সোমবার রংপুরের কাউনিয়ায় বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল -সংবাদ
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারতকে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন, আমরা পরিষ্কার করে বলছি বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইলে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা দেন ও সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যা বন্ধ করেন। আমাদের সঙ্গে বড় দাদার মতো আচরণ করবেন না। সোমবার বিকেলে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা নদীর তীরে জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমাদের ছেলেরা কাজ ৩৬ দিনে শেষ করেছে এবং স্বৈরাশাসককে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। অন্যদিকে দেশের ১৮ কোটি মানুষের শত্রু সেই হাসিনাকে দিল্লিতে রাজার হালে রেখেছেন আপনারা। তবে আওয়ামী লীগ এখন হাওয়া হয়ে গেছে পলাতকের মতোই।
তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা প্রদান ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী লাগাতার কর্মসূচির প্রথমদিনের বক্তব্যে তিনি বলেন, তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো বলেও ভারতকে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, ‘তিস্তা পাড়ের মানুষের কান্না এখন বাংলাদেশের কান্না। ১৫ দিন ধরে আমরা তিস্তার ন্যায্য হিস্যা প্রদানসহ দু-দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। অথচ ফ্যাসিস্ট হাসিনা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকলো, দেশের মানুষ ভেবেছিল ভারত বাংলাদেশ ভালো বন্ধুত্ব, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা বোধহয় আমরা পাবো। কিন্তু দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে শেখ হাসিনা।’ ফখরুল বলেন, গত ১৬ বছরে দেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল হাসিনা। তিস্তার ন্যায্য হিস্যা তো দূরের কথা এক ফোঁটা পানিও আনতে পারেনি ভারত থেকে। শুধু তিস্তা না দেশের আরও ৫৪টি নদী ভারত থেকে এদেশে এসেছে, সেগুলোর উজানে ভারত এক তরফা বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন কাজ করছে, এজন্য আমাদের দেশের মানুষ জমিতে ভালোভাবে ফসল ফলাতে পারছে না।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জাম দুদু, জাতীয় পার্টি (জাফর) সভাপতি মোস্তফা জালাল হায়দার বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাইফুল হক, তিস্তা বাঁচাও
আন্দোলনের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল হক, সাধারণ সম্পাদক আনিসুল হক লাকুসহ অন্য নেতারা। এদিকে দুই দফা দাবিতে রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলা রংপুর, কুড়িগ্রাম নীলফামারী, লালমনিরহাট, ও গাইবান্ধার তিস্তা নদীর তীরবর্তী ১১টি স্থানে এক যোগে হাজার হাজার লোকসমাগমে এই কর্মসূচি চলছে বলে জানা যায়।
‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দু’দিনব্যাপী অবস্থান ধর্মঘটের প্রথম দিনে কাউনিয়ায় তিস্তা পাড়ে শতাধিক তাঁবু ও প্যান্ডেল বসানো হয়েছে এবং সেখানে আন্দোলনকারীরা দু‘দিন দু’রাত অবস্থান করবে বলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাতভর সঙ্গীতানুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি লাগাতারভাবে চলবে। আজ বিক্ষোভ মিছিল তিস্তা নদীতে নেমে প্রতিবাদসহ বিভিন্ন কর্মসূচি থাকবে তাদের।
সোমবার রংপুরের কাউনিয়ায় বিএনপির সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মির্জা ফখরুল -সংবাদ
সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারতকে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করে বলেছেন, আমরা পরিষ্কার করে বলছি বাংলাদেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইলে তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা দেন ও সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যা বন্ধ করেন। আমাদের সঙ্গে বড় দাদার মতো আচরণ করবেন না। সোমবার বিকেলে রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার তিস্তা নদীর তীরে জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
ফখরুল বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনার বিরুদ্ধে লড়াই করেছি। আমাদের ছেলেরা কাজ ৩৬ দিনে শেষ করেছে এবং স্বৈরাশাসককে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে। অন্যদিকে দেশের ১৮ কোটি মানুষের শত্রু সেই হাসিনাকে দিল্লিতে রাজার হালে রেখেছেন আপনারা। তবে আওয়ামী লীগ এখন হাওয়া হয়ে গেছে পলাতকের মতোই।
তিস্তা নদীর ন্যায্য হিস্যা প্রদান ও তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে বিএনপির ৪৮ ঘণ্টাব্যাপী লাগাতার কর্মসূচির প্রথমদিনের বক্তব্যে তিনি বলেন, তিস্তা নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো বলেও ভারতকে হুঁশিয়ারী উচ্চারণ করেন। তিনি বলেন, ‘তিস্তা পাড়ের মানুষের কান্না এখন বাংলাদেশের কান্না। ১৫ দিন ধরে আমরা তিস্তার ন্যায্য হিস্যা প্রদানসহ দু-দফা দাবিতে আন্দোলন করছি। অথচ ফ্যাসিস্ট হাসিনা ১৬ বছর ক্ষমতায় থাকলো, দেশের মানুষ ভেবেছিল ভারত বাংলাদেশ ভালো বন্ধুত্ব, তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা বোধহয় আমরা পাবো। কিন্তু দেশের মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করেছে শেখ হাসিনা।’ ফখরুল বলেন, গত ১৬ বছরে দেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছিল হাসিনা। তিস্তার ন্যায্য হিস্যা তো দূরের কথা এক ফোঁটা পানিও আনতে পারেনি ভারত থেকে। শুধু তিস্তা না দেশের আরও ৫৪টি নদী ভারত থেকে এদেশে এসেছে, সেগুলোর উজানে ভারত এক তরফা বাঁধ দিয়ে পানি প্রত্যাহার করে বিদ্যুৎ উৎপাদনসহ বিভিন্ন কাজ করছে, এজন্য আমাদের দেশের মানুষ জমিতে ভালোভাবে ফসল ফলাতে পারছে না।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জাম দুদু, জাতীয় পার্টি (জাফর) সভাপতি মোস্তফা জালাল হায়দার বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির নেতা সাইফুল হক, তিস্তা বাঁচাও
আন্দোলনের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল হক, সাধারণ সম্পাদক আনিসুল হক লাকুসহ অন্য নেতারা। এদিকে দুই দফা দাবিতে রংপুর অঞ্চলের ৫ জেলা রংপুর, কুড়িগ্রাম নীলফামারী, লালমনিরহাট, ও গাইবান্ধার তিস্তা নদীর তীরবর্তী ১১টি স্থানে এক যোগে হাজার হাজার লোকসমাগমে এই কর্মসূচি চলছে বলে জানা যায়।
‘জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে দু’দিনব্যাপী অবস্থান ধর্মঘটের প্রথম দিনে কাউনিয়ায় তিস্তা পাড়ে শতাধিক তাঁবু ও প্যান্ডেল বসানো হয়েছে এবং সেখানে আন্দোলনকারীরা দু‘দিন দু’রাত অবস্থান করবে বলে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, রাতভর সঙ্গীতানুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচি লাগাতারভাবে চলবে। আজ বিক্ষোভ মিছিল তিস্তা নদীতে নেমে প্রতিবাদসহ বিভিন্ন কর্মসূচি থাকবে তাদের।