শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষ ভাষাশহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিল এই ছোট্ট শিশুটিও -সোহরাব আলম
একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদদের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় স্মরণ করেছে পুরো জাতি। শুক্রবার একুশের দিনে ভাষা আন্দোলনে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীরযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সারাদেশে শহীদ মিনারে সব বয়স-শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে মানুষের ঢল নেমেছিল। খালি পায়ে, হাতে ফুল নিয়ে, কণ্ঠে অমর একুশের গান ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি, গাইতে গাইতে শহর-গ্রামে মানুষ শামিল হয়েছে প্রভাতফেরিতের। তারপর শহীদ মিনারে গিয়ে অন্তরের গভীর ভালোবাসা মেশানো শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছে মানুষ। পাড়া বা মহল্লার শহীদ মিনার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভাষাশহীদদের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনে পরিপূর্ণ হয়েছিল ফুলে ফুলে। কণ্ঠে বিষাদমাখা গান, পাশাপাশি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন, অন্যান্য জাতিসত্তার ভাষা ও বর্ণমালা সংরক্ষণেরও দাবি ছিল সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।
একুশের প্রথম প্রহরেই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি থেকে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। অনেক বিদেশি নাগরিককেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গেছে। শুক্রবার একুশের আবহ ছিল সর্বত্র। ছিল পোশাক-আশাকে, চিন্তা ও মননে। বর্ণিল পোশাকের পাশাপাশি আধিক্য ছিল সাদা-কালোর। অনেকে মাথায় পড়েছিলেন দেশের লাল সবুজের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা আঁকা ব্যান্ড। গালে-ললাটে এঁকেছেন বর্ণমালা, শহীদ মিনার। তরুণ-তরুণীদের পাশাপাশি পিছিয়ে ছিল না শিশুরাও। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সেসব ফুল দিয়ে যারা স্মৃতির বেদিতে এঁকেছেন ফুলের আল্পনা সেসব তরুণ-তরুণীর মাঝে ছিল বুক ভরা গর্ব আর অহংকার। পরম মমতায় আর শ্রদ্ধায় প্রতিটি ফুল দিয়ে আল্পনা আঁকতে গিয়ে তারা যেন ভাষাশহীদদের প্রতি আবারও নিবেদন করছিল শ্রদ্ধা-ভালোবাসা।
একুশের প্রথম প্রহর শুরু হওয়ার আগে থেকেই হাতে ফুল নিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে
শহীদ মিনার এলাকায় ছিল জনতার ভিড়। শুক্রবার রাজধানীর সব পথ যেন গিয়ে মিশেছিল শহীদ মিনারে এসে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছোঁয়ার আগেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা সারিবদ্ধভাবে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
একুশের প্রথম প্রহরে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি পৃথকভাবে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। রাত ১২টার পর প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর রাত ১২টা ১২ মিনিটের দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের বিচারপতিরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
তারা ফুল দেয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা একসঙ্গে শহীদদের বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। এরপর ঢাকায় দায়িত্বরত রাষ্ট্রদূত,কূটনীতিক, হাই-কমিশনাররা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। বিদেশি কুটনীতিকদের সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিমউদ্দিন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন ও কমিশনাররা ভাষাশহীদদের বেদিতে এরপর ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে এরপর তিন বাহিনীর প্রধানদের মধ্যে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ফুল দেন। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ফুল দিতে আসেন শহীদদের বেদিতে। ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানান পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমসহ বিভিন্ন আইনশঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা। সহকর্মীদের নিয়ে এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা জানান।
তাদের পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রাত ১২টা ৪০ মিনিট থেকে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ অন্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন।
রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে এসেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, রাজনৈতিক দল বিপ্লবী ধারা, বাংলাদেশ কংগ্রেস, গণ সংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, গণফোরাম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের পক্ষে একটি প্রতিনিধি দল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। একুশের সকালে হাজারো মানুষ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে, কেউ একা এবং পরিবার সদস্যদের নিয়ে শহীদ মিনারে আসেন শ্রদ্ধা জানাতে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে নেতারা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এজন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আশপাশের পিচঢালা রাস্তাকে ক্যানভাস বানিয়ে রং-তুলির আঁচড়ে আলপনায় সাজিয়ে তুলছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
একুশের শ্রদ্ধানুষ্ঠান ভাবগাম্ভীর্য ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে সন্ধ্যা থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সাধারণের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়; পথ চলায়ও ছিল নিয়ন্ত্রণ। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। র্যাব ও গোয়েন্দারাসহ পুলিশের বিশেষ ইউনিটগুলো তাদের দল মোতায়েন করেছে পুরো এলাকায়।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষ ভাষাশহীদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিল এই ছোট্ট শিশুটিও -সোহরাব আলম
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
একুশে ফেব্রুয়ারিতে শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদদের শ্রদ্ধা ও ভালবাসায় স্মরণ করেছে পুরো জাতি। শুক্রবার একুশের দিনে ভাষা আন্দোলনে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য বীরযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সারাদেশে শহীদ মিনারে সব বয়স-শ্রেণি-পেশা নির্বিশেষে মানুষের ঢল নেমেছিল। খালি পায়ে, হাতে ফুল নিয়ে, কণ্ঠে অমর একুশের গান ‘আমার ভায়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি আমি কি ভুলিতে পারি, গাইতে গাইতে শহর-গ্রামে মানুষ শামিল হয়েছে প্রভাতফেরিতের। তারপর শহীদ মিনারে গিয়ে অন্তরের গভীর ভালোবাসা মেশানো শ্রদ্ধার্ঘ্য জানিয়েছে মানুষ। পাড়া বা মহল্লার শহীদ মিনার থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ভাষাশহীদদের প্রতি সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনে পরিপূর্ণ হয়েছিল ফুলে ফুলে। কণ্ঠে বিষাদমাখা গান, পাশাপাশি সর্বস্তরে বাংলা ভাষার প্রচলন, অন্যান্য জাতিসত্তার ভাষা ও বর্ণমালা সংরক্ষণেরও দাবি ছিল সাধারণ মানুষের মুখে মুখে।
একুশের প্রথম প্রহরেই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ব্যক্তি থেকে সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের পদভারে মুখরিত হয়ে ওঠে ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। অনেক বিদেশি নাগরিককেও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গেছে। শুক্রবার একুশের আবহ ছিল সর্বত্র। ছিল পোশাক-আশাকে, চিন্তা ও মননে। বর্ণিল পোশাকের পাশাপাশি আধিক্য ছিল সাদা-কালোর। অনেকে মাথায় পড়েছিলেন দেশের লাল সবুজের মানচিত্র ও জাতীয় পতাকা আঁকা ব্যান্ড। গালে-ললাটে এঁকেছেন বর্ণমালা, শহীদ মিনার। তরুণ-তরুণীদের পাশাপাশি পিছিয়ে ছিল না শিশুরাও। শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সেসব ফুল দিয়ে যারা স্মৃতির বেদিতে এঁকেছেন ফুলের আল্পনা সেসব তরুণ-তরুণীর মাঝে ছিল বুক ভরা গর্ব আর অহংকার। পরম মমতায় আর শ্রদ্ধায় প্রতিটি ফুল দিয়ে আল্পনা আঁকতে গিয়ে তারা যেন ভাষাশহীদদের প্রতি আবারও নিবেদন করছিল শ্রদ্ধা-ভালোবাসা।
একুশের প্রথম প্রহর শুরু হওয়ার আগে থেকেই হাতে ফুল নিয়ে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে
শহীদ মিনার এলাকায় ছিল জনতার ভিড়। শুক্রবার রাজধানীর সব পথ যেন গিয়ে মিশেছিল শহীদ মিনারে এসে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ঘড়ির কাঁটা ১২টা ছোঁয়ার আগেই বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা সারিবদ্ধভাবে ফুল হাতে দাঁড়িয়ে ছিলেন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে।
একুশের প্রথম প্রহরে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষাশহীদদের প্রতি পৃথকভাবে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। রাত ১২টার পর প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর রাত ১২টা ১২ মিনিটের দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
এরপর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদসহ আপিল বিভাগ ও হাইকোর্টের বিচারপতিরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
তারা ফুল দেয়ার পর অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টারা একসঙ্গে শহীদদের বেদিতে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। এরপর ঢাকায় দায়িত্বরত রাষ্ট্রদূত,কূটনীতিক, হাই-কমিশনাররা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। বিদেশি কুটনীতিকদের সঙ্গে ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মো. জসিমউদ্দিন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন ও কমিশনাররা ভাষাশহীদদের বেদিতে এরপর ফুলেল শ্রদ্ধা জানান।
প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে এরপর তিন বাহিনীর প্রধানদের মধ্যে সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন ফুল দেন। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান ফুল দিতে আসেন শহীদদের বেদিতে। ভাষাশহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে এরপর একে একে শ্রদ্ধা জানান পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলমসহ বিভিন্ন আইনশঙ্খলা বাহিনীর প্রধানরা। সহকর্মীদের নিয়ে এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সদস্যরা শ্রদ্ধা জানান।
তাদের পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রাত ১২টা ৪০ মিনিট থেকে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ অন্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন।
রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে এসেছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, রাজনৈতিক দল বিপ্লবী ধারা, বাংলাদেশ কংগ্রেস, গণ সংহতি আন্দোলন, গণ অধিকার পরিষদ, এবি পার্টি, গণফোরাম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, জুলাই অভ্যুত্থানে আহতদের পক্ষে একটি প্রতিনিধি দল, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি। একুশের সকালে হাজারো মানুষ বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে, কেউ একা এবং পরিবার সদস্যদের নিয়ে শহীদ মিনারে আসেন শ্রদ্ধা জানাতে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বে নেতারা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এজন্য কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আশপাশের পিচঢালা রাস্তাকে ক্যানভাস বানিয়ে রং-তুলির আঁচড়ে আলপনায় সাজিয়ে তুলছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
একুশের শ্রদ্ধানুষ্ঠান ভাবগাম্ভীর্য ও শান্তিপূর্ণভাবে পালনের লক্ষ্যে সন্ধ্যা থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় সাধারণের প্রবেশে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়; পথ চলায়ও ছিল নিয়ন্ত্রণ। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ। র্যাব ও গোয়েন্দারাসহ পুলিশের বিশেষ ইউনিটগুলো তাদের দল মোতায়েন করেছে পুরো এলাকায়।