিয়ত জনদুর্ভোগ ও হ-য-ব-র-ল অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে’।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, দীর্ঘদিন প্রশাসক দিয়ে উপজেলা পরিষদে জনগণের সেবা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাদের অভিযোগ জনগণ প্রতিনিয়ত ‘ভোগান্তির শিকার’ হচ্ছে।
তারা বলেন, স্থানীয় সরকার উপজেলা পরিষদ আইনের বাইরে একটি অধ্যাদেশের মাধ্যমে সারাদেশের উপজেলা চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যানদের (পুরুষ ও মহিলা) অব্যহতি দেয়া স্থানীয় মূল আইনের সাথে ‘সাংঘর্ষিক’।
তারা বলেন, সারা দেশে বিগত সরকারের আমলে দলীয় প্রতীকে নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পরিষদ বহাল আছে। আর চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ও মহানগর বিএনপি নেতা শপথ গ্রহণ করে মেয়র হিসেবে কার্যক্রম শুরু করেছেন। আর সেখানে উপজেলা পরিষদের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপসারনে তাদের প্রশ্ন, ‘এটা কি বৈষম্য নয়?’
তারা গণতন্ত্রের ভিতকে ‘শক্তিশালী’ করতে এবং তৃণমূল জনগণের ‘কল্যাণে’ সার্বিক বিবেচনায় উপজেলা পরিষদের ‘স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচিত’ প্রতিনিধিদের স্বপদে বহাল করার অনুরোধ জানান।
ওই সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে চাপাইনবাবগঞ্জের গনস্থাপুর উপজেলার মো:আশরাফ হোসেন (আলিম), নাটোর বাগাতিপাড়া উপজেলার মো:এ.এস. এম জাহাঙ্গীর হোসেন (মানিক), কক্সবাজার মহেশখালী উপজেলার মো: জয়নাম আবেদীনসহ একাধিক অপসারিত চেয়ারম্যান উপস্থিত ছিলেন।