জরাজীর্ণ ডকুমেন্ট ও রাষ্ট্রীয় ইতিহাসের পাণ্ডুলিপি যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য জাতীয় আর্কাইভসে পুরনো নথি বা ডকুমেন্টের প্রায় ৯ কোটি পৃষ্ঠা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩শ’ বছরের পুরনো নানা ডকুমেন্ট রয়েছে।
* আড়াইশ’ বছর আগের তালপাতায় লেখা ডকুমেন্ট সংরক্ষণ
* ১৯৬৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সংবাদের কপি সংরক্ষণের তালিকায়
আর্কাইভস ভবনের সহকারী পরিচালক আলি আকবর সংবাদকে জানান, তারা আর্কাইভস ভবনে ঐতিহাসিক ডকুমেন্টগুলো সংরক্ষণে কাজ করছেন। তবে প্রায় ৩শ’ বছরের পুরনো ডকুমেন্টগুলো ঝুরঝুরে হয়ে গেলে ক্ষতি হবে। এমন আশঙ্কা থেকে ডিজিটালে রূপান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
এই জন্য জাতীয় আর্কাইভস ও জাতীয় গ্রন্থাগার ডিজিটাল অনলাইন সেবা সম্প্রসারণ ও আধুনিকরণে একটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ডিজিটাল ডাটা নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রস্তাবিত এই উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রকল্পে ২৬২ কোটি টাকার ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই মাসে এই উদ্যোগ নেয়া হলেও নানা কারণে তা বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমানে আর্কাইভস কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁও জাতীয় আর্কাইভস ভবনে গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সব তথ্য জানা গেছে।
আর্কাইভস ভবনের কর্মকর্তারা সংবাদকে জানান, জাতীয় আর্কাইভস ২৫ বছর কিংবা ততোধিক বছরের পুরনো ঐতিহাসিক সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ ঐতিহ্যের যে কোনো মূল নথি, দলিল, পাণ্ডুলিপি এবং পত্রিকা, চিঠি, মানচিত্র, গেজেটসহ নানা ধরনের তালিকা, নকশা, আলোকচিত্র যা কাগজে বা অন্য কিছুর ওপর হাতে লিখিত ছাপানো বা কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে বা অন্য কোনো উপায়ে রেকর্ড সংগ্রহ, মেরামত, সংরক্ষণ করা হয়।
বর্তমানে জাতীয় আর্কাইভস ও জাতীয় গ্রন্থগারে এই সব সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে নথিপত্র, গুরুত্বপূর্ণ পুস্তিকা, পুঁথি, জাতীয় গেজেট, জার্নাল, ম্যাগাজিন, দৈনিক পত্রিকা, ছবির সুবিশাল সংগ্রহ প্রায় ৯ কোটি পৃষ্ঠা রয়েছে।
সংরক্ষিত ফিজিক্যাল রেকর্ডসমূহ এক সময় নষ্ট হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে। এতে পরবর্তী প্রজন্ম ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত হতে পারে। তাই জরুরি ভিত্তিতে ডিজিটাইজেশন দরকার। পৃথিবীজুড়ে স্থান সংকুলানের সমস্যাকে সমাধান করতে ডিজিটাইজেশনের পদ্ধতিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
আধুনিক যুগে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় অধিদপ্তরের সংগ্রহ সম্ভারকে সংরক্ষণ ও পরিচালনা করা হলে ব্যবহারকারীরা ঘরে বসেই অনলাইনে তাতে অ্যাক্সেস পাবেন। এই জন্য আর্কাইভস ও গ্রন্থগার সংরক্ষণ পদ্ধতি ডিজিটাইজেশনের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আর্কাইভস প্রতিষ্ঠানে এখন জরাজীর্ণ (ঝুরু ঝুরু) হয়ে যাচ্ছে। ব্রিটিশ আমল থেকে বর্তমান বাংলাদেশ আমল পর্যন্ত শাসন ব্যবস্থার ডকুমেন্ট।
আড়াইশ’ বছর আগের তালপাতায়
লেখার ডকুমেন্ট, হাতে তৈরি কাগজে ছবি লেখা, পলাশী যুদ্ধের মানচিত্র, নোয়াখালী ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ইতিহাস।
দেশের প্রাচীন জাতীয় পত্রিকা দৈনিক সংবাদের ১৯৬৮, ১৯৬৯ সালের ফাইলসহ আজ পর্যন্ত বিভিন্ন ফাইল। অন্যান্য পত্রিকার ফাইল ডকুমেন্ট রয়েছে। আর্কাইভসে সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত দলিল ও নথিপত্র, পাণ্ডুলিপি ও পুস্তকের সংরক্ষণাগার।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে ঢাকায় জাতীয় আর্কাইভস এবং গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে সরকারের বিভিন্ন নথিপত্র সংরক্ষিত ও নিরাপত্তা বিধান করা হয়।
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
জরাজীর্ণ ডকুমেন্ট ও রাষ্ট্রীয় ইতিহাসের পাণ্ডুলিপি যাতে নষ্ট না হয় তার জন্য জাতীয় আর্কাইভসে পুরনো নথি বা ডকুমেন্টের প্রায় ৯ কোটি পৃষ্ঠা ডিজিটাল পদ্ধতিতে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ৩শ’ বছরের পুরনো নানা ডকুমেন্ট রয়েছে।
* আড়াইশ’ বছর আগের তালপাতায় লেখা ডকুমেন্ট সংরক্ষণ
* ১৯৬৮ সাল থেকে আজ পর্যন্ত সংবাদের কপি সংরক্ষণের তালিকায়
আর্কাইভস ভবনের সহকারী পরিচালক আলি আকবর সংবাদকে জানান, তারা আর্কাইভস ভবনে ঐতিহাসিক ডকুমেন্টগুলো সংরক্ষণে কাজ করছেন। তবে প্রায় ৩শ’ বছরের পুরনো ডকুমেন্টগুলো ঝুরঝুরে হয়ে গেলে ক্ষতি হবে। এমন আশঙ্কা থেকে ডিজিটালে রূপান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই জন্য একটি প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে।
এই জন্য জাতীয় আর্কাইভস ও জাতীয় গ্রন্থাগার ডিজিটাল অনলাইন সেবা সম্প্রসারণ ও আধুনিকরণে একটি উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। ডিজিটাল ডাটা নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে প্রস্তাবিত এই উন্নয়ন পরিকল্পনা প্রকল্পে ২৬২ কোটি টাকার ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছে।
২০২৪ সালে জুলাই মাসে এই উদ্যোগ নেয়া হলেও নানা কারণে তা বাস্তবায়ন হয়নি। বর্তমানে আর্কাইভস কর্তৃপক্ষ তা বাস্তবায়নে উদ্যোগ নিয়েছে। সম্প্রতি রাজধানীর আগারগাঁও জাতীয় আর্কাইভস ভবনে গিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এই সব তথ্য জানা গেছে।
আর্কাইভস ভবনের কর্মকর্তারা সংবাদকে জানান, জাতীয় আর্কাইভস ২৫ বছর কিংবা ততোধিক বছরের পুরনো ঐতিহাসিক সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিকসহ ঐতিহ্যের যে কোনো মূল নথি, দলিল, পাণ্ডুলিপি এবং পত্রিকা, চিঠি, মানচিত্র, গেজেটসহ নানা ধরনের তালিকা, নকশা, আলোকচিত্র যা কাগজে বা অন্য কিছুর ওপর হাতে লিখিত ছাপানো বা কম্পিউটার প্রযুক্তির মাধ্যমে বা অন্য কোনো উপায়ে রেকর্ড সংগ্রহ, মেরামত, সংরক্ষণ করা হয়।
বর্তমানে জাতীয় আর্কাইভস ও জাতীয় গ্রন্থগারে এই সব সংগ্রহের মধ্যে রয়েছে নথিপত্র, গুরুত্বপূর্ণ পুস্তিকা, পুঁথি, জাতীয় গেজেট, জার্নাল, ম্যাগাজিন, দৈনিক পত্রিকা, ছবির সুবিশাল সংগ্রহ প্রায় ৯ কোটি পৃষ্ঠা রয়েছে।
সংরক্ষিত ফিজিক্যাল রেকর্ডসমূহ এক সময় নষ্ট হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে যেতে পারে। এতে পরবর্তী প্রজন্ম ইতিহাস জানা থেকে বঞ্চিত হতে পারে। তাই জরুরি ভিত্তিতে ডিজিটাইজেশন দরকার। পৃথিবীজুড়ে স্থান সংকুলানের সমস্যাকে সমাধান করতে ডিজিটাইজেশনের পদ্ধতিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে।
আধুনিক যুগে ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় অধিদপ্তরের সংগ্রহ সম্ভারকে সংরক্ষণ ও পরিচালনা করা হলে ব্যবহারকারীরা ঘরে বসেই অনলাইনে তাতে অ্যাক্সেস পাবেন। এই জন্য আর্কাইভস ও গ্রন্থগার সংরক্ষণ পদ্ধতি ডিজিটাইজেশনের আওতায় আনা এখন সময়ের দাবি।
সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আর্কাইভস প্রতিষ্ঠানে এখন জরাজীর্ণ (ঝুরু ঝুরু) হয়ে যাচ্ছে। ব্রিটিশ আমল থেকে বর্তমান বাংলাদেশ আমল পর্যন্ত শাসন ব্যবস্থার ডকুমেন্ট।
আড়াইশ’ বছর আগের তালপাতায়
লেখার ডকুমেন্ট, হাতে তৈরি কাগজে ছবি লেখা, পলাশী যুদ্ধের মানচিত্র, নোয়াখালী ও বরিশালসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ইতিহাস।
দেশের প্রাচীন জাতীয় পত্রিকা দৈনিক সংবাদের ১৯৬৮, ১৯৬৯ সালের ফাইলসহ আজ পর্যন্ত বিভিন্ন ফাইল। অন্যান্য পত্রিকার ফাইল ডকুমেন্ট রয়েছে। আর্কাইভসে সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তিগত দলিল ও নথিপত্র, পাণ্ডুলিপি ও পুস্তকের সংরক্ষণাগার।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে ঢাকায় জাতীয় আর্কাইভস এবং গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে সরকারের বিভিন্ন নথিপত্র সংরক্ষিত ও নিরাপত্তা বিধান করা হয়।