ঢাকার আদাবর থেকে নিখোঁজ এক শিশুকে উদ্ধারের পর গণমাধ্যমে তার উপস্থাপনাকে শিশু সুরক্ষা নীতির লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলছে, এই ঘটনায় মিডিয়ার সংবেদনশীলতার অভাব দেখা গেছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, “ইউনিসেফ শিশুটিকে উদ্ধারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রচেষ্টার প্রশংসা করে, তবে একইসঙ্গে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে— যেভাবে পুরো পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে এবং মিডিয়ায় উপস্থাপিত হয়েছে।”
১১ বছর বয়সী মেয়েটির বাবা গত সোমবার আদাবর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর মঙ্গলবার শিশুটিকে নওগাঁ থেকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু উদ্ধারের সময় এবং পরবর্তী ঘটনাগুলো ইউনিসেফের মতে, শিশুর মানসিক অবস্থাকে আরও নাজুক করে তুলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “পুলিশ দ্বারা সুরক্ষিত ও বেষ্টিত থাকার পরিবর্তে শিশুটিকে গণমাধ্যমের সামনে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এটি তার মানসিক চাপ বাড়িয়েছে।”
শিশু আইন ২০১৩-এর ধারা ৫৪(১)-এ উল্লেখ আছে, কন্যাশিশুদের ক্ষেত্রে সংবেদনশীলভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে এবং তা অবশ্যই একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে হতে হবে। এছাড়া, ধারা ৯১-তে শিশু বিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তাদের (চাইল্ড অ্যাফেয়ার্স পুলিশ অফিসার—CAPOs) ভূমিকার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু ইউনিসেফ বলছে, “এই ঘটনায় দেখা গেছে, শিশুটির সাক্ষাৎকার রেকর্ড করা হয়েছে এবং তা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে তার পরিচয় গোপন রাখা হয়নি। এটি আইন লঙ্ঘনের স্পষ্ট প্রমাণ।”
গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও ইউনিসেফ সমালোচনা করেছে। সংস্থাটি বলছে, “সিসিটিভি ফুটেজ বারবার সম্প্রচার করা হয়েছে, যা শিশুটির গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া, মিডিয়ার বর্ণনায় এক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে শিশুটির ‘প্রেমিক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভুল এবং বিপজ্জনক ব্যাখ্যা।”
ইউনিসেফ মনে করছে, এই ধরনের দায়িত্বহীন উপস্থাপনা শিশু সুরক্ষার জন্য হুমকিস্বরূপ। সংস্থাটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও গণমাধ্যমকে শিশু সুরক্ষা নীতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।
সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ঢাকার আদাবর থেকে নিখোঁজ এক শিশুকে উদ্ধারের পর গণমাধ্যমে তার উপস্থাপনাকে শিশু সুরক্ষা নীতির লঙ্ঘন হিসেবে দেখছে ইউনিসেফ। সংস্থাটি বলছে, এই ঘটনায় মিডিয়ার সংবেদনশীলতার অভাব দেখা গেছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়েও উদ্বেগ রয়েছে।
সোমবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, “ইউনিসেফ শিশুটিকে উদ্ধারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রচেষ্টার প্রশংসা করে, তবে একইসঙ্গে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে— যেভাবে পুরো পরিস্থিতি সামাল দেওয়া হয়েছে এবং মিডিয়ায় উপস্থাপিত হয়েছে।”
১১ বছর বয়সী মেয়েটির বাবা গত সোমবার আদাবর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি (জিডি) করেন। এরপর মঙ্গলবার শিশুটিকে নওগাঁ থেকে উদ্ধার করা হয়। কিন্তু উদ্ধারের সময় এবং পরবর্তী ঘটনাগুলো ইউনিসেফের মতে, শিশুর মানসিক অবস্থাকে আরও নাজুক করে তুলেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “পুলিশ দ্বারা সুরক্ষিত ও বেষ্টিত থাকার পরিবর্তে শিশুটিকে গণমাধ্যমের সামনে নানা প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়েছে। এটি তার মানসিক চাপ বাড়িয়েছে।”
শিশু আইন ২০১৩-এর ধারা ৫৪(১)-এ উল্লেখ আছে, কন্যাশিশুদের ক্ষেত্রে সংবেদনশীলভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে এবং তা অবশ্যই একজন নারী পুলিশ কর্মকর্তার মাধ্যমে হতে হবে। এছাড়া, ধারা ৯১-তে শিশু বিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তাদের (চাইল্ড অ্যাফেয়ার্স পুলিশ অফিসার—CAPOs) ভূমিকার কথা বলা হয়েছে।
কিন্তু ইউনিসেফ বলছে, “এই ঘটনায় দেখা গেছে, শিশুটির সাক্ষাৎকার রেকর্ড করা হয়েছে এবং তা সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে, যেখানে তার পরিচয় গোপন রাখা হয়নি। এটি আইন লঙ্ঘনের স্পষ্ট প্রমাণ।”
গণমাধ্যমের ভূমিকা নিয়েও ইউনিসেফ সমালোচনা করেছে। সংস্থাটি বলছে, “সিসিটিভি ফুটেজ বারবার সম্প্রচার করা হয়েছে, যা শিশুটির গোপনীয়তা লঙ্ঘন করেছে। এছাড়া, মিডিয়ার বর্ণনায় এক প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিকে শিশুটির ‘প্রেমিক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা সম্পূর্ণ ভুল এবং বিপজ্জনক ব্যাখ্যা।”
ইউনিসেফ মনে করছে, এই ধরনের দায়িত্বহীন উপস্থাপনা শিশু সুরক্ষার জন্য হুমকিস্বরূপ। সংস্থাটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও গণমাধ্যমকে শিশু সুরক্ষা নীতি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে।