বাংলাদেশে মতপ্রকাশের কারণে গ্রেপ্তার, সহিংসতা এবং হেনস্তার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে নয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তারা দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী এবং সাধারণ নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকার প্রয়োগের কারণে গ্রেপ্তার, হেনস্তা ও সহিংসতার শিকার হতে দেখা গেছে।”
যৌথ বিবৃতিতে অংশ নেওয়া সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, আর্টিকেল ১৯, এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, সিভিকাস, ফর্টিফাই রাইটস, ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডার্স, পেন আমেরিকা ও কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
সংস্থাগুলো বলেছে, “বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এমন একটি ভবিষ্যৎ গঠনে এখনই সময়, যেখানে মতপ্রকাশের অধিকারের প্রতি সম্মান জানানো হবে।”
বিবৃতিতে সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কিছু হামলার ঘটনাও তুলে ধরা হয় এবং এসব ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
তারা আরও বলেন, এমনকি হামলার পেছনে রাষ্ট্র জড়িত না থাকলেও সরকার নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকার রক্ষা ও সকল ধরনের হামলা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার দায় এড়াতে পারে না।
বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দাবি করে, অন্তর্বর্তী সরকার বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিলেও নতুন যে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, সেটিও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুসরণে ব্যর্থ হয়েছে।
তারা বলেছে, “নতুন আইনের খসড়ায়ও আগের বিতর্কিত বিষয়গুলো থেকে যায়, যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।”
সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, মতপ্রকাশের কারণে ব্যক্তিগতভাবে কিংবা পেশাগতভাবে সক্রিয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার চর্চা অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে বন্ধ করা হোক।
শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫
বাংলাদেশে মতপ্রকাশের কারণে গ্রেপ্তার, সহিংসতা এবং হেনস্তার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে নয়টি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা। তারা দেশটির অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।
শুক্রবার লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে এই উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, “সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বাংলাদেশে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী এবং সাধারণ নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকার প্রয়োগের কারণে গ্রেপ্তার, হেনস্তা ও সহিংসতার শিকার হতে দেখা গেছে।”
যৌথ বিবৃতিতে অংশ নেওয়া সংস্থাগুলোর মধ্যে রয়েছে:
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ, আর্টিকেল ১৯, এশিয়ান ফোরাম ফর হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, সিভিকাস, ফর্টিফাই রাইটস, ফ্রন্ট লাইন ডিফেন্ডার্স, পেন আমেরিকা ও কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্টস (সিপিজে)।
সংস্থাগুলো বলেছে, “বাংলাদেশে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘনের একটি দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। এমন একটি ভবিষ্যৎ গঠনে এখনই সময়, যেখানে মতপ্রকাশের অধিকারের প্রতি সম্মান জানানো হবে।”
বিবৃতিতে সাম্প্রতিক সময়ের বেশ কিছু হামলার ঘটনাও তুলে ধরা হয় এবং এসব ঘটনার দ্রুত তদন্ত ও দায়ীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানানো হয়।
তারা আরও বলেন, এমনকি হামলার পেছনে রাষ্ট্র জড়িত না থাকলেও সরকার নাগরিকদের মতপ্রকাশের অধিকার রক্ষা ও সকল ধরনের হামলা থেকে সুরক্ষা দেওয়ার দায় এড়াতে পারে না।
বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো দাবি করে, অন্তর্বর্তী সরকার বিতর্কিত সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের প্রতিশ্রুতি দিলেও নতুন যে সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে, সেটিও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার মানদণ্ড অনুসরণে ব্যর্থ হয়েছে।
তারা বলেছে, “নতুন আইনের খসড়ায়ও আগের বিতর্কিত বিষয়গুলো থেকে যায়, যা মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় হুমকি সৃষ্টি করতে পারে।”
সংস্থাগুলো বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে, মতপ্রকাশের কারণে ব্যক্তিগতভাবে কিংবা পেশাগতভাবে সক্রিয় নাগরিকদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার চর্চা অবিলম্বে এবং নিঃশর্তভাবে বন্ধ করা হোক।