সাপ্তাহের ছুটির দিনেও পুরো বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ অবস্থানে ছিল ঢাকা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুমান যাচাই প্রতিষ্ঠান এয়ার ভিজুয়ালের বায়ুমান সূচক (একিউআই) অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত শীর্ষ অবস্থানে ছিল ঢাকা। মাত্রা ছিল ২৪০, বেলা গড়িয়ে দুপুর নাগাদ এটির মাত্রা কমে গিয়ে দাঁড়ায় ১৯০। তারপর আরও কমে যায়।
ঢাকার পর দ্বিতীয় অবস্থানে আছে উগান্ডার কাম্পালা এবং ভিয়েতনামের হ্যানয়, দুই অঞ্চলের বাতাসের দূষণের মাত্রা ১৭০, অন্যদিকে তৃতীয় অবস্থানে আছে লাহোর, সেখানকার দূষণের মাত্রা ছিল ২১১, অন্যদিকে তৃতীয় অবস্থান ভারতের দিল্লি, সেখানে বাতাসের মানমাত্রা আছে ১৬৯।
প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহ ধরেই দিনে কোনো না কোনো সময় বাতাসের দূষণে শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসছে ঢাকা।
একিউআই অনুযায়ী, বায়ুর মানমাত্রা শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে সেটিকে ভালো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে হলে সেটি মধ্যম মানের বায়ু, ১০১ থেকে ১৫০ হলে বায়ুর মানে সাবধানতা বা সতর্কীকরণ করা হয়। বায়ুর মান ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে বায়ু খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১-এর বেশি হলে চরম অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সে হিসেবে আজকের মাত্রা অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, দূষণের মূল কারণ শুধু তাপমাত্রা নয়, রাস্তার যত্রতত্র চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এসব খোঁড়াখুঁড়ি করা হয় ঢেকে। আমাদের এসব কিছুই মানা হয় না। রাস্তায় খোঁড়া বালি, মাটি এসব বাতাসে মিশে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি ঈদ সামনে রেখে ফিটনেসবিহীন যানবাহন আবার বেড়ে গেছে। এই দুটি বড় কারণ বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে সরকারের ধারাবাহিক কাজ করে যেতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক
দ্য হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বে যেসব কারণে সবচেয়ে বেশি অকাল মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, সেই তালিকায় দ্বিতীয় হচ্ছে বায়ুদূষণ। আর প্রথম হচ্ছে রক্তচাপ।
স্বল্প-সময়ের জন্য বায়ুদূষণের কবলে পড়লে অ্যাজমা হতে পারে, এমনকি হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকও হতে পারে। বিশেষ করে যেসব বয়স্কদের আগে থেকেই চিকিৎসাসংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এমন ঝুঁকি বেশি। আর দীর্ঘমেয়াদে বায়ুদূষণে থাকলে হার্ট ও ফুসফুসের মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়ার শঙ্কা আছে। যা মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেতে পারে।
বায়ুদূষণের কারণে হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) ও ফুসফুসে প্রদাহ হতে পারে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে ৫০ কোটির বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকার বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। প্রতিদিন পাঁচ বছরের কমবয়সী ১০০টি শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে বায়ুদূষণের সম্পর্ক রয়েছে।
ইউনিসেফের পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জুন কুনিজি বলেন, বায়ুদূষণে শিশুদের বৃদ্ধি কমে যায়, ফুসফুসে ক্ষতি করে এবং মানসিক দক্ষতার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। প্রতিটি শ্বাসই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তা অনেক শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
সাপ্তাহের ছুটির দিনেও পুরো বিশ্বে বায়ুদূষণে শীর্ষ অবস্থানে ছিল ঢাকা। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিশ্বের বায়ুমান যাচাই প্রতিষ্ঠান এয়ার ভিজুয়ালের বায়ুমান সূচক (একিউআই) অনুযায়ী শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল পর্যন্ত শীর্ষ অবস্থানে ছিল ঢাকা। মাত্রা ছিল ২৪০, বেলা গড়িয়ে দুপুর নাগাদ এটির মাত্রা কমে গিয়ে দাঁড়ায় ১৯০। তারপর আরও কমে যায়।
ঢাকার পর দ্বিতীয় অবস্থানে আছে উগান্ডার কাম্পালা এবং ভিয়েতনামের হ্যানয়, দুই অঞ্চলের বাতাসের দূষণের মাত্রা ১৭০, অন্যদিকে তৃতীয় অবস্থানে আছে লাহোর, সেখানকার দূষণের মাত্রা ছিল ২১১, অন্যদিকে তৃতীয় অবস্থান ভারতের দিল্লি, সেখানে বাতাসের মানমাত্রা আছে ১৬৯।
প্রসঙ্গত, গত এক সপ্তাহ ধরেই দিনে কোনো না কোনো সময় বাতাসের দূষণে শীর্ষ অবস্থানে উঠে আসছে ঢাকা।
একিউআই অনুযায়ী, বায়ুর মানমাত্রা শূন্য থেকে ৫০-এর মধ্যে থাকলে সেটিকে ভালো হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ৫১ থেকে ১০০ এর মধ্যে হলে সেটি মধ্যম মানের বায়ু, ১০১ থেকে ১৫০ হলে বায়ুর মানে সাবধানতা বা সতর্কীকরণ করা হয়। বায়ুর মান ১৫১ থেকে ২০০-এর মধ্যে হলে অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে হলে বায়ু খুব অস্বাস্থ্যকর এবং ৩০১-এর বেশি হলে চরম অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সে হিসেবে আজকের মাত্রা অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুদূষণ বিশেষজ্ঞ এবং বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার দীর্ঘদিন ধরেই বলে আসছেন, দূষণের মূল কারণ শুধু তাপমাত্রা নয়, রাস্তার যত্রতত্র চলছে খোঁড়াখুঁড়ি। বিশ্বের অন্যান্য দেশে এসব খোঁড়াখুঁড়ি করা হয় ঢেকে। আমাদের এসব কিছুই মানা হয় না। রাস্তায় খোঁড়া বালি, মাটি এসব বাতাসে মিশে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি ঈদ সামনে রেখে ফিটনেসবিহীন যানবাহন আবার বেড়ে গেছে। এই দুটি বড় কারণ বায়ুদূষণের জন্য দায়ী। এক্ষেত্রে সরকারের ধারাবাহিক কাজ করে যেতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক
দ্য হেলথ ইফেক্টস ইনস্টিটিউটের প্রতিবেদন অনুসারে, বিশ্বে যেসব কারণে সবচেয়ে বেশি অকাল মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে, সেই তালিকায় দ্বিতীয় হচ্ছে বায়ুদূষণ। আর প্রথম হচ্ছে রক্তচাপ।
স্বল্প-সময়ের জন্য বায়ুদূষণের কবলে পড়লে অ্যাজমা হতে পারে, এমনকি হার্ট অ্যাটাক কিংবা স্ট্রোকও হতে পারে। বিশেষ করে যেসব বয়স্কদের আগে থেকেই চিকিৎসাসংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য এমন ঝুঁকি বেশি। আর দীর্ঘমেয়াদে বায়ুদূষণে থাকলে হার্ট ও ফুসফুসের মারাত্মক সমস্যা দেখা দেয়ার শঙ্কা আছে। যা মানুষকে মৃত্যুর দিকে নিয়ে যেতে পারে।
বায়ুদূষণের কারণে হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ (সিওপিডি) ও ফুসফুসে প্রদাহ হতে পারে।
জাতিসংঘের শিশুবিষয়ক সংস্থার সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পূর্ব এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে ৫০ কোটির বেশি শিশু অস্বাস্থ্যকার বাতাসে শ্বাস নিচ্ছে। প্রতিদিন পাঁচ বছরের কমবয়সী ১০০টি শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে বায়ুদূষণের সম্পর্ক রয়েছে।
ইউনিসেফের পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জুন কুনিজি বলেন, বায়ুদূষণে শিশুদের বৃদ্ধি কমে যায়, ফুসফুসে ক্ষতি করে এবং মানসিক দক্ষতার বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়। প্রতিটি শ্বাসই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তা অনেক শিশুর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।