alt

জাতীয়

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্তে অভিমত নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার

সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র তৈরিতে সর্বদলীয় উদ্যোগ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের কাছ থেকে মতামত আহ্বান করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় সংলাপের ধারাবাহিকতায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঘোষণাপত্র চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে ২৩ জানুয়ারির মধ্যে মতামত পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল ও অংশীজনেরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ঠিকানায় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বরাবর এ মতামত জমা দিতে পারবেন।

সকল অভিমত পর্যালোচনা শেষে সংশোধিত ঘোষণাপত্র তৈরি করা হবে এবং তা জনগণের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহণ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়, যা আলোচনার জন্য রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সরবরাহ করা হয়েছিল।

খসড়ায় উল্লেখ করা হয়, ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন বা বাতিল করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ঘোষণাপত্র গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে বলে খসড়ায় বলা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিল। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি হয়।

প্রথমদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং বিষয়টি সরকার-সম্পৃক্ত নয় বলে উল্লেখ করলেও, পরে ৩০ ডিসেম্বর এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘোষণা দেয়, অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।

এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি তাদের ৩১ ডিসেম্বরের কর্মসূচি পরিবর্তন করে ঐক্যের জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে। ওই কর্মসূচি থেকে সরকারকে ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।

সর্বদলীয় সংলাপের মাধ্যমে ঘোষণাপত্রের খসড়া নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের অভিমত সংগ্রহ করে একটি সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হবে।

এর মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক ভিত্তি তৈরির চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে ১৯৭২ সালের সংবিধানের প্রসঙ্গ উত্থাপন এবং এর প্রয়োজনীয় সংশোধনের প্রস্তাব নতুন সম্ভাবনা ও বিতর্ক উভয়ের জন্ম দিয়েছে।

প্রাথমিক বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বিষয়টিকে ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন। তবে কিছু দল খসড়ার ভাষা এবং এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা জানিয়েছেন, ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়ায় সাধারণ মানুষের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটানো প্রয়োজন। অন্যদিকে, ছাত্র আন্দোলনের নেতারা দাবি করেছেন, ঘোষণাপত্রে তাদের সংগঠনের প্রস্তাবিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রাপ্ত মতামতগুলো যাচাই-বাছাই শেষে একটি সর্বজনগ্রাহ্য ও গ্রহণযোগ্য ঘোষণাপত্র তৈরি করা হবে। এরপর জনগণের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ঘোষিত হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ উদ্যোগ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে। তবে এটি কতটা সফল হবে, তা নির্ভর করছে ঘোষণাপত্রে সাধারণ মানুষের চাহিদা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষের দাবি যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্তির ওপর।

ছবি

লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৪৭ বাংলাদেশি

ছবি

বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ বিশ্বাস গ্রেপ্তার

ছবি

সাড়ে পাঁচ মাসে ৪০ মাজারে হামলার তথ্য পেয়েছে পুলিশ : প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর

ছবি

পদ্ধতিগত সংস্কার ছাড়া মানবাধিকার লঙ্ঘন থামবে না: হিউম্যান রাইটস ওয়াচ

ছবি

অবিবেচকভাবে ভ্যাট বাড়ানোয় আশ্চার্য হয়েছি : দেবপ্রিয়

ছবি

বিএফআইইউর সাবেক প্রধান মাসুদ গ্রেপ্তার

ছবি

পুলিশের বহরে যুক্ত হচ্ছে রাশিয়ান হেলিকপ্টার

ছবি

প্রতিদিন ফ্যাসিবাদ পুনরুৎপাদিত হচ্ছে, সতর্ক থাকতে বললেন সলিমুল্লাহ খান

ছবি

‘আদিবাসী’ শব্দ সরানো কর্তৃত্ববাদের এজেন্ডা বহাল রাখার ঘৃণ্য প্রয়াস: টিআইবি

ছবি

বাংলাদেশের জন্য পাঁচ বড় ঝুঁকি, শীর্ষে মূল্যস্ফীতি: ডব্লিউইএফ

ছবি

মায়ানমার থেকে এলো ২২ হাজার মেট্রিক টন চাল

ছবি

পুলিশের গুলিতেই মুগ্ধের মৃত্যু হয়েছে: স্নিগ্ধ

জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়ায় যা আছে

ছবি

ঘোষণাপত্র: আরও আলোচনা চান সবাই

ছবি

সুইজারল্যান্ড সফরে যাচ্ছেন প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

শেখ পরিবারের নামে থাকা ১৩ বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তন

ছবি

‘ঢাকা-দিল্লির চুক্তিগুলো ভারত প্রকাশ করলেও বাংলাদেশ করে না’

সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও বিচার দাবিতে ‘মার্চ ফর ফেলানী’ শুরু

ছবি

‘সংখ্যালঘু’ শিক্ষার্থীদের সমাবেশে হামলা, নিন্দা জানিয়ে বিচারের আশ্বাস প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের

ছবি

‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার’ মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ, ছত্রভঙ্গ

ছবি

পুলিশ সংস্কারে বিশেষায়িত দলের সুপারিশ

ছবি

‘আদিবাসী’ গ্রাফিতি বাদ: প্রতিবাদকারীদের ওপর হামলা

পুলিশের শক্তি প্রয়োগের সীমা নির্ধারণ চায় সংস্কার কমিশন

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতা, ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে নির্বাচন বাতিলের সুপারিশ

ছবি

বাংলাদেশের সাংবিধানিক নাম পরিবর্তন, তিন মূলনীতি বাদ, নতুন চার মূলনীতির সুপারিশ

এবার গণঅভ্যুত্থানের সনদ, তার ভিত্তিতেই নির্বাচন: ইউনূস

ছবি

‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ’ বদলে ‘জনগণতন্ত্রী বাংলাদেশ’ প্রস্তাব

ছবি

দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা ও প্রধানমন্ত্রীত্বের সীমা সংক্রান্ত সুপারিশ পেশ

ছবি

জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা ধরে রাখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

ডেসটিনি এমডি রফিকুলসহ ১৯ জনের ১২ বছরের কারাদণ্ড

ছবি

বাংলাদেশে সংস্কারের পথে নতুন যাত্রা: ফেব্রুয়ারিতে রাজনৈতিক সংলাপ শুরু

ছবি

নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন: রাষ্ট্র ও নির্বাচন ব্যবস্থায় পরিবর্তনের সুপারিশমালা

ছবি

নতুন বাংলাদেশ গঠনে সংবিধান সংস্কারের সুপারিশ

ছবি

ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে দুর্নীতিবিরোধী কৌশলপত্র প্রণয়নসহ ৪৭ দফা সুপারিশ

ছবি

সংবিধানে ৫ মূলনীতির সুপারিশ: বাদ ধর্মনিরপেক্ষতা, সমাজতন্ত্র ও জাতীয়তাবাদ

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে সরকার পরিবর্তনে আমাদের সম্পর্ক হোঁচট খাবে না : পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

tab

জাতীয়

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্তে অভিমত নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার

সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র তৈরিতে সর্বদলীয় উদ্যোগ

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের কাছ থেকে মতামত আহ্বান করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। গত বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত সর্বদলীয় সংলাপের ধারাবাহিকতায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ শনিবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ঘোষণাপত্র চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে ২৩ জানুয়ারির মধ্যে মতামত পাঠানোর আহ্বান জানানো হয়েছে। সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক দল ও অংশীজনেরা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের ঠিকানায় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বরাবর এ মতামত জমা দিতে পারবেন।

সকল অভিমত পর্যালোচনা শেষে সংশোধিত ঘোষণাপত্র তৈরি করা হবে এবং তা জনগণের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছে।

গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে সর্বদলীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহণ করেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতারাও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের একটি খসড়া প্রস্তুত করা হয়, যা আলোচনার জন্য রাজনৈতিক দল ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সরবরাহ করা হয়েছিল।

খসড়ায় উল্লেখ করা হয়, ১৯৭২ সালের সংবিধান প্রয়োজন অনুযায়ী সংশোধন বা বাতিল করার পরিকল্পনা রয়েছে। এ ঘোষণাপত্র গত বছরের ৫ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে বলে খসড়ায় বলা হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রকাশ করতে চেয়েছিল। এই উদ্যোগের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা সৃষ্টি হয়।

প্রথমদিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেস উইং বিষয়টি সরকার-সম্পৃক্ত নয় বলে উল্লেখ করলেও, পরে ৩০ ডিসেম্বর এক জরুরি প্রেস ব্রিফিংয়ে ঘোষণা দেয়, অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে।

এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি তাদের ৩১ ডিসেম্বরের কর্মসূচি পরিবর্তন করে ঐক্যের জন্য নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে। ওই কর্মসূচি থেকে সরকারকে ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।

সর্বদলীয় সংলাপের মাধ্যমে ঘোষণাপত্রের খসড়া নিয়ে প্রাথমিক আলোচনা সম্পন্ন হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানায়, অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের অভিমত সংগ্রহ করে একটি সর্বজনগ্রাহ্য ঘোষণাপত্র প্রণয়ন করা হবে।

এর মধ্য দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার একটি ঐক্যবদ্ধ রাজনৈতিক ভিত্তি তৈরির চেষ্টা করছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। বিশেষ করে ১৯৭২ সালের সংবিধানের প্রসঙ্গ উত্থাপন এবং এর প্রয়োজনীয় সংশোধনের প্রস্তাব নতুন সম্ভাবনা ও বিতর্ক উভয়ের জন্ম দিয়েছে।

প্রাথমিক বৈঠকে উপস্থিত রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বিষয়টিকে ইতিবাচক উদ্যোগ হিসেবে দেখছেন। তবে কিছু দল খসড়ার ভাষা এবং এর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতারা জানিয়েছেন, ঘোষণাপত্রের চূড়ান্ত খসড়ায় সাধারণ মানুষের অধিকার এবং গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটানো প্রয়োজন। অন্যদিকে, ছাত্র আন্দোলনের নেতারা দাবি করেছেন, ঘোষণাপত্রে তাদের সংগঠনের প্রস্তাবিত বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।

সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৩ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রাপ্ত মতামতগুলো যাচাই-বাছাই শেষে একটি সর্বজনগ্রাহ্য ও গ্রহণযোগ্য ঘোষণাপত্র তৈরি করা হবে। এরপর জনগণের উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ঘোষিত হবে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, এ উদ্যোগ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ইতিবাচক পরিবর্তনের সূচনা করতে পারে। তবে এটি কতটা সফল হবে, তা নির্ভর করছে ঘোষণাপত্রে সাধারণ মানুষের চাহিদা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক পক্ষের দাবি যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্তির ওপর।

back to top