বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি জারুলিয়াছড়ি পয়েন্টে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক যুবকের ডান পায়ের গোড়ালি উড়ে গেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সীমান্তের ৪৬-৪৭ নম্বর পিলারের শূন্যরেখায় মায়ানমারের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত যুবকের নাম মোহাম্মদ তৈয়ব (৩৫)। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের কম্বনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় আবদুর রশিদ ও জুহাইর আলম বলেন, তৈয়ব মায়ানমার সীমান্তের ওপারে গিয়েছিলেন। ওপারের বেনডুলা বাজার থেকে গরুসহ বিভিন্ন দ্রব্য নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ১১ বিজিবির জারুলিয়াছড়ি বিওপির ৪৬ থেকে ৪৭ সীমান্ত পিলারের শূন্যরেখা এলাকায় মায়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে। তারই একটি বিস্ফোরণ হয়ে আহত হন তৈয়ব। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হাসপাতালে নেন।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, নাইক্ষ্যংছড়িতে সীমান্তের ওই পয়েন্ট চোরাকারবারিরা ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে। পয়েন্টের ৭ কিলোমিটার ব্যবধানে মায়ানমার অংশে দুটি বাংলাদেশি পণ্যের হাট রয়েছে। একটি বেনডোলা, অপরটি নিকুছড়ি। এ দুটি বাজারের জন্য দুটি পথ খোলা রেখে বাকি এলাকায় মায়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি স্থলমাইন পুঁতে রাখে। অপর বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরএসও স্থলমাইন পুঁতে রাখে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে। তৈয়বসহ এ পর্যন্ত সাত বাংলাদেশি স্থলমাইন বিস্ফোরণে পা হারিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, তারা আরাকান আর্মিকে চাঁদা না দিয়ে তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আসার পথে মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মাসরুল হক বলেন, সীমান্তে এক যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
মঙ্গলবার, ০৮ এপ্রিল ২০২৫
বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্তে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি জারুলিয়াছড়ি পয়েন্টে স্থলমাইন বিস্ফোরণে এক যুবকের ডান পায়ের গোড়ালি উড়ে গেছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সীমান্তের ৪৬-৪৭ নম্বর পিলারের শূন্যরেখায় মায়ানমারের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটে।
আহত যুবকের নাম মোহাম্মদ তৈয়ব (৩৫)। তিনি নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের কম্বনিয়া গ্রামের বাসিন্দা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী ঘটনাটি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
স্থানীয় আবদুর রশিদ ও জুহাইর আলম বলেন, তৈয়ব মায়ানমার সীমান্তের ওপারে গিয়েছিলেন। ওপারের বেনডুলা বাজার থেকে গরুসহ বিভিন্ন দ্রব্য নিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনাটি ঘটে। ১১ বিজিবির জারুলিয়াছড়ি বিওপির ৪৬ থেকে ৪৭ সীমান্ত পিলারের শূন্যরেখা এলাকায় মায়ানমারের অভ্যন্তরে আরাকান আর্মি স্থলমাইন পুঁতে রেখেছে। তারই একটি বিস্ফোরণ হয়ে আহত হন তৈয়ব। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা হাসপাতালে নেন।
স্থানীয় সূত্র বলেছে, নাইক্ষ্যংছড়িতে সীমান্তের ওই পয়েন্ট চোরাকারবারিরা ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে। পয়েন্টের ৭ কিলোমিটার ব্যবধানে মায়ানমার অংশে দুটি বাংলাদেশি পণ্যের হাট রয়েছে। একটি বেনডোলা, অপরটি নিকুছড়ি। এ দুটি বাজারের জন্য দুটি পথ খোলা রেখে বাকি এলাকায় মায়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি স্থলমাইন পুঁতে রাখে। অপর বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরএসও স্থলমাইন পুঁতে রাখে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে। তৈয়বসহ এ পর্যন্ত সাত বাংলাদেশি স্থলমাইন বিস্ফোরণে পা হারিয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে, তারা আরাকান আর্মিকে চাঁদা না দিয়ে তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে আসার পথে মাইন বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন।
নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি মাসরুল হক বলেন, সীমান্তে এক যুবকের পা বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে জানতে পেরেছি। চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। এ বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।