মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণসহ ঈদের আগেই শতভাগ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান এবং ইএফটি সমস্যার দ্রুত সমাধানসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। ঈদের আগে এসব দাবি মানা না হলে ঈদের পরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে কঠোর কর্মসূচি পালনের হুমকি দিয়েছেন শিক্ষকরা।শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এ কথা বলেন। সমিতির সভাপতি শেখ কাওছার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন জুয়েল।
লিখিত বক্তব্যে শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড’। আর শিক্ষক হচ্ছেন ‘শিক্ষার মেরুদন্ড’, সমাজ ও সভ্যতার বিবেক এবং জাতি গঠনের স্থপতি। দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী দিয়ে। ‘পরিতাপের’ বিষয় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মাত্র এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য বলে তিনি দাবি করেন।
শিক্ষকদের ১০ দফা দাবিগুলো হলো- মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্টকরণসহ শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা; আসন্ন ঈদুল ফিতরের পূর্বেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান করা; ইএফটি সমস্যার দ্রুত সমাধান করা; সরকারি স্কুলের ন্যায় বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ৬ষ্ঠ গ্রেডে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ৭ম গ্রেডসহ টাইম স্কেল দেয়া; এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সার্বজনীন বদলি প্রথা চালু করা; সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় পেনশন প্রথা চালুকরণ এবং চালু না হওয়া পর্যন্ত অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা প্রদানসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন বন্ধ করা।
এ ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় ৬৫ বছরে উন্নীত করা; পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ন্যায় শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন এবং শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আনুপাতিক হারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদায়ন; ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি প্রথা বিলুপ্ত করে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় পরিচালনা করা এবং স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা।
এসব দাবি মানা না হলে আগামী ১২ মার্চ বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি দেয়া হবে। এরপর ১৬ মার্চ বেলা ১১টায় দেশের সব জেলা ও বিভাগীয় সদরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক বা বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি দেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রধান উপদেষ্টা বজলুর রহমান মিয়া, উপদেষ্টা আলী আহামেদ, অধ্যক্ষ আবুল কাশেমসহ সভাপতি বেগম নূরুন্নাহার প্রমুখ।
শনিবার, ০৮ মার্চ ২০২৫
মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণসহ ঈদের আগেই শতভাগ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান এবং ইএফটি সমস্যার দ্রুত সমাধানসহ ১০ দফা দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি (বিটিএ)। ঈদের আগে এসব দাবি মানা না হলে ঈদের পরে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিয়ে কঠোর কর্মসূচি পালনের হুমকি দিয়েছেন শিক্ষকরা।শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সমিতির নেতারা এ কথা বলেন। সমিতির সভাপতি শেখ কাওছার আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক শামীম আল মামুন জুয়েল।
লিখিত বক্তব্যে শেখ কাওছার আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড’। আর শিক্ষক হচ্ছেন ‘শিক্ষার মেরুদন্ড’, সমাজ ও সভ্যতার বিবেক এবং জাতি গঠনের স্থপতি। দেশের সিংহভাগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পরিচালিত হচ্ছে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী দিয়ে। ‘পরিতাপের’ বিষয় এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা মাত্র এক হাজার টাকা বাড়ি ভাড়া, ২৫ শতাংশ উৎসব ভাতা এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান। অথচ একই কারিকুলামের অধীন একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একইভাবে প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যায়নের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য বলে তিনি দাবি করেন।
শিক্ষকদের ১০ দফা দাবিগুলো হলো- মেধাবীদের শিক্ষকতা পেশায় আকৃষ্টকরণসহ শিক্ষাক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ করা; আসন্ন ঈদুল ফিতরের পূর্বেই সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় পূর্ণাঙ্গ উৎসব ভাতা, বাড়ি ভাড়া ও চিকিৎসা ভাতা প্রদান করা; ইএফটি সমস্যার দ্রুত সমাধান করা; সরকারি স্কুলের ন্যায় বেসরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বেতন স্কেল ৬ষ্ঠ গ্রেডে এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকদের ৭ম গ্রেডসহ টাইম স্কেল দেয়া; এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের সার্বজনীন বদলি প্রথা চালু করা; সরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় পেনশন প্রথা চালুকরণ এবং চালু না হওয়া পর্যন্ত অবসর গ্রহণের ৬ মাসের মধ্যে অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের পাওনা প্রদানসহ শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪ শতাংশ কর্তন বন্ধ করা।
এ ছাড়া শিক্ষক-কর্মচারীদের চাকরির বয়স বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মচারীদের ন্যায় ৬৫ বছরে উন্নীত করা; পাবলিক সার্ভিস কমিশনের ন্যায় শিক্ষক নিয়োগ কমিশন গঠন এবং শিক্ষা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আনুপাতিক হারে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের পদায়ন; ম্যানেজিং কমিটি বা গভর্নিং বডি প্রথা বিলুপ্ত করে সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় পরিচালনা করা এবং স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা।
এসব দাবি মানা না হলে আগামী ১২ মার্চ বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি দেয়া হবে। এরপর ১৬ মার্চ বেলা ১১টায় দেশের সব জেলা ও বিভাগীয় সদরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও জেলা প্রশাসক বা বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা ও শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর স্মারক লিপি দেয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সমিতির প্রধান উপদেষ্টা বজলুর রহমান মিয়া, উপদেষ্টা আলী আহামেদ, অধ্যক্ষ আবুল কাশেমসহ সভাপতি বেগম নূরুন্নাহার প্রমুখ।