বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগ অনুসন্ধানের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে তল্লাশি চালিয়েছে দুদক। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লকার খুলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ৮ সদস্যের দল। সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালানোর পর বিকেলে দুদকের পরিচালক কাজী মো. সায়েমুজ্জমান বলেন,‘যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছিলাম, তাদের নামে লকার নেই। আরও অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে পরবর্তী অভিযান চালাবে দুদক।’
তিনি বলেন, ‘অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ২৫ ব্যক্তির নাম-পদবি নিয়ে এখানে আমরা এসেছিলাম। সেই নাম-পদবিগুলো রেজিস্ট্রারে রক্ষিত, যারা সেইফ ডিপোজিট রেখেছেন, তাদের নামের সঙ্গে যাচাই করেÑ এখানে যারা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তারা ডিপোজিট না রাখায় আমরা শূন্য তালিকা তৈরি করেছি।’ সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের নামে কোনো লকার পাওয়া যায়নি বলে জানান সায়েমুজ্জামান।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর সেইফ ডিপোজিট তল্লাশি করে দুদকের একটি দল। সেখানে তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সব লকার সাময়িকভাবে অবরুদ্ধ করতে গভর্নরকে চিঠি দেয় দুদক। পরে ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক তিন শতাধিক কর্মকর্তার লকার খোলার অনুমতি দেয় ঢাকার একটি আদালত।
দুদক পরিচালক সায়েমুজ্জামান বলেন, ‘দুদক বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সেইফ ডিপোজিট তল্লাশির জন্য আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেছিল। ‘সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগসংক্রান্ত ব্যক্তিদের তল্লাশি করার অনুমোদন পেয়েছিল দুদক। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রবিবার মেট্রো ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রক্ষিত ভল্টে যে রেজিস্ট্রার রয়েছে তা পরীক্ষা করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মেহেদি হাসান ছিলেন। ২৫ জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা। ‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের অনেকেই এখনও বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন, আবার অনেকে এখন চাকরিতে নেই। এখন পর্যন্ত মোট ২৭২টি সেইফ ডিপোজিট লকারের সন্ধান পাওয়া গেছে।’ পরিচালক সায়েমুজ্জামান বলেন, ‘এই অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে। ২৫ জন ছাড়া আরও অনেকের নাম রয়েছে। অন্যান্য ব্যাংকেও চিঠি দেয়া হয়েছে। ‘নানা রকমের অভিযোগের মধ্যে মানি লন্ডারিং, অবৈধ সম্পদ অর্জন করা, বিদেশি নাগরিকত্ব নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।’
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অর্থপাচারসহ বিভিন্ন অভিযোগ অনুসন্ধানের মধ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা ভল্টে তল্লাশি চালিয়েছে দুদক। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে লকার খুলতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রবেশ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ৮ সদস্যের দল। সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে অভিযান চালানোর পর বিকেলে দুদকের পরিচালক কাজী মো. সায়েমুজ্জমান বলেন,‘যে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে এসেছিলাম, তাদের নামে লকার নেই। আরও অনেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। আদালতের অনুমোদনের ভিত্তিতে পরবর্তী অভিযান চালাবে দুদক।’
তিনি বলেন, ‘অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ২৫ ব্যক্তির নাম-পদবি নিয়ে এখানে আমরা এসেছিলাম। সেই নাম-পদবিগুলো রেজিস্ট্রারে রক্ষিত, যারা সেইফ ডিপোজিট রেখেছেন, তাদের নামের সঙ্গে যাচাই করেÑ এখানে যারা অভিযোগ সংশ্লিষ্ট তারা ডিপোজিট না রাখায় আমরা শূন্য তালিকা তৈরি করেছি।’ সাবেক গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের নামে কোনো লকার পাওয়া যায়নি বলে জানান সায়েমুজ্জামান।
এর আগে গত ২৬ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের কয়েন ভল্টে রক্ষিত সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর চৌধুরীর সেইফ ডিপোজিট তল্লাশি করে দুদকের একটি দল। সেখানে তিনটি সিলগালা কৌটা খুলে ৫৫ হাজার ইউরো, ১ লাখ ৬৯ হাজার ৩০০ মার্কিন ডলার, ১০০৫.৪ গ্রাম স্বর্ণ এবং ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া যায়। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সব লকার সাময়িকভাবে অবরুদ্ধ করতে গভর্নরকে চিঠি দেয় দুদক। পরে ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান ও সাবেক তিন শতাধিক কর্মকর্তার লকার খোলার অনুমতি দেয় ঢাকার একটি আদালত।
দুদক পরিচালক সায়েমুজ্জামান বলেন, ‘দুদক বাংলাদেশ ব্যাংকে রক্ষিত বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সেইফ ডিপোজিট তল্লাশির জন্য আদালতে একটি আবেদন দাখিল করেছিল। ‘সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগসংক্রান্ত ব্যক্তিদের তল্লাশি করার অনুমোদন পেয়েছিল দুদক। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আমরা রবিবার মেট্রো ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রক্ষিত ভল্টে যে রেজিস্ট্রার রয়েছে তা পরীক্ষা করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মেহেদি হাসান ছিলেন। ২৫ জনের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা। ‘যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাদের অনেকেই এখনও বাংলাদেশ ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন, আবার অনেকে এখন চাকরিতে নেই। এখন পর্যন্ত মোট ২৭২টি সেইফ ডিপোজিট লকারের সন্ধান পাওয়া গেছে।’ পরিচালক সায়েমুজ্জামান বলেন, ‘এই অনুসন্ধান অব্যাহত থাকবে। ২৫ জন ছাড়া আরও অনেকের নাম রয়েছে। অন্যান্য ব্যাংকেও চিঠি দেয়া হয়েছে। ‘নানা রকমের অভিযোগের মধ্যে মানি লন্ডারিং, অবৈধ সম্পদ অর্জন করা, বিদেশি নাগরিকত্ব নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।’