দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের নির্দেশ
দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ৫৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, সংস্থার সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া আদালতে এই আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেন।
ক্ষমতার পরিবর্তনের পর গত বছরের ৩ অক্টোবর রাতে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে সাধন চন্দ্র মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
গত ১৯ ডিসেম্বর, দুদক তার বিরুদ্ধে ২৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৬৫টি ব্যাংক হিসাবে ৪৩ কোটি ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৫ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করে।
এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ জানুয়ারি আদালতের আদেশে তার আয়কর নথি জব্দ করা হয়। পরে ২৯ জানুয়ারি তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতে দেওয়া আবেদনে বলা হয়, সাধন চন্দ্র মজুমদারের নামে থাকা ৫৬টি ব্যাংক হিসাব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার ঝুঁকি তৈরি করেছে। তাই তদন্ত চলাকালে এসব হিসাব অবরুদ্ধ রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
সম্পদের অনুসন্ধানে যা মিলেছে:
দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাধন চন্দ্র মজুমদারের নামে রয়েছে—
ধানমন্ডিতে কনকর্ড তরুলতায় ৪,৪৭৫ বর্গফুটের ফ্ল্যাট
উত্তরায় ৫ কাঠা জমি
ব্যবসার মূলধন, গাড়ি, এফডিআর, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, নগদ অর্থসহ ৯ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ।
সাধন চন্দ্র মজুমদার ২০০৮ সাল থেকে টানা চারবার জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
দুর্নীতির অভিযোগে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে তার সম্পদ ও ব্যাংক লেনদেন বিশ্লেষণ করছে দুদক।
দুর্নীতির অভিযোগে আদালতের নির্দেশ
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের ৫৬টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছে আদালত।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম জানান, সংস্থার সহকারী পরিচালক আফনান জান্নাত কেয়া আদালতে এই আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আবেদন মঞ্জুর করে ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার নির্দেশ দেন।
ক্ষমতার পরিবর্তনের পর গত বছরের ৩ অক্টোবর রাতে ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে সাধন চন্দ্র মজুমদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
গত ১৯ ডিসেম্বর, দুদক তার বিরুদ্ধে ২৫ কোটি ৩৪ লাখ ৬৬ হাজার ২৩৮ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৬৫টি ব্যাংক হিসাবে ৪৩ কোটি ৪ লাখ ৪৭ হাজার ৩৭৫ টাকার সন্দেহজনক লেনদেনের অভিযোগে মামলা করে।
এ মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৩ জানুয়ারি আদালতের আদেশে তার আয়কর নথি জব্দ করা হয়। পরে ২৯ জানুয়ারি তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতে দেওয়া আবেদনে বলা হয়, সাধন চন্দ্র মজুমদারের নামে থাকা ৫৬টি ব্যাংক হিসাব অস্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার ঝুঁকি তৈরি করেছে। তাই তদন্ত চলাকালে এসব হিসাব অবরুদ্ধ রাখার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে।
সম্পদের অনুসন্ধানে যা মিলেছে:
দুদকের অনুসন্ধানে জানা গেছে, সাধন চন্দ্র মজুমদারের নামে রয়েছে—
ধানমন্ডিতে কনকর্ড তরুলতায় ৪,৪৭৫ বর্গফুটের ফ্ল্যাট
উত্তরায় ৫ কাঠা জমি
ব্যবসার মূলধন, গাড়ি, এফডিআর, স্বর্ণালংকার, আসবাবপত্র, নগদ অর্থসহ ৯ কোটি ১৫ লাখ ৫০ হাজার ৩৬৩ টাকার অস্থাবর সম্পদ।
সাধন চন্দ্র মজুমদার ২০০৮ সাল থেকে টানা চারবার জাতীয় সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি ২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের আগস্ট পর্যন্ত খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন।
দুর্নীতির অভিযোগে চলমান তদন্তের অংশ হিসেবে তার সম্পদ ও ব্যাংক লেনদেন বিশ্লেষণ করছে দুদক।