টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়, যা কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে। এ ঘটনায় দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে।
সাদপন্থীদের দাবি, কামারপাড়া থেকে স্লুইচ গেইট পর্যন্ত সড়কে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেওয়ার সময় রাত সাড়ে তিনটার দিকে জুবায়েরপন্থিরা তাদের দিকে ইটপাটকেল ও জলন্ত মশাল নিয়ে হামলা চালায়। অন্যদিকে জুবায়েরপন্থিরা অভিযোগ করেন, ইজতেমার মাঠে অবস্থানকালে রাত সাড়ে তিনটায় সাদপন্থীরা ছুরি, ক্ষুর, হাতুড়ি, ও ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
সাদপন্থীদের প্রতিনিধি মুফতি মু’আয বিন নূর দাবি করেন, “আমাদের সাথীরা সরকারের অনুমতি নিয়ে ইজতেমা মাঠে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু রাত সাড়ে তিনটার দিকে জুবায়েরপন্থিদের আক্রমণের শিকার হন।”
অন্যদিকে, জুবায়েরপন্থিদের নেতা মুফতি আমানুল হক অভিযোগ করেন, “সাদপন্থীরা একপক্ষীয়ভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে।”
মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা পালন করেন। এরপর মাওলানা সাদের অনুসারীরা ২০ ডিসেম্বর থেকে জোড় ইজতেমার ঘোষণা দিলে উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে। ১৩ ডিসেম্বর জুবায়েরপন্থিরা টঙ্গী-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে সাদের অনুসারীদের জোড় ইজতেমা করতে না দেওয়ার দাবি জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সংঘর্ষের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, “তাবলীগ একটি দ্বীনি ও ধর্মীয় ইস্যু। তাই উলামায়ে কেরামের মাধ্যমেই এ বিষয়ে মীমাংসা হওয়া উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “সাধারণ মুসলমানদের ধৈর্য ধরার এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানাই। দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে হবে।”
গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল করিম খান জানান, সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি হাবিব ইস্কান্দার বলেন, “মাওলানা জুবায়ের আহমদের অনুসারীরা ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করছিলেন। মাওলানা সাদের অনুসারীরা বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে থাকলে উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।” পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে। উভয় পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য প্রশাসন আহ্বান জানিয়েছে।
বুধবার, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪
টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা ময়দান দখলকে কেন্দ্র করে মাওলানা জুবায়ের ও মাওলানা সাদের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষে অন্তত তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাত ৩টার দিকে সংঘর্ষ শুরু হয়, যা কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে। এ ঘটনায় দুই পক্ষই একে অপরকে দোষারোপ করছে।
সাদপন্থীদের দাবি, কামারপাড়া থেকে স্লুইচ গেইট পর্যন্ত সড়কে ঘুমানোর প্রস্তুতি নেওয়ার সময় রাত সাড়ে তিনটার দিকে জুবায়েরপন্থিরা তাদের দিকে ইটপাটকেল ও জলন্ত মশাল নিয়ে হামলা চালায়। অন্যদিকে জুবায়েরপন্থিরা অভিযোগ করেন, ইজতেমার মাঠে অবস্থানকালে রাত সাড়ে তিনটায় সাদপন্থীরা ছুরি, ক্ষুর, হাতুড়ি, ও ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায়।
সাদপন্থীদের প্রতিনিধি মুফতি মু’আয বিন নূর দাবি করেন, “আমাদের সাথীরা সরকারের অনুমতি নিয়ে ইজতেমা মাঠে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। কিন্তু রাত সাড়ে তিনটার দিকে জুবায়েরপন্থিদের আক্রমণের শিকার হন।”
অন্যদিকে, জুবায়েরপন্থিদের নেতা মুফতি আমানুল হক অভিযোগ করেন, “সাদপন্থীরা একপক্ষীয়ভাবে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে আমাদের তিনজনকে হত্যা করা হয়েছে।”
মাওলানা জুবায়েরের অনুসারীরা গত ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনের জোড় ইজতেমা পালন করেন। এরপর মাওলানা সাদের অনুসারীরা ২০ ডিসেম্বর থেকে জোড় ইজতেমার ঘোষণা দিলে উত্তেজনার সূত্রপাত ঘটে। ১৩ ডিসেম্বর জুবায়েরপন্থিরা টঙ্গী-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক অবরোধ করে সাদের অনুসারীদের জোড় ইজতেমা করতে না দেওয়ার দাবি জানান।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ সংঘর্ষের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে লেখেন, “তাবলীগ একটি দ্বীনি ও ধর্মীয় ইস্যু। তাই উলামায়ে কেরামের মাধ্যমেই এ বিষয়ে মীমাংসা হওয়া উচিত।”
তিনি আরও বলেন, “সাধারণ মুসলমানদের ধৈর্য ধরার এবং ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখার আহ্বান জানাই। দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে হবে।”
গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার মো. নাজমুল করিম খান জানান, সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত তিনজন মারা গেছেন। টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি হাবিব ইস্কান্দার বলেন, “মাওলানা জুবায়ের আহমদের অনুসারীরা ইজতেমা ময়দানে অবস্থান করছিলেন। মাওলানা সাদের অনুসারীরা বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে মাঠে প্রবেশ করতে থাকলে উভয় পক্ষের মধ্যে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ ও পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।” পুলিশ ও সেনাসদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে। উভয় পক্ষকে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের জন্য প্রশাসন আহ্বান জানিয়েছে।