ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধানের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসানের ওপর হামলা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে দেয়া বক্তব্যের জেরে সভায় উপস্থিত একদল লোক তার ওপর হামলা করেছে। হামলার পর ফেইসবুক লাইভে এসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছিলেন ফারুক হাসান। পরে অবশ্য সেই ভিডিও মুছে ফেলেন তিনি। তবে এই হামলায় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্যরা জড়িত বলে অভিযোগ করেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধানের দাবিতে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক সংগঠন নাগরিক সমাবেশ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা ফারুক হাসান। একে একে শহীদ পরিবারের সদস্যদের বক্তব্যের পর তিনি তার বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘এই সরকারকে কোনোভাবেই মানা যায় না। যে সংবিধানকে ছুঁড়ে ফেলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে সেই সংবিধানকে কোনোভাবেই মানা যায় না।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আমরা কখনোই চাইনি; চেয়েছি বিপ্লবী সরকার। কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর হেডকোয়ার্টার বঙ্গভবন থেকে যেই অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে তা মানেন না বলে জানান তিনি।
এ সময় সভায় উপস্থিত কয়েকজন এসে মঞ্চে এসে ফারুকের সঙ্গে বাকবিত-ায় জড়ান। এরপর বক্তব্য শেষে নেমে যাওয়ার সময় কয়েকজন ব্যক্তি এসে ফারুক হাসানের সঙ্গে বাকবিত-ায় জড়ান এবং এক পর্যায়ে তার এবং সঙ্গীদের ওপর হামলা করেন। এ সময় কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধরা। এরপর ফারুককে ধাওয়া দিয়ে ঢাকা মেডিকেল অভিমুখী সড়ক পর্যন্ত নিয়ে যান এবং সেখানেও তাকে মারতে থাকেন তারা।
তবে হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করেছেন ফারুক। তিনি ঢামেক থেকে ফেইসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের একটি প্রোগ্রামে আমাকে স্পেশাল গেস্ট রেখেছিল। আমি অতিথি হিসেবে সেখানে গিয়ে আমার রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছি। সেখানে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা উপস্থিত ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি আমরা জুলাই-আগস্টের বিপ্লব করেছি একটি বিপ্লবী সরকারের জন্য। কোন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাই নাই। আমরা হাসিনার সংবিধান ছুড়ে ফেলে দিয়ে আমরা একটা বিপ্লব করেছি এবং এই বিপ্লবী সরকার না হওয়ার পিছনে তারাই দায়ী যারা ওই ৫ আগস্টে ক্যান্টনমেন্টে বৈঠক করেছেন আর্মির প্রধানের সঙ্গে। ঐদিনই মূলত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ফর্মুলাটি ওখান থেকে আসছে।’
ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা একটি বিপ্লবী জাতীয় সরকার চেয়েছিলাম। এই সরকার না হওয়ার কারণে আজকে সারা বাংলাদেশে যত বিশৃঙ্খলা, সংকট তৈরি হচ্ছে। সেই জায়গায় এই বক্তব্য শতভাগ সঠিক। সেটা নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমার ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে আমার অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে। আমার মানিব্যাগ মোবাইলসহ সব নিয়ে গিয়েছে।’ তবে লাইভ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ভিডিওটি মুছে ফেলেন ফারুক।
এই হামলায় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্যরা জড়িত বলে অভিযোগ করেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান। তিনি বলেন, ?‘কপালে ছুরি দিয়ে জখম করা হয়েছে ফারুককে। তাকে সেখানে অতিথি হিসেবে ডাকা হয়েছিল। তার ওপর যারা হামলা করেছে তারা জঙ্গি, নব্য গজিয়ে ওঠা বিপ্লবী। এরা ইউনূস সরকারের উপকার করতে আসে নাই ক্ষতি করতে এসেছে। ছাত্রদল নয় বরং হামলাকারী জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের ব্যক্তিরা।’
হামলাকারীদের দুই ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় আমরা শাহবাগ থানায় মামলা করেছি। ওসি বলেছেন, প্রয়োজনীয় তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হবে। তাই আমরা ডিসির কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এদের গ্রেপ্তার করা না হলে গণঅধিকারের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হলে আমাদের কিছু করার থাকবে না।’
জানতে চাইলে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির মজুমদার বলেছেন, ‘ফারুকের ওপর হামলার সঙ্গে আমাদের সংগঠনের কেউ জড়িত নয়। অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস এবং অন্তর্র্বর্তী সরকারের নানা সমালোচনা করেন ফারুক। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দরা ফারুকের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায়। এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত কয়েকজন ফারুকের ওপর হামলা করে।’
রোববার, ০৫ জানুয়ারী ২০২৫
ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধানের দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসানের ওপর হামলা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে দেয়া বক্তব্যের জেরে সভায় উপস্থিত একদল লোক তার ওপর হামলা করেছে। হামলার পর ফেইসবুক লাইভে এসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছিলেন ফারুক হাসান। পরে অবশ্য সেই ভিডিও মুছে ফেলেন তিনি। তবে এই হামলায় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্যরা জড়িত বলে অভিযোগ করেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বিকেলে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের আয়োজিত নাগরিক সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, ফ্যাসিবাদ বিলোপ ও নতুন সংবিধানের দাবিতে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ নামে নতুন একটি রাজনৈতিক সংগঠন নাগরিক সমাবেশ আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন গণঅধিকার পরিষদ নেতা ফারুক হাসান। একে একে শহীদ পরিবারের সদস্যদের বক্তব্যের পর তিনি তার বক্তব্যে অন্তর্বর্তী সরকারের কড়া সমালোচনা করে বলেন, ‘এই সরকারকে কোনোভাবেই মানা যায় না। যে সংবিধানকে ছুঁড়ে ফেলে শেখ হাসিনাকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়েছে সেই সংবিধানকে কোনোভাবেই মানা যায় না।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার আমরা কখনোই চাইনি; চেয়েছি বিপ্লবী সরকার। কিন্তু ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থা ‘র’ এর হেডকোয়ার্টার বঙ্গভবন থেকে যেই অন্তর্বর্তী সরকার এসেছে তা মানেন না বলে জানান তিনি।
এ সময় সভায় উপস্থিত কয়েকজন এসে মঞ্চে এসে ফারুকের সঙ্গে বাকবিত-ায় জড়ান। এরপর বক্তব্য শেষে নেমে যাওয়ার সময় কয়েকজন ব্যক্তি এসে ফারুক হাসানের সঙ্গে বাকবিত-ায় জড়ান এবং এক পর্যায়ে তার এবং সঙ্গীদের ওপর হামলা করেন। এ সময় কয়েকটি চেয়ার ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধরা। এরপর ফারুককে ধাওয়া দিয়ে ঢাকা মেডিকেল অভিমুখী সড়ক পর্যন্ত নিয়ে যান এবং সেখানেও তাকে মারতে থাকেন তারা।
তবে হামলার জন্য ছাত্রদলকে দায়ী করেছেন ফারুক। তিনি ঢামেক থেকে ফেইসবুক লাইভে এসে বলেন, ‘জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের একটি প্রোগ্রামে আমাকে স্পেশাল গেস্ট রেখেছিল। আমি অতিথি হিসেবে সেখানে গিয়ে আমার রাজনৈতিক বক্তব্য রেখেছি। সেখানে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা উপস্থিত ছিল।’
তিনি বলেন, ‘আমি বলেছি আমরা জুলাই-আগস্টের বিপ্লব করেছি একটি বিপ্লবী সরকারের জন্য। কোন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চাই নাই। আমরা হাসিনার সংবিধান ছুড়ে ফেলে দিয়ে আমরা একটা বিপ্লব করেছি এবং এই বিপ্লবী সরকার না হওয়ার পিছনে তারাই দায়ী যারা ওই ৫ আগস্টে ক্যান্টনমেন্টে বৈঠক করেছেন আর্মির প্রধানের সঙ্গে। ঐদিনই মূলত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ফর্মুলাটি ওখান থেকে আসছে।’
ফারুক হাসান বলেন, ‘আমরা একটি বিপ্লবী জাতীয় সরকার চেয়েছিলাম। এই সরকার না হওয়ার কারণে আজকে সারা বাংলাদেশে যত বিশৃঙ্খলা, সংকট তৈরি হচ্ছে। সেই জায়গায় এই বক্তব্য শতভাগ সঠিক। সেটা নিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা আমার ওপর অতর্কিত আক্রমণ চালিয়ে আমার অবস্থা খারাপ করে দিয়েছে। আমার মানিব্যাগ মোবাইলসহ সব নিয়ে গিয়েছে।’ তবে লাইভ শেষ হওয়ার কিছুক্ষণ পরই ভিডিওটি মুছে ফেলেন ফারুক।
এই হামলায় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্যরা জড়িত বলে অভিযোগ করেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান। তিনি বলেন, ?‘কপালে ছুরি দিয়ে জখম করা হয়েছে ফারুককে। তাকে সেখানে অতিথি হিসেবে ডাকা হয়েছিল। তার ওপর যারা হামলা করেছে তারা জঙ্গি, নব্য গজিয়ে ওঠা বিপ্লবী। এরা ইউনূস সরকারের উপকার করতে আসে নাই ক্ষতি করতে এসেছে। ছাত্রদল নয় বরং হামলাকারী জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের ব্যক্তিরা।’
হামলাকারীদের দুই ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আলটিমেটাম দিয়ে তিনি বলেন, ‘এই ঘটনায় আমরা শাহবাগ থানায় মামলা করেছি। ওসি বলেছেন, প্রয়োজনীয় তদন্ত করে বিষয়টি দেখা হবে। তাই আমরা ডিসির কাছে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়েছি। আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের গ্রেপ্তার করতে হবে। এদের গ্রেপ্তার করা না হলে গণঅধিকারের সঙ্গে কোনো ঝামেলা হলে আমাদের কিছু করার থাকবে না।’
জানতে চাইলে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির মজুমদার বলেছেন, ‘ফারুকের ওপর হামলার সঙ্গে আমাদের সংগঠনের কেউ জড়িত নয়। অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস এবং অন্তর্র্বর্তী সরকারের নানা সমালোচনা করেন ফারুক। এ সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দরা ফারুকের বক্তব্যের প্রতিবাদ জানায়। এক পর্যায়ে সেখানে উপস্থিত কয়েকজন ফারুকের ওপর হামলা করে।’