সংস্কার কমিশনের কোনো প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হলে বিএনপি বাধা দিবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে আগামী মে-জুন মাসের মধ্যেই নির্বাচনের জন্য ইসি পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হবে বলে নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে জানিয়েছে বলে জানান তিনি। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি জানতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান তিনি।
রবিবার ৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এই বৈঠক করে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও সেলিমা রহমান। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কোনো প্রস্তাব যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অন্তরায় হয়, তাহলে সেই প্রস্তাবে বিএনপি বাধা দেবে বলেও জানান নজরুল ইসলাম খান।
বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা এই মুহূর্তে কি করছে এবং জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে তাদের প্রস্তুতি কি, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা মতবিনিময় করেছি। আমরা জেনেছি কমিশনের পক্ষ থেকে তারা একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যে তারা কবে কি করবেন। এটা তারা প্রচলিত আইন অনুযায়ী করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ভোটার তালিকা হাল নাগাদকরণ।’
নির্বাচনের বিষয় সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান অনুযায়ী আপনারা জানেন একটা সরকার পদত্যাগ করলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়, এটা আইন। তবে এই আইন অনুযায়ী এখন দেশ চলছে না। তাই এই মুহূর্তে রাজনৈতিক মতামতের ভিত্তিতে সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করতে হবে এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। যদি মে ও জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ প্রস্তুতি থাকে, তাহলে কারো কোনো প্রাসঙ্গিক সমস্যা থাকলে সেটা দূর করে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান করা উচিত।’
তিনি উল্লেখ করেন, সবকিছু আলাপের পর তাদের কথায় আমাদের কাছে মনে হয়েছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে আগামী মে-জুন মাসের মধ্যে তারা (ইসি) নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হবেন। তবে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা এখন তাদের নাই। ইসির নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বিএনপি সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ওয়েল। আইন অনুযায়ী তাদের যা করার কথা আমরা বুঝতে পারছি যে, তারা সঠিকভাবে সেটা করছেন।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের প্রসঙ্গ তুললে তিনি বলেন, ‘দেখুন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে সরকার স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করবে, সেটা করে যদি সিদ্ধান্তের আলোকে আইনের পরিবর্তন হয় বা বিধানের পরিবর্তন হয় তাহলে সেটা নির্বাচন কমিশনকে মানতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, সেটা তো এখনও হয় নাই।’
কবে নাগাদ নির্বাচন হতে পারে, আভাস মিলেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না। আমি তো বললাম, নির্বাচনের ঘোষণা তো উনারা করতে পারেন না। কারণ সংবিধানের নরমাল নিয়ম অনুযায়ী সেই নির্বাচন হচ্ছে না।’ নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপির প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো প্রস্তাব দেইনি। আমরা তো উনাদের কাছে এটা বলব না।’
‘ইসি বলেছিল যে, সংস্কার কমিশন প্রস্তাবে কমিশনের ক্ষমতা খর্ব হচ্ছে’ এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না এক সাংবাদিক জানতে চাইলে জবাবে বিএনপি নেতা নজরুল বলেন, ‘দেখুন এটা তো তাদের ব্যাপার সেটা তারা বলবেন। আমরাও যদি মনে করি যে, সংস্কার কমিশনের কোনো প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে অন্তরায়, এটা নির্বাচন কমিশন কেন, আমরাও বাধা দেব। কিন্তু বিষয়টা তাদের সঙ্গে আলোচনার বিষয় না। এটা তো কোনো কোলাবরেশনের ব্যাপার না। তাদের মতামত তারা বলবে, আমাদের মতামত আমরা বলব।’
অপর এক প্রশ্ন জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দায়িত্ব এখন সরকারের, তারপরে শিডিউল ঘোষণা করবে কমিশন। আপনারা জানেন যে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আগামীকাল (সোমবার) আমাদের আলোচনা আছে, সেখানে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’
ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে ইসিতে আলোচনার প্রসঙ্গ ধরে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে যেটুকু জানলাম প্রায় ৩০ লাখ ভোটার আছেন যারা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাদের আগে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। তারা বাদ পড়ে গিয়েছিল। তবে এর মধ্যে আবার ১৫ লাখ ভোটার বাদ পড়ে যাবে কারণ তারা মারা গিয়েছে। অর্থাৎ নতুন করে ১৫ লাখ ভোটার যুক্ত হচ্ছেন।’
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত নভেম্বরে অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। তাদের দায়িত্ব নেয়ার পর এটিই বিএনপির সঙ্গে প্রথম বৈঠক।
বৈঠকে সিইসি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, বেগম তহমিদা আহমদ এবং আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। ইসি সচিব আখতার আহমেদও ছিলেন বৈঠকে।
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সংস্কার কমিশনের কোনো প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচনের অন্তরায় হলে বিএনপি বাধা দিবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। আর ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে আগামী মে-জুন মাসের মধ্যেই নির্বাচনের জন্য ইসি পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হবে বলে নির্বাচন কমিশন বিএনপিকে জানিয়েছে বলে জানান তিনি। ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি জানতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে এসব কথা জানান তিনি।
রবিবার ৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এই বৈঠক করে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল। নজরুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে প্রতিনিধিদলে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ ও সেলিমা রহমান। নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের কোনো প্রস্তাব যদি সুষ্ঠু নির্বাচনের পথে অন্তরায় হয়, তাহলে সেই প্রস্তাবে বিএনপি বাধা দেবে বলেও জানান নজরুল ইসলাম খান।
বৈঠক শেষে নজরুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তারা এই মুহূর্তে কি করছে এবং জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে তাদের প্রস্তুতি কি, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা মতবিনিময় করেছি। আমরা জেনেছি কমিশনের পক্ষ থেকে তারা একটি কর্মসূচি গ্রহণ করেছে, যে তারা কবে কি করবেন। এটা তারা প্রচলিত আইন অনুযায়ী করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ভোটার তালিকা হাল নাগাদকরণ।’
নির্বাচনের বিষয় সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের প্রচলিত আইন ও সংবিধান অনুযায়ী আপনারা জানেন একটা সরকার পদত্যাগ করলে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন করতে হয়, এটা আইন। তবে এই আইন অনুযায়ী এখন দেশ চলছে না। তাই এই মুহূর্তে রাজনৈতিক মতামতের ভিত্তিতে সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করতে হবে এবং তার ভিত্তিতে নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। যদি মে ও জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ প্রস্তুতি থাকে, তাহলে কারো কোনো প্রাসঙ্গিক সমস্যা থাকলে সেটা দূর করে দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান করা উচিত।’
তিনি উল্লেখ করেন, সবকিছু আলাপের পর তাদের কথায় আমাদের কাছে মনে হয়েছে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করে আগামী মে-জুন মাসের মধ্যে তারা (ইসি) নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে পরিপূর্ণভাবে প্রস্তুত হবেন। তবে এই ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা এখন তাদের নাই। ইসির নির্বাচনের প্রস্তুতিতে বিএনপি সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘ওয়েল। আইন অনুযায়ী তাদের যা করার কথা আমরা বুঝতে পারছি যে, তারা সঠিকভাবে সেটা করছেন।’
নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশের প্রসঙ্গ তুললে তিনি বলেন, ‘দেখুন সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে সরকার স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করবে, সেটা করে যদি সিদ্ধান্তের আলোকে আইনের পরিবর্তন হয় বা বিধানের পরিবর্তন হয় তাহলে সেটা নির্বাচন কমিশনকে মানতে হবে। কিন্তু প্রশ্ন হল, সেটা তো এখনও হয় নাই।’
কবে নাগাদ নির্বাচন হতে পারে, আভাস মিলেছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘না। আমি তো বললাম, নির্বাচনের ঘোষণা তো উনারা করতে পারেন না। কারণ সংবিধানের নরমাল নিয়ম অনুযায়ী সেই নির্বাচন হচ্ছে না।’ নির্বাচনের ব্যাপারে বিএনপির প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা কোনো প্রস্তাব দেইনি। আমরা তো উনাদের কাছে এটা বলব না।’
‘ইসি বলেছিল যে, সংস্কার কমিশন প্রস্তাবে কমিশনের ক্ষমতা খর্ব হচ্ছে’ এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে কি না এক সাংবাদিক জানতে চাইলে জবাবে বিএনপি নেতা নজরুল বলেন, ‘দেখুন এটা তো তাদের ব্যাপার সেটা তারা বলবেন। আমরাও যদি মনে করি যে, সংস্কার কমিশনের কোনো প্রস্তাব সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের পথে অন্তরায়, এটা নির্বাচন কমিশন কেন, আমরাও বাধা দেব। কিন্তু বিষয়টা তাদের সঙ্গে আলোচনার বিষয় না। এটা তো কোনো কোলাবরেশনের ব্যাপার না। তাদের মতামত তারা বলবে, আমাদের মতামত আমরা বলব।’
অপর এক প্রশ্ন জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার দায়িত্ব এখন সরকারের, তারপরে শিডিউল ঘোষণা করবে কমিশন। আপনারা জানেন যে, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আগামীকাল (সোমবার) আমাদের আলোচনা আছে, সেখানে আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’
ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে ইসিতে আলোচনার প্রসঙ্গ ধরে নজরুল ইসলাম বলেন, ‘তাদের কাছ থেকে যেটুকু জানলাম প্রায় ৩০ লাখ ভোটার আছেন যারা যোগ্য হওয়া সত্ত্বেও তাদের আগে তালিকাভুক্ত করা হয়নি। তারা বাদ পড়ে গিয়েছিল। তবে এর মধ্যে আবার ১৫ লাখ ভোটার বাদ পড়ে যাবে কারণ তারা মারা গিয়েছে। অর্থাৎ নতুন করে ১৫ লাখ ভোটার যুক্ত হচ্ছেন।’
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত নভেম্বরে অবসরপ্রাপ্ত সচিব এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করা হয়। তাদের দায়িত্ব নেয়ার পর এটিই বিএনপির সঙ্গে প্রথম বৈঠক।
বৈঠকে সিইসি ছাড়াও নির্বাচন কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবদুর রহমানেল মাসুদ, বেগম তহমিদা আহমদ এবং আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। ইসি সচিব আখতার আহমেদও ছিলেন বৈঠকে।