আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শনিবার নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে রাজধানীতে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির বিক্ষোভ -সংবাদ
দেশের নারীরা আজকে কঠিন সময় পার করছেন। এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের নারীদের পাশে দাঁড়ানোর কথা থাকলেও তারা এসব বিষয়ে কোনো কথা বলছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম।
শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সমাবেশে এই অভিযোগ তোলেন তিনি। সমাবেশে ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘যারা আজকে উপদেষ্টা আছে, তারা নানা আন্দোলনের ফসল। আজকে নারীরা যখন কঠিন সময় পার করছে, উপদেষ্টাদের মুখ থেকে কোনো কথা শুনতে না পাওয়া আমাদের ক্ষুব্ধ করেছে। আমাদের ব্যথিত করেছে। আমরা তাদের প্রতি ধিক্কার জানাচ্ছি।’
নারীর প্রতি সব প্রকার সহিংসতা ও বৈষম্যের প্রতিবাদে শনিবার আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এই সমাবেশের আয়োজন করে ৬৭ সংগঠনের জোট ‘সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি’। মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘তারা (উপদেষ্টা) কেনো এ পরিস্থিতিতে নারী সমাজের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন না। তাদের প্রতি আহ্বান জানাই, এখনো সময় আছে আপনারা নারী সমাজের পাশে এসে দাঁড়ান।’
নারীর প্রতি সংঘটিত সহিংসতার বিচার হচ্ছে না জানিয়ে এই নারী নেত্রী আরও বলেন, ‘আজ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গুর অবস্থায় থাকায় কোনো বিচারই হচ্ছে না। এই পরিস্থিতি থাকলে শুধু নারীরা সহিংসতার শিকার হবেন না, যারা শাসনক্ষমতায় আছেন, তারাও অনিরাপদ হয়ে যাবেন। তারাও নৈরাজ্যের কাছে ভেসে যাবেন।
মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, ‘নারীর প্রতি সমমর্যাদা থাকলে এত সহিংসতা ঘটতে পারে না। কেন ঘটছে, কিসের জন্য ঘটছে। নারীর ওপর যে জঘন্য আক্রমণ হচ্ছে। অপরাধীদের কীভাবে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। তারা প্রশ্রয় পেয়ে যাচ্ছে। সহিংসতার খবর গণমাধ্যমে আসার পরও প্রশাসন ব্যবস্থা নেয় না। এমন সমাজ তো আমরা চাই না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে।’
বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী ফাল্গুনী ত্রিপুরা বলেন, ‘সহিংসতা হলে নারী অন্য জনগোষ্ঠীর কিনা, সেটা বিবেচনা না করে বিচারের দাবি তুলুন। আমরা এখন যে সমাজে বসবাস করছি, তা মোটেও নারী ও কন্যাশিশুদের জন্য উপযুক্ত নয়। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা কাঠামোর কারণে আমরা সহিংসতার শিকার হচ্ছি।’ সমাবেশে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির ঘোষণাপত্র পাঠ করে কর্মজীবী নারীর কর্মকর্তা গুলশানারা দিপা। ঘোষণাপত্রে ১৪টি দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বৈষম্যমূলক পারিবারিক আইন পরিবর্তন করে সব নাগরিকের সমঅধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অভিন্ন পারিবারিক আইন চালু করতে হবে। (বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ, ভরণপোষণ, অভিভাবকত্ব, দত্তক, সম্পত্তির উত্তরাধিকার বিষয়সমূহ।) সম্পদ-সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকার ও সম-অংশীদারত্ব নিশ্চিত করতে হবে ইত্যাদি।
আন্তর্জাতিক নারী দিবসে শনিবার নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে রাজধানীতে বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির বিক্ষোভ -সংবাদ
শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫
দেশের নারীরা আজকে কঠিন সময় পার করছেন। এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের নারীদের পাশে দাঁড়ানোর কথা থাকলেও তারা এসব বিষয়ে কোনো কথা বলছেন না বলে অভিযোগ তুলেছেন বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম।
শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সমাবেশে এই অভিযোগ তোলেন তিনি। সমাবেশে ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘যারা আজকে উপদেষ্টা আছে, তারা নানা আন্দোলনের ফসল। আজকে নারীরা যখন কঠিন সময় পার করছে, উপদেষ্টাদের মুখ থেকে কোনো কথা শুনতে না পাওয়া আমাদের ক্ষুব্ধ করেছে। আমাদের ব্যথিত করেছে। আমরা তাদের প্রতি ধিক্কার জানাচ্ছি।’
নারীর প্রতি সব প্রকার সহিংসতা ও বৈষম্যের প্রতিবাদে শনিবার আয়োজিত সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে এই সমাবেশের আয়োজন করে ৬৭ সংগঠনের জোট ‘সামাজিক প্রতিরোধ কমিটি’। মহিলা পরিষদের সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম বলেন, ‘তারা (উপদেষ্টা) কেনো এ পরিস্থিতিতে নারী সমাজের পাশে এসে দাঁড়াচ্ছেন না। তাদের প্রতি আহ্বান জানাই, এখনো সময় আছে আপনারা নারী সমাজের পাশে এসে দাঁড়ান।’
নারীর প্রতি সংঘটিত সহিংসতার বিচার হচ্ছে না জানিয়ে এই নারী নেত্রী আরও বলেন, ‘আজ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভঙ্গুর অবস্থায় থাকায় কোনো বিচারই হচ্ছে না। এই পরিস্থিতি থাকলে শুধু নারীরা সহিংসতার শিকার হবেন না, যারা শাসনক্ষমতায় আছেন, তারাও অনিরাপদ হয়ে যাবেন। তারাও নৈরাজ্যের কাছে ভেসে যাবেন।
মানবাধিকারকর্মী খুশী কবির বলেন, ‘নারীর প্রতি সমমর্যাদা থাকলে এত সহিংসতা ঘটতে পারে না। কেন ঘটছে, কিসের জন্য ঘটছে। নারীর ওপর যে জঘন্য আক্রমণ হচ্ছে। অপরাধীদের কীভাবে ছেড়ে দেয়া হচ্ছে। তারা প্রশ্রয় পেয়ে যাচ্ছে। সহিংসতার খবর গণমাধ্যমে আসার পরও প্রশাসন ব্যবস্থা নেয় না। এমন সমাজ তো আমরা চাই না। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলতে হবে।’
বাংলাদেশ আদিবাসী নারী নেটওয়ার্কের সমন্বয়কারী ফাল্গুনী ত্রিপুরা বলেন, ‘সহিংসতা হলে নারী অন্য জনগোষ্ঠীর কিনা, সেটা বিবেচনা না করে বিচারের দাবি তুলুন। আমরা এখন যে সমাজে বসবাস করছি, তা মোটেও নারী ও কন্যাশিশুদের জন্য উপযুক্ত নয়। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা কাঠামোর কারণে আমরা সহিংসতার শিকার হচ্ছি।’ সমাবেশে সামাজিক প্রতিরোধ কমিটির ঘোষণাপত্র পাঠ করে কর্মজীবী নারীর কর্মকর্তা গুলশানারা দিপা। ঘোষণাপত্রে ১৪টি দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে।
দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বৈষম্যমূলক পারিবারিক আইন পরিবর্তন করে সব নাগরিকের সমঅধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে অভিন্ন পারিবারিক আইন চালু করতে হবে। (বিবাহ ও বিবাহবিচ্ছেদ, ভরণপোষণ, অভিভাবকত্ব, দত্তক, সম্পত্তির উত্তরাধিকার বিষয়সমূহ।) সম্পদ-সম্পত্তিতে নারীর সমান অধিকার ও সম-অংশীদারত্ব নিশ্চিত করতে হবে ইত্যাদি।