বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে দুই ভাগ করার সুপারিশ করেছে সরকারের অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি। তবে এই সুপারিশের যৌক্তিকতা দেখছেন না বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানের হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
দুইদিন আগে বাংলাদেশ বিমানকে ‘অথর্ব’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানকে বিদেশি ব্যক্তি বা সংস্থার মাধ্যমে পরিচালনার প্রস্তাব আমলে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
গত সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণে গঠিত সরকারের টাস্কফোর্স কমিটির সংবাদ সম্মেলনে বিমানের সংস্কারের জন্য এটিকে দুই ভাগ করার সুপারিশ করা হয়। এর একটি অংশ বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালনার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মতামত জানাতে গিয়ে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, "আমি মনে করি, এর কোনো যৌক্তিকতা নেই। বিমানে কোনো অসুবিধা নেই। এখন অনলাইনেই বিমানের টিকেট কেনা যায়। আগে এজেন্টরা নানা রকম জটিলতা তৈরি করত, কিন্তু এখন সেই সমস্যা নেই। বর্তমানে যে টিকেট সংক্রান্ত অভিযোগ শোনা যায়, সেগুলো আমাদের বিমানের নয়, অন্যান্য এয়ারলাইন্সের।"
বিমান সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, "নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সি-চেক সম্পন্ন হয়েছে, যা আগে কখনো হয়নি। বিমানের সবাই মিলে কাজ করেছে বলেই এটি সম্ভব হয়েছে। এতে কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। যদি বিমান ভালোভাবে কাজ না করত, তাহলে এটি সম্ভব হতো না।"
বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, "বিমান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই কাজ করে আসছে। যদি বাইরের কেউ এসে বলে যে সে আমেরিকা বা দুবাই থেকে লোক এনে কাজ করাবে, সেটি ভিন্ন কথা। কিন্তু আমরা আমাদের লোক দিয়েই কাজ করতে পারি।"
এ বিষয়ে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর কোনো অভিযোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, "বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো কোনো অভিযোগ করেনি। এটা অহেতুক বিতর্ক। লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা ছিল, তবে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। আগে কিছু সমস্যা ছিল, সেটা অস্বীকার করব না। কিন্তু এখন আমাদের প্রত্যেক কর্মীকে বডি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ফলে এখন আর অনিয়ম করার সুযোগ নেই। কেউ অনিয়ম করলে সঙ্গে সঙ্গেই চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে।"
বাইরের এয়ারলাইন্সগুলোকেও বিমান সি-চেক সেবা দিতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমরা দেশের বাইরের এয়ারলাইন্সগুলোকেও সি-চেক সেবা দিতে পারব। ভবিষ্যতে আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করা হবে, যাতে মানুষ বিমানের ওপর আরও আস্থা পায়।"
বৃহস্পতিবার, ০৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সকে দুই ভাগ করার সুপারিশ করেছে সরকারের অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণে গঠিত টাস্কফোর্স কমিটি। তবে এই সুপারিশের যৌক্তিকতা দেখছেন না বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কুর্মিটোলায় বিমানের হ্যাঙ্গার কমপ্লেক্সে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।
দুইদিন আগে বাংলাদেশ বিমানকে ‘অথর্ব’ প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে সরকারি এই প্রতিষ্ঠানকে বিদেশি ব্যক্তি বা সংস্থার মাধ্যমে পরিচালনার প্রস্তাব আমলে নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।
গত সোমবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অর্থনৈতিক কৌশল পুনঃনির্ধারণে গঠিত সরকারের টাস্কফোর্স কমিটির সংবাদ সম্মেলনে বিমানের সংস্কারের জন্য এটিকে দুই ভাগ করার সুপারিশ করা হয়। এর একটি অংশ বিদেশি কোম্পানির মাধ্যমে পরিচালনার প্রস্তাব দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে মতামত জানাতে গিয়ে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী বলেন, "আমি মনে করি, এর কোনো যৌক্তিকতা নেই। বিমানে কোনো অসুবিধা নেই। এখন অনলাইনেই বিমানের টিকেট কেনা যায়। আগে এজেন্টরা নানা রকম জটিলতা তৈরি করত, কিন্তু এখন সেই সমস্যা নেই। বর্তমানে যে টিকেট সংক্রান্ত অভিযোগ শোনা যায়, সেগুলো আমাদের বিমানের নয়, অন্যান্য এয়ারলাইন্সের।"
বিমান সংস্কারে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, "নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় সি-চেক সম্পন্ন হয়েছে, যা আগে কখনো হয়নি। বিমানের সবাই মিলে কাজ করেছে বলেই এটি সম্ভব হয়েছে। এতে কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় হয়েছে। যদি বিমান ভালোভাবে কাজ না করত, তাহলে এটি সম্ভব হতো না।"
বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং সেবার সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, "বিমান প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এই কাজ করে আসছে। যদি বাইরের কেউ এসে বলে যে সে আমেরিকা বা দুবাই থেকে লোক এনে কাজ করাবে, সেটি ভিন্ন কথা। কিন্তু আমরা আমাদের লোক দিয়েই কাজ করতে পারি।"
এ বিষয়ে বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলোর কোনো অভিযোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, "বিদেশি এয়ারলাইন্সগুলো কোনো অভিযোগ করেনি। এটা অহেতুক বিতর্ক। লাগেজ হ্যান্ডলিংয়ে কিছু প্রযুক্তিগত সমস্যা ছিল, তবে আমরা অনেক উন্নতি করেছি। আগে কিছু সমস্যা ছিল, সেটা অস্বীকার করব না। কিন্তু এখন আমাদের প্রত্যেক কর্মীকে বডি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। ফলে এখন আর অনিয়ম করার সুযোগ নেই। কেউ অনিয়ম করলে সঙ্গে সঙ্গেই চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে।"
বাইরের এয়ারলাইন্সগুলোকেও বিমান সি-চেক সেবা দিতে পারবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "আমরা দেশের বাইরের এয়ারলাইন্সগুলোকেও সি-চেক সেবা দিতে পারব। ভবিষ্যতে আরও উন্নত সেবা নিশ্চিত করা হবে, যাতে মানুষ বিমানের ওপর আরও আস্থা পায়।"