জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের রাজধানীর মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে নির্মনাধীন স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকায় সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিত ভাবে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। তাদের হামলায় নারী ও প্রকৌশলীসহ অনেকেই আহত হয়েছে।
এই ঘটনায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাইখ বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ৫০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আসামিরা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। বরং তারা উল্টো আবাসিক এলাকায় কর্মরত লোকজনকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। লুটপাট করছে।
গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে বলেছেন, পল্লবী থানা পুলিশ অভিযুক্তদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করছে না। পল্লবী থানা পুলিশ এখনও আগের মতো আচরণ করছেন ?
ঢাকা ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী পল্লবী থানার দায়ের করা অভিযোগে বলেছেন, মিরপুর-৯ নম্বর সেক্টরে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকজনের জন্য ১৫টি ১৪ তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবনের দ্বিতীয় প্রকল্পের (স্বপ্ননগর-২) নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানে ১৫শ ৬০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ চলছে।
গত ১৩ সেপ্টম্বর দুপুর ১২টার দিকে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অধিগ্রহণকৃত জমিতে সীমানা প্রাচীরসহ অন্যান্য কাজ করার সময় ৫০ জনের বেশি ব্যক্তি পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রকৌশলীর ওপর দেশীয় অস্ত্র, দা, কুড়াল, রাম দা, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্ট্রিকসহ অন্যান্য ধারালো ও ভোতা অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় আবাসিক এলাকার ফ্ল্যাট বরাদ্ধ পাওয়া মালিক, নারীসহ অনেকেই আহত হয়েছে। হামলার সময় নারীদের হাতের ঘড়ি, স্বর্ণের বেসলেট, নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। তারা ভিতরে ঢুকে-১২ নম্বর ভবনের থাই গ্লাসসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
তারা নির্মাণ সামগ্রী ও ৩ টন রোড লুট করে নিয়ে গেছে। এতে সরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাদের হামলায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ও স্বপ্ননগর-২ প্রকল্প আবাসিক এলাকার সীমানা প্রাচীরসহ অন্যান্য নির্মাণ ভবনের ক্ষতি সাধন করেছেন।
রাজধানীর পল্লবী থানার অদূরে দিনে-দুপুরে এই এই হামলা ও লুটের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। অথচ ২২ সেপ্টম্বর পল্লবী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সিনিয়র একজন কর্মকর্তারা সংবাদ প্রতিবেদককে জানান, থানায় অভিযোগ করার পরও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আসামিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা নির্মাণ শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আর সেখানে বসবাসকারিদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সরকারি সম্পদ রক্ষায় সন্দেহ ভাজনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এই সম্পর্কে পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মামলাটি এখনও তদন্ত পর্যায়ে আছে। কয়েকজনকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মামলা করার পর কেউ তদন্তে সহযোগীতা করেনি তাই বিলম্ব হচ্ছে। জমি নিয়ে বিরোধ আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এই সম্পর্কে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের একজন ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংবাদকে বলেন, আমরা মঙ্গলবারও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আর সম্পত্তি হলো গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অধিগ্রহণকৃত ও গেজেটেডভূক্ত।
যা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারের কপি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়েছে। সরকারি সম্পত্তির ক্ষতির স্থির চিত্র সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারী ২০২৫
জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের রাজধানীর মিরপুর ৯ নম্বর সেকশনে নির্মনাধীন স্বপ্ননগর আবাসিক এলাকায় সংঘবদ্ধ চক্র পরিকল্পিত ভাবে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে। তাদের হামলায় নারী ও প্রকৌশলীসহ অনেকেই আহত হয়েছে।
এই ঘটনায় জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী প্রকৌশলী কায়সার ইবনে সাইখ বাদী হয়ে পল্লবী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলায় অজ্ঞাত পরিচয়ের ৫০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। আসামিরা এখনও গ্রেপ্তার হয়নি। বরং তারা উল্টো আবাসিক এলাকায় কর্মরত লোকজনকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। লুটপাট করছে।
গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করে বলেছেন, পল্লবী থানা পুলিশ অভিযুক্তদের চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করছে না। পল্লবী থানা পুলিশ এখনও আগের মতো আচরণ করছেন ?
ঢাকা ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী পল্লবী থানার দায়ের করা অভিযোগে বলেছেন, মিরপুর-৯ নম্বর সেক্টরে স্বল্প ও মধ্যম আয়ের লোকজনের জন্য ১৫টি ১৪ তলা বিশিষ্ট আবাসিক ভবনের দ্বিতীয় প্রকল্পের (স্বপ্ননগর-২) নির্মাণ কাজ চলছে। সেখানে ১৫শ ৬০টি আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণের কাজ চলছে।
গত ১৩ সেপ্টম্বর দুপুর ১২টার দিকে কর্তৃপক্ষের নিজস্ব অধিগ্রহণকৃত জমিতে সীমানা প্রাচীরসহ অন্যান্য কাজ করার সময় ৫০ জনের বেশি ব্যক্তি পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে দায়িত্ব প্রাপ্ত প্রকৌশলীর ওপর দেশীয় অস্ত্র, দা, কুড়াল, রাম দা, চাইনিজ কুড়াল, হকিস্ট্রিকসহ অন্যান্য ধারালো ও ভোতা অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় আবাসিক এলাকার ফ্ল্যাট বরাদ্ধ পাওয়া মালিক, নারীসহ অনেকেই আহত হয়েছে। হামলার সময় নারীদের হাতের ঘড়ি, স্বর্ণের বেসলেট, নগদ টাকা লুট করে নিয়ে গেছে। তারা ভিতরে ঢুকে-১২ নম্বর ভবনের থাই গ্লাসসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।
তারা নির্মাণ সামগ্রী ও ৩ টন রোড লুট করে নিয়ে গেছে। এতে সরকারি সম্পত্তির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাদের হামলায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের ও স্বপ্ননগর-২ প্রকল্প আবাসিক এলাকার সীমানা প্রাচীরসহ অন্যান্য নির্মাণ ভবনের ক্ষতি সাধন করেছেন।
রাজধানীর পল্লবী থানার অদূরে দিনে-দুপুরে এই এই হামলা ও লুটের ঘটনা ঘটলেও পুলিশ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) পর্যন্ত সন্দেহভাজন অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। অথচ ২২ সেপ্টম্বর পল্লবী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও তদন্ত আলোর মুখ দেখেনি।
গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের সিনিয়র একজন কর্মকর্তারা সংবাদ প্রতিবেদককে জানান, থানায় অভিযোগ করার পরও পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আসামিরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তারা নির্মাণ শ্রমিকদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আর সেখানে বসবাসকারিদের মধ্যে হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও সরকারি সম্পদ রক্ষায় সন্দেহ ভাজনদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানিয়েছেন।
এই সম্পর্কে পল্লবী থানার ওসি নজরুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, মামলাটি এখনও তদন্ত পর্যায়ে আছে। কয়েকজনকে আটক ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। মামলা করার পর কেউ তদন্তে সহযোগীতা করেনি তাই বিলম্ব হচ্ছে। জমি নিয়ে বিরোধ আছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এই সম্পর্কে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের একজন ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সংবাদকে বলেন, আমরা মঙ্গলবারও পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। আর সম্পত্তি হলো গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের অধিগ্রহণকৃত ও গেজেটেডভূক্ত।
যা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এজাহারের কপি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারের কাছে পাঠানো হয়েছে। সরকারি সম্পত্তির ক্ষতির স্থির চিত্র সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে।