বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে জানলেও এই স্বীকৃতির কোনো দালিলিক প্রমাণ এতদিন ছিল না। অবশেষে সরকার গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করেছে।
গত ২৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত এই গেজেটের খবর বৃহস্পতিবার নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী নিশ্চিত করেন।
নজরুলের নাতনি খিলখিল কাজী এই ঘোষণায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “এটা ভীষণ আনন্দের সংবাদ। বহুদিনের দাবিটি বাস্তবায়িত হওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। যারা এই স্বীকৃতি বাস্তবায়নে কাজ করেছেন, তাদের প্রতি আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।”
২০২২ সালে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। পরে হাইকোর্ট রুল জারি করে এ বিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে বলে। আদালতের প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি হওয়ার পর গেজেট প্রকাশ করা হয়।
নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী জানান, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করেছি। এই স্বীকৃতি আমাদের সবার জন্যই একটি বড় অর্জন।”
গেজেটে কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ৪ মে তারিখ থেকে জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ওই দিনই অসুস্থ কবিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।
১৮৯৯ সালের ২৪ মে পশ্চিমবঙ্গের চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও মানবতাবাদী লেখক। তার রচিত গান ও কবিতা মুক্তিযুদ্ধে জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। ১৯২২ সালে তার বিখ্যাত কবিতা ‘বিদ্রোহী’ ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পায়।
১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
এতদিন নজরুলের নাম জাতীয় কবি হিসেবে শুধু কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইনে উল্লেখ ছিল। তবে এখন আনুষ্ঠানিক গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হলো।
বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে কাজী নজরুল ইসলামকে ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে জানলেও এই স্বীকৃতির কোনো দালিলিক প্রমাণ এতদিন ছিল না। অবশেষে সরকার গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে কাজী নজরুল ইসলামকে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা করেছে।
গত ২৪ ডিসেম্বর প্রকাশিত এই গেজেটের খবর বৃহস্পতিবার নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী নিশ্চিত করেন।
নজরুলের নাতনি খিলখিল কাজী এই ঘোষণায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, “এটা ভীষণ আনন্দের সংবাদ। বহুদিনের দাবিটি বাস্তবায়িত হওয়ায় আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। যারা এই স্বীকৃতি বাস্তবায়নে কাজ করেছেন, তাদের প্রতি আমাদের পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা জানাই।”
২০২২ সালে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে ঘোষণা দিয়ে গেজেট প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ আইনজীবী। পরে হাইকোর্ট রুল জারি করে এ বিষয়ে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জবাব দিতে বলে। আদালতের প্রক্রিয়া নিষ্পত্তি হওয়ার পর গেজেট প্রকাশ করা হয়।
নজরুল ইন্সটিটিউটের নির্বাহী পরিচালক লতিফুল ইসলাম শিবলী জানান, “আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিষয়টি নিয়ে গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করেছি। এই স্বীকৃতি আমাদের সবার জন্যই একটি বড় অর্জন।”
গেজেটে কাজী নজরুল ইসলামকে ১৯৭২ সালের ৪ মে তারিখ থেকে জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ওই দিনই অসুস্থ কবিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে বাংলাদেশে নিয়ে আসা হয়।
১৮৯৯ সালের ২৪ মে পশ্চিমবঙ্গের চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম নেওয়া কাজী নজরুল ইসলাম ছিলেন একাধারে কবি, সংগীতজ্ঞ, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার ও মানবতাবাদী লেখক। তার রচিত গান ও কবিতা মুক্তিযুদ্ধে জাতিকে অনুপ্রাণিত করেছিল। ১৯২২ সালে তার বিখ্যাত কবিতা ‘বিদ্রোহী’ ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে ব্যাপক পরিচিতি পায়।
১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত করা হয়।
এতদিন নজরুলের নাম জাতীয় কবি হিসেবে শুধু কবি নজরুল ইনস্টিটিউট আইনে উল্লেখ ছিল। তবে এখন আনুষ্ঠানিক গেজেট প্রকাশের মাধ্যমে নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হলো।