alt

সম্পাদকীয়

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

: সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫

বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে মাটি কেটে ভবনের ভিটি ভরাটের জন্য বিশাল গর্ত তৈরি করা হয়েছে, যা প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে যে, প্রধান শিক্ষক আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এই অনুমতি দিয়েছেন। যদি এই অভিযোগ সত্য হয়, তবে এটি দায়িত্বহীনতা এক মন্দ দৃষ্টান্ত। শিক্ষকদের ভূমিকা শুধু পাঠদানেই সীমাবদ্ধ নয়; তাদের নৈতিক দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুরক্ষিত এবং উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করা।

প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুনে শুরু হলেও তা নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। এটি পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের ত্রুটির স্পষ্ট উদাহরণ। সময়সীমা বৃদ্ধি পাওয়ার পরও কাজ সম্পন্ন করতে তাড়াহুড়ো করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। স্কুল মাঠের মাটি ব্যবহার না করে বিকল্প উৎস থেকে ভরাটের মাটি সংগ্রহ করা যেত। কিন্তু সস্তা এবং সহজ উপায় খুঁজতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবনের মূল্যকে উপেক্ষা করা হয়েছে।

মাঠে ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য, ১৫ ফুট প্রস্থ এবং ৮-১০ ফুট গভীর গর্ত তৈরি করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা এবং চলাচলের জন্য বিপজ্জনক। অভিভাবকদের আশঙ্কা যথার্থ যে, যে কোনো সময় শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। এমন একটি জায়গা, যেখানে শিশুদের আনন্দের সঙ্গে নিরাপদে শিখতে এবং খেলতে দেয়া উচিত, সেটি এখন তাদের জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমরা বলতে চাই, মাঠ থেকে মাটি কাটার অনুমতি দেয়ার অভিযোগের তদন্ত করে দোষী ব্যক্তি এবং ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বিদ্যালয়ের মাঠ পুনর্নির্মাণ করে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। ভবিষ্যতে এমন প্রকল্পে সময়মতো এবং মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর তদারকির ব্যবস্থা থাকতে হবে।

নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে কাঁকড়া শিকার : সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে

যৌতুকের বলি : বৈশাখীর নির্মম পরিণতি ও আমাদের করণীয়

কেশবপুরে ওএমএস কর্মসূচির সংকট

শিক্ষক সংকট : প্রাথমিক শিক্ষার চ্যালেঞ্জ

নদীভাঙনের শিকার শিক্ষার্থীরা কোথায় যাবে?

আবারও অপহরণের ঘটনা : সমাধান কী

সারের কালোবাজারি বন্ধ করতে হবে

ভোটার তালিকা হালনাগাদ : কিছু প্রশ্ন

চায়নাদুয়ারী ও কারেন্টজাল ব্যবহার বন্ধে ব্যবস্থা নিন

পাহাড়-টিলা রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ জরুরি

জলমহাল দখল : জেলেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ

সাংবাদিকদের ওপর হামলা : মুক্ত গণমাধ্যমের জন্য হুমকি

শেরপুরের আলু চাষিদের সংকট

রেলের জমি রক্ষায় ব্যবস্থা নিন

চাঁদাবাজি থেকে বাজার ও সমাজের মুক্তি কোন পথে

বারোমাসি খালের দুর্দশা

এখনো কেন বিচারবহির্ভূত হত্যা

বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন

হরিপুর-চিলমারি তিস্তা সেতুর পাশে বালু তোলা বন্ধ করুন

ইটভাটা হোক পরিবেশবান্ধব

রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার সংকট : দ্রুত পদক্ষেপ জরুরি

পানি সংকটে হাইমচরের কৃষকদের হতাশা

ঢাবিতে আবাসন সমস্যা, অধিক ভোগান্তিতে নারী শিক্ষার্থীরা

কুষ্ঠ রোগ : চ্যালেঞ্জ ও করণীয়

জনবল সংকটে অচল আইসিইউ: জনস্বাস্থ্যের করুণ চিত্র

ঢাবি ও অধিভুক্ত সাত কলেজ : সমঝোতার পথেই সমাধান

নওগাঁয় মেনিনজাইটিস টিকা সংকট নিরসনে দ্রুত ব্যবস্থা নিন

হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণে দেরি কেন

জলবায়ু সংকট : শিশুদের শিক্ষা জীবনের জন্য বড় হুমকি

সয়াবিন তেলের সংকট : বাজার ব্যবস্থার দুর্বলতার প্রতিচ্ছবি

ভালুকার খীরু নদীর দূষণ বন্ধ করুন

নির্ধারিত মূল্যে ধান সংগ্রহ করা যাচ্ছে না কেন

লালপুরে ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতা

শীতে বিপর্যস্ত জনজীবন

আমতলীর ভ্যাকসিন সংকট দূর করুন

অতিরিক্ত সেচ খরচ: কৃষকের জীবনযাত্রায় বোঝা

tab

সম্পাদকীয়

স্কুল মাঠে মাটি কাটার অভিযোগ

সোমবার, ০৬ জানুয়ারী ২০২৫

বরগুনার আমতলী উপজেলার কুকুয়া ইউনিয়নের রায়বালা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নির্মাণকাজে দায়িত্বহীনতার অভিযোগ উঠেছে। বিদ্যালয়ের মাঠ থেকে মাটি কেটে ভবনের ভিটি ভরাটের জন্য বিশাল গর্ত তৈরি করা হয়েছে, যা প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীর জীবনের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি তৈরি করেছে। এ নিয়ে সংবাদ-এ বিস্তারিত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে যে, প্রধান শিক্ষক আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে এই অনুমতি দিয়েছেন। যদি এই অভিযোগ সত্য হয়, তবে এটি দায়িত্বহীনতা এক মন্দ দৃষ্টান্ত। শিক্ষকদের ভূমিকা শুধু পাঠদানেই সীমাবদ্ধ নয়; তাদের নৈতিক দায়িত্ব শিক্ষার্থীদের জন্য একটি সুরক্ষিত এবং উন্নত পরিবেশ নিশ্চিত করা।

প্রকল্পটি ২০২৩ সালের জুনে শুরু হলেও তা নির্ধারিত সময়ে শেষ হয়নি। এটি পরিকল্পনা এবং বাস্তবায়নের ত্রুটির স্পষ্ট উদাহরণ। সময়সীমা বৃদ্ধি পাওয়ার পরও কাজ সম্পন্ন করতে তাড়াহুড়ো করে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক এবং ঝুঁকিপূর্ণ। স্কুল মাঠের মাটি ব্যবহার না করে বিকল্প উৎস থেকে ভরাটের মাটি সংগ্রহ করা যেত। কিন্তু সস্তা এবং সহজ উপায় খুঁজতে গিয়ে শিক্ষার্থীদের জীবনের মূল্যকে উপেক্ষা করা হয়েছে।

মাঠে ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য, ১৫ ফুট প্রস্থ এবং ৮-১০ ফুট গভীর গর্ত তৈরি করা হয়েছে, যা শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা এবং চলাচলের জন্য বিপজ্জনক। অভিভাবকদের আশঙ্কা যথার্থ যে, যে কোনো সময় শিক্ষার্থীরা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। এমন একটি জায়গা, যেখানে শিশুদের আনন্দের সঙ্গে নিরাপদে শিখতে এবং খেলতে দেয়া উচিত, সেটি এখন তাদের জীবনের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আমরা বলতে চাই, মাঠ থেকে মাটি কাটার অনুমতি দেয়ার অভিযোগের তদন্ত করে দোষী ব্যক্তি এবং ঠিকাদারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। বিদ্যালয়ের মাঠ পুনর্নির্মাণ করে শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে হবে। ভবিষ্যতে এমন প্রকল্পে সময়মতো এবং মানসম্মত কাজ নিশ্চিত করার জন্য কার্যকর তদারকির ব্যবস্থা থাকতে হবে।

back to top