রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধের জটিলতা সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দার খোজিন। দুই দেশ বিষয়টি সুরাহার জন্য ইতিবাচক আলোচনার পথেই রয়েছে বলে জানান তিনি।
আজ রোববার দুপুরে আলেক্সান্দার খোজিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ আশার কথা জানান। তিনি এর আগে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার পর রাষ্ট্রদূত আজ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করেন।
রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের বিষয়ে জানতে চাইলে নতুন রাষ্ট্রদূত খোজিন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য তৈরি। এটার যে সুরাহা হবে, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত। আমরা ইতিবাচক পথেই এগোচ্ছি। এই সংবেদনশীল ইস্যু নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনা হবে। তবে এটা নিয়ে আমি আগাম কোনো অনুমান করতে পারি না। এটুকু বলতে পারি যে লেনদেনের বিষয়টির সুরাহা হয়ে যাবে।’
রূপপুর প্রকল্পের খরচের জন্য বছরে বরাদ্দ করা মোট অর্থের ১০ শতাংশ দিতে হয় বাংলাদেশ সরকারকে। রূপপুর প্রকল্পে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। আর রাশিয়া থেকে ঋণসহায়তা হিসেবে আসছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ঋণের আসল পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও তাতে অগ্রগতি নেই।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার বিষয়ে তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
বাংলাদেশের লোকজনকে রাশিয়ার কোন কোন খাতে নিতে আগ্রহী, জানতে চাইলে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত কৃষি, জাহাজ নির্মাণ ও সেবা খাতের কথা উল্লেখ করেন। চুক্তি বা এমওইউ করার আগে রি–অ্যাডমিশন চুক্তি সই করতে হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘কেন করতে হবে জানেন! যাঁরা বাংলাদেশের কাজ করতে চান, তাঁদের সংখ্যা বাড়ছে। কাজেই দুই দেশের দিক থেকে প্রতিশ্রুতি পাওয়া জরুরি।’
বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় কর্মী নিয়োগের আগে রি–অ্যাডমিশন ও অন্যান্য শর্ত পূরণ করা বাধ্যতামূলক বা পূর্বশর্ত কি না, জানতে চাইলে আলেক্সান্দার খোজিন বলেন, তা তো বটেই।
রোববার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫
রূপপুরে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ঋণ পরিশোধের জটিলতা সমাধান হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত রাশিয়ার নতুন রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্দার খোজিন। দুই দেশ বিষয়টি সুরাহার জন্য ইতিবাচক আলোচনার পথেই রয়েছে বলে জানান তিনি।
আজ রোববার দুপুরে আলেক্সান্দার খোজিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ আশার কথা জানান। তিনি এর আগে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।
গত ৩০ ডিসেম্বর মোহাম্মদ শাহাবুদ্দীনের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার পর রাষ্ট্রদূত আজ পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে প্রথমবারের মতো দেখা করেন।
রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের ঋণ পরিশোধের বিষয়ে জানতে চাইলে নতুন রাষ্ট্রদূত খোজিন বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আমরা বাংলাদেশের অর্থ মন্ত্রণালয়ের যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য তৈরি। এটার যে সুরাহা হবে, সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত। আমরা ইতিবাচক পথেই এগোচ্ছি। এই সংবেদনশীল ইস্যু নিয়ে বিশেষজ্ঞদের মধ্যে আলোচনা হবে। তবে এটা নিয়ে আমি আগাম কোনো অনুমান করতে পারি না। এটুকু বলতে পারি যে লেনদেনের বিষয়টির সুরাহা হয়ে যাবে।’
রূপপুর প্রকল্পের খরচের জন্য বছরে বরাদ্দ করা মোট অর্থের ১০ শতাংশ দিতে হয় বাংলাদেশ সরকারকে। রূপপুর প্রকল্পে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ হাজার টাকা। আর রাশিয়া থেকে ঋণসহায়তা হিসেবে আসছে ৯১ হাজার ৪০ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ঋণের আসল পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব দিলেও তাতে অগ্রগতি নেই।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত জানান, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার বিষয়ে তিনি পররাষ্ট্র উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্রসচিবের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
বাংলাদেশের লোকজনকে রাশিয়ার কোন কোন খাতে নিতে আগ্রহী, জানতে চাইলে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত কৃষি, জাহাজ নির্মাণ ও সেবা খাতের কথা উল্লেখ করেন। চুক্তি বা এমওইউ করার আগে রি–অ্যাডমিশন চুক্তি সই করতে হবে বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘কেন করতে হবে জানেন! যাঁরা বাংলাদেশের কাজ করতে চান, তাঁদের সংখ্যা বাড়ছে। কাজেই দুই দেশের দিক থেকে প্রতিশ্রুতি পাওয়া জরুরি।’
বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় কর্মী নিয়োগের আগে রি–অ্যাডমিশন ও অন্যান্য শর্ত পূরণ করা বাধ্যতামূলক বা পূর্বশর্ত কি না, জানতে চাইলে আলেক্সান্দার খোজিন বলেন, তা তো বটেই।