ভিডিও বানাতে জোর করে সন্তানদের ব্যবহার ও আঘাত-উৎপীড়নের অভিযোগে সাভারের কনটেন্ট ক্রিয়েটর ‘ক্রিম আপা’ পরিচিতি পাওয়া শারমিন শিলাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই ওমর ফারুকের আবেদনে শুক্রবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জিনাত জাহানের আদালত এ আদেশ দিয়েছে।
শারমিন শিলার পক্ষে কয়েক আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে শুনানি নিয়ে সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাভার পৌর এলাকা থেকে শারমিনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন। এর আগের দিন গত বুধবার রাতে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন সাভার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামান।
শিশুকে আঘাত, উৎপীড়ন ও অশালীনভাবে প্রদর্শনের অভিযোগে শিশু আইনের ৭০ ধারায় ওই মামলা হয়েছে বলে পরিদর্শক কামাল জানান। এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ‘ক্রিম আপা’ নামে পরিচিত শারমিন পেশায় বিউটিশিয়ান, থাকেন আশুলিয়া থানা এলাকায়। তিনি বিভিন্ন ধরনের ক্রিম বিক্রি করেন। নিজের ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ভিডিও বানিয়ে অনলাইনে পোস্ট করেন।
গত ৩০ মার্চ তার নিজের ফেইসবুক আইডিতে একটি ভিডিও পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, শারমিন তার শিশু মেয়েকে জোর করে এক হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে হা করিয়ে জোর করে কেক জাতীয় কিছু খেতে বাধ্য করছেন। শিশুদের ক্যামেরার সামনে এনে জোর করে চুলকাটা, রঙ করা, কানে ভারী দুল পরানো, শিশুদের মুখের ওপর কুলি করা, গালিগালাজ করা, থাপ্পড় ও শারীরিক কষ্ট দিয়েও তিনি ভিডিও তৈরি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ভাইরাল হওয়ার জন্য এক বছর ধরে দুই শিশু সন্তানের প্রতি মাতৃসুলভ আচরণ না করে শিশুদের আঘাত, উৎপীড়ন, অবহেলাসহ তাদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করছেন। এ ধরনের আচরণের কারণে শিশুরা শারীরিক ও মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। শারমিন শিলার এমন কাণ্ডে শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘একাই একশ’ গত ৬ এপ্রিল ঢাকার ডিসির কাছে শারমিনের বিরুদ্ধে স্মারকলিপিও দেয়। পরে জেলা
প্রশাসন তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়। সমালোচনার মধ্যে শারমিন ফেইসবুক লাইভে এসে তার কর্মকা- নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ভবিষ্যতে এমন কর্মকা- করবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।
শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
ভিডিও বানাতে জোর করে সন্তানদের ব্যবহার ও আঘাত-উৎপীড়নের অভিযোগে সাভারের কনটেন্ট ক্রিয়েটর ‘ক্রিম আপা’ পরিচিতি পাওয়া শারমিন শিলাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার এসআই ওমর ফারুকের আবেদনে শুক্রবার ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম জিনাত জাহানের আদালত এ আদেশ দিয়েছে।
শারমিন শিলার পক্ষে কয়েক আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। তবে শুনানি নিয়ে সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাভার পৌর এলাকা থেকে শারমিনকে গ্রেপ্তারের তথ্য দেন আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন। এর আগের দিন গত বুধবার রাতে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন সাভার উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা কাজী ইসরাত জামান।
শিশুকে আঘাত, উৎপীড়ন ও অশালীনভাবে প্রদর্শনের অভিযোগে শিশু আইনের ৭০ ধারায় ওই মামলা হয়েছে বলে পরিদর্শক কামাল জানান। এজাহারে অভিযোগ করা হয়, ‘ক্রিম আপা’ নামে পরিচিত শারমিন পেশায় বিউটিশিয়ান, থাকেন আশুলিয়া থানা এলাকায়। তিনি বিভিন্ন ধরনের ক্রিম বিক্রি করেন। নিজের ছেলে-মেয়েকে নিয়ে ভিডিও বানিয়ে অনলাইনে পোস্ট করেন।
গত ৩০ মার্চ তার নিজের ফেইসবুক আইডিতে একটি ভিডিও পোস্ট করলে তা ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, শারমিন তার শিশু মেয়েকে জোর করে এক হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরে হা করিয়ে জোর করে কেক জাতীয় কিছু খেতে বাধ্য করছেন। শিশুদের ক্যামেরার সামনে এনে জোর করে চুলকাটা, রঙ করা, কানে ভারী দুল পরানো, শিশুদের মুখের ওপর কুলি করা, গালিগালাজ করা, থাপ্পড় ও শারীরিক কষ্ট দিয়েও তিনি ভিডিও তৈরি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, ভাইরাল হওয়ার জন্য এক বছর ধরে দুই শিশু সন্তানের প্রতি মাতৃসুলভ আচরণ না করে শিশুদের আঘাত, উৎপীড়ন, অবহেলাসহ তাদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করছেন। এ ধরনের আচরণের কারণে শিশুরা শারীরিক ও মানসিক বিকারগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। শারমিন শিলার এমন কাণ্ডে শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘একাই একশ’ গত ৬ এপ্রিল ঢাকার ডিসির কাছে শারমিনের বিরুদ্ধে স্মারকলিপিও দেয়। পরে জেলা
প্রশাসন তিন দিনের মধ্যে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেয়। সমালোচনার মধ্যে শারমিন ফেইসবুক লাইভে এসে তার কর্মকা- নিয়ে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। ভবিষ্যতে এমন কর্মকা- করবেন না বলেও প্রতিশ্রুতি দেন।