ছুটিতে পাঠানো বিচারপতিদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের অক্টোবরে হাই কোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। এই ১২ জনের মধ্যে ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি একজন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। দুইজন বিচারপতি হাই কোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাননি এবং আরও দুইজন বিচারপতি ইতোমধ্যে অবসর গ্রহণ করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চার বিচারকের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে এবং তিনজন বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তবে এসব বিচারকের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত শুরু করার তথ্য দিয়েছিল। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নির্দেশনা পাওয়ায় কাউন্সিল পরের সপ্তাহে তদন্ত শুরু করে।
গত ১৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আরেক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, হাই কোর্টের ‘কয়েকজন’ বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। উভয় সময়েই তদন্তের আওতায় আসা বিচারকদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
গত ১৬ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ হাই কোর্টের ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি খিজির হায়াত ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।
গত ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগ বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করার রায় দেয়। এর ফলে বিচারপতি অপসারণ প্রক্রিয়া নিয়ে গত সরকারের সময় তৈরি হওয়া জটিলতার অবসান ঘটে।
২০১৭ সালে আপিল বিভাগের রায়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হয় এবং বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করার কথা বলা হয়। গত অগাস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করে।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হককে ২০১৯ সালের অগাস্টে বিচারকাজ থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর এ বছর ১৯ নভেম্বর তাদের পদত্যাগের খবর জানানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে।
ছুটিতে পাঠানো বিচারপতিদের মধ্যে সাতজনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
শনিবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের অক্টোবরে হাই কোর্ট বিভাগের ১২ জন বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। এই ১২ জনের মধ্যে ২০২৫ সালের ৩০ জানুয়ারি একজন বিচারপতি পদত্যাগ করেছেন। দুইজন বিচারপতি হাই কোর্ট বিভাগের স্থায়ী বিচারক হিসেবে নিয়োগ পাননি এবং আরও দুইজন বিচারপতি ইতোমধ্যে অবসর গ্রহণ করেছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, চার বিচারকের বিরুদ্ধে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে পূর্ণাঙ্গ অনুসন্ধান কার্যক্রম চলছে এবং তিনজন বিচারপতির বিরুদ্ধে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। তবে এসব বিচারকের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এর আগে গত ৬ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট কয়েকজন বিচারপতির বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের তদন্ত শুরু করার তথ্য দিয়েছিল। রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের নির্দেশনা পাওয়ায় কাউন্সিল পরের সপ্তাহে তদন্ত শুরু করে।
গত ১৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট আরেক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, হাই কোর্টের ‘কয়েকজন’ বিচারপতির বিষয়ে তদন্ত শেষে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল। উভয় সময়েই তদন্তের আওতায় আসা বিচারকদের নাম প্রকাশ করা হয়নি।
গত ১৬ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ হাই কোর্টের ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান। তাদের মধ্যে রয়েছেন বিচারপতি নাইমা হায়দার, বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ, বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাস, বিচারপতি মোহাম্মদ খুরশীদ আলম সরকার, বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান, বিচারপতি আতাউর রহমান খান, বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন, বিচারপতি মো. আক্তারুজ্জামান, বিচারপতি মো. আমিনুল ইসলাম, বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলন, বিচারপতি খিজির হায়াত ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান।
গত ২০ অক্টোবর আপিল বিভাগ বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করার রায় দেয়। এর ফলে বিচারপতি অপসারণ প্রক্রিয়া নিয়ে গত সরকারের সময় তৈরি হওয়া জটিলতার অবসান ঘটে।
২০১৭ সালে আপিল বিভাগের রায়ে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করা হয় এবং বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনরুজ্জীবিত করার কথা বলা হয়। গত অগাস্টে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আপিল বিভাগ রিভিউ আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি অপসারণে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল পুনর্বহাল করে।
এর আগে আওয়ামী লীগ সরকারের সময় বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী, বিচারপতি কাজী রেজা-উল হক ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হককে ২০১৯ সালের অগাস্টে বিচারকাজ থেকে বিরত থাকার আদেশ দেওয়া হয়েছিল। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর এ বছর ১৯ নভেম্বর তাদের পদত্যাগের খবর জানানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে।