alt

জাতীয়

সুপ্রিম কোর্টে ১২ বিচারপতির বিষয়ে তথ্য প্রকাশ

ছুটিতে পাঠানো বিচারপতিদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের অক্টোবরে হাই কোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। এই ১২ জনের মধ্যে ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি একজন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। দুইজন বিচারপতি হাই কোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাননি এবং আরও দুইজন বিচারপতি ইতোমধ্যে অবসর গ্রহণ করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চার বিচারকের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে এবং তিনজন বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তবে এসব বিচারকের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

এর আগে গত ৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত শুরু করার তথ্য দিয়েছিল। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নির্দেশনা পাওয়ায় কাউন্সিল পরের সপ্তাহে তদন্ত শুরু করে।

গত ১৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আরেক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, হাই কোর্টের ‘কয়েকজন’ বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। উভয় সময়েই তদন্তের আওতায় আসা বিচারকদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

গত ১৬ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ হাই কোর্টের ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি খিজির হায়াত ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।

গত ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগ বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করার রায় দেয়। এর ফলে বিচারপতি অপসারণ প্রক্রিয়া নিয়ে গত সরকারের সময় তৈরি হওয়া জটিলতার অবসান ঘটে।

২০১৭ সালে আপিল বিভাগের রায়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হয় এবং বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করার কথা বলা হয়। গত অগাস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করে।

এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হককে ২০১৯ সালের অগাস্টে বিচারকাজ থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর এ বছর ১৯ নভেম্বর তাদের পদত্যাগের খবর জানানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে।

ছবি

ধর্ষণের শিকার মাগুরার শিশুটিকে বাঁচানো গেল না

ছবি

যশোরে প্রশিক্ষণ বিমানের ক্রাশ ল্যান্ডিং, অক্ষত দুই পাইলট

ছবি

সেনাবাহিনীতে অভ্যুত্থানের ভিত্তিহীন তথ্য ছড়াচ্ছে ভারতের গণমাধ্যম: বাংলাদেশ সরকার

ছবি

মাগুরায় শিশু ধর্ষণের বিচার শুরু ৭ দিনের মধ্যে: আইন উপদেষ্টা

ছবি

নাম পরিবর্তন হলো বঙ্গবন্ধু মেডিকেলসহ তিন মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের

ছবি

জাতিসংঘ মহাসচিব গুতেরেস চার দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন

ছবি

ভেনেজুয়েলায় জাহাজের বাংলাদেশী ক্যাপ্টেন-নাবিকের মুক্তির চেষ্টা চলছে

ছবি

বিশেষ বিসিএসে ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত

ছবি

২০২৬ সালেই এলডিসি থেকে উত্তরণ, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত উপদেষ্টা পরিষদের

ছবি

সশস্ত্র বাহিনীর ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরও দুই মাস

ছবি

মাগুরার সেই শিশুটি আর নেই

ছবি

রাজধানীর সচিবালয়-শাহবাগসহ কয়েকটি এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

ছবি

আপিল বিভাগের রায়: প্রাথমিকের প্রধান শিক্ষকরা পাবেন দ্বিতীয় শ্রেণির মর্যাদা

ছবি

মাগুরার শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন, সেনাবাহিনীর দোয়ার আহ্বান

বিএনপির নামে ছদ্মবেশে আওয়ামী লীগ চাঁদাবাজি করছে: মির্জা আব্বাস

হাবীবুল্লাহ বাহার কলেজের উপাধ্যক্ষ হত্যার ‘রহস্য উদ্ঘাটন

ছবি

দেশে পাম জাতীয় ফলের আবাদ বাড়ানোর পরিকল্পনা

‘ওসিকে বলেন আসতে, আমি ইউনিয়ন ছাত্রদলের প্রেসিডেন্ট’

জাতিসংঘের মহাসচিব আসছেন বৃহস্পতিবার

ছবি

পাকিস্তানে ট্রেন ছিনতাই : ১৯০ জিম্মি উদ্ধার, ৩০ হামলাকারী নিহত

ছবি

ঢাকায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে লাগবে পুলিশের অনুমতি

ছবি

এবার সেনাবাহিনীর ১৬ স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানের নাম বদল

ধর্ষণবিরোধী গণপদযাত্রা: পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ১২ জনের নামে মামলা

ছবি

টিসিবির ট্রাকসেল: ‘যতলোক লাইনে দাঁড়াইছে আজ আর পণ্য পাবানা’

মাগুরার শিশুটির অবস্থার ‘অবনতি’, তিন আসামির ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ

ছবি

নারী ও কন্যার প্রতি সহিংসতা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে

ধর্ষণ মামলার বিচার অধ্যাদেশের খসড়া তৈরি, জানালেন আইন উপদেষ্টা

রিসিভার নয়, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় চলবে বেক্সিমকো গ্রুপ : হাইকোর্ট

ছবি

সারাদেশে সরকারি হাসপাতালে কর্মবিরতি

ছবি

শাপলা চত্বরে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে হাসিনাসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

ছবি

ধর্ষণ মামলার বিচার দ্রুত করতে আইন সংশোধনের উদ্যোগ

ছবি

ঈদের আগেই বিভক্ত হচ্ছে এনবিআর

ছবি

রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে বাংলাদেশ সফরে জাতিসংঘ মহাসচিব

ছবি

কক্সবাজারে এক লাখ রোহিঙ্গার সঙ্গে ইফতার করবেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

‘স্ট্যান্ড ফর এনআইডি’ কর্মসূচিতে ইসি কর্মকর্তারা

ছবি

সচিবালয়ের অভিমুখে চিকিৎসকদের লংমার্চ পথে পুলিশি বাধা

tab

জাতীয়

সুপ্রিম কোর্টে ১২ বিচারপতির বিষয়ে তথ্য প্রকাশ

ছুটিতে পাঠানো বিচারপতিদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের অক্টোবরে হাই কোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। এই ১২ জনের মধ্যে ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি একজন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। দুইজন বিচারপতি হাই কোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাননি এবং আরও দুইজন বিচারপতি ইতোমধ্যে অবসর গ্রহণ করেছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চার বিচারকের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে এবং তিনজন বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তবে এসব বিচারকের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

এর আগে গত ৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত শুরু করার তথ্য দিয়েছিল। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নির্দেশনা পাওয়ায় কাউন্সিল পরের সপ্তাহে তদন্ত শুরু করে।

গত ১৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আরেক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, হাই কোর্টের ‘কয়েকজন’ বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। উভয় সময়েই তদন্তের আওতায় আসা বিচারকদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।

গত ১৬ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ হাই কোর্টের ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি খিজির হায়াত ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।

গত ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগ বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করার রায় দেয়। এর ফলে বিচারপতি অপসারণ প্রক্রিয়া নিয়ে গত সরকারের সময় তৈরি হওয়া জটিলতার অবসান ঘটে।

২০১৭ সালে আপিল বিভাগের রায়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হয় এবং বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করার কথা বলা হয়। গত অগাস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করে।

এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হককে ২০১৯ সালের অগাস্টে বিচারকাজ থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর এ বছর ১৯ নভেম্বর তাদের পদত্যাগের খবর জানানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে।

back to top