এই গরমে দেশে লোডশেডিং হলে তা ঢাকাতেই আগে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবীর খান। তিনি বলেন, এখন আর শুধু গ্রাম নয়—প্রয়োজনে রাজধানীতেই প্রথমে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তরে এক মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “সামনের গরমে যাতে লোডশেডিং কম হয়, সেজন্য সরকার কাজ করছে। তবে যদি লোডশেডিং করতেই হয়, তা ঢাকায় প্রথমে হবে, তারপর অন্যত্র। আগের মতো শুধু গ্রাম নয়।”
বিদ্যুৎ বিভ্রাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ দুটি কারণে চলে যেতে পারে—এক, উৎপাদন ঘাটতি; দুই, কোনো ফিউজ উড়ে যাওয়া বা ঝড়-বাদলে ট্রান্সফরমার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। দ্বিতীয়টি কারিগরি সমস্যা, যেটি দ্রুত ঠিক করা যায়।”
তিনি বলেন, “নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। রমজানে আমরা চেষ্টা করেছি যাতে লোডশেডিং কম হয়। তারপরও কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। এবারও সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।”
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “যদি সবাই এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে রাখে, তাহলে ১ থেকে ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাবে। কিন্তু অনেকে সেটা মানছেন না। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।”
এসময় তিনি চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “জলাবদ্ধতা অনেক কিছুতে নির্ভর করে—বিশেষ করে বৃষ্টিপাতের ওপর। তবে এবারে দুর্ভোগ কিছুটা কমবে বলে আশা করছি।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “খালগুলো কিছুদিন আগেই পরিষ্কার করা হলেও আবারও সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে, যা জলাবদ্ধতা বাড়াচ্ছে।”
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথাও জানান উপদেষ্টা। বলেন, “এই মহাসড়ক ছয় লেন করা হবে। তবে এটি সময়সাপেক্ষ। জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণের বিষয় আছে, সব মিলিয়ে কয়েক বছর সময় লাগবে।”
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
এই গরমে দেশে লোডশেডিং হলে তা ঢাকাতেই আগে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবীর খান। তিনি বলেন, এখন আর শুধু গ্রাম নয়—প্রয়োজনে রাজধানীতেই প্রথমে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সদর দপ্তরে এক মতবিনিময় সভার আগে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, “সামনের গরমে যাতে লোডশেডিং কম হয়, সেজন্য সরকার কাজ করছে। তবে যদি লোডশেডিং করতেই হয়, তা ঢাকায় প্রথমে হবে, তারপর অন্যত্র। আগের মতো শুধু গ্রাম নয়।”
বিদ্যুৎ বিভ্রাট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিদ্যুৎ দুটি কারণে চলে যেতে পারে—এক, উৎপাদন ঘাটতি; দুই, কোনো ফিউজ উড়ে যাওয়া বা ঝড়-বাদলে ট্রান্সফরমার লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া। দ্বিতীয়টি কারিগরি সমস্যা, যেটি দ্রুত ঠিক করা যায়।”
তিনি বলেন, “নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ অনেক বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। রমজানে আমরা চেষ্টা করেছি যাতে লোডশেডিং কম হয়। তারপরও কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না। এবারও সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে।”
বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, “যদি সবাই এসির তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রিতে রাখে, তাহলে ১ থেকে ২ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা কমে যাবে। কিন্তু অনেকে সেটা মানছেন না। আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে।”
এসময় তিনি চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা পরিস্থিতি নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, “জলাবদ্ধতা অনেক কিছুতে নির্ভর করে—বিশেষ করে বৃষ্টিপাতের ওপর। তবে এবারে দুর্ভোগ কিছুটা কমবে বলে আশা করছি।”
তিনি অভিযোগ করে বলেন, “খালগুলো কিছুদিন আগেই পরিষ্কার করা হলেও আবারও সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে, যা জলাবদ্ধতা বাড়াচ্ছে।”
চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক ছয় লেনে উন্নীত করার পরিকল্পনার কথাও জানান উপদেষ্টা। বলেন, “এই মহাসড়ক ছয় লেন করা হবে। তবে এটি সময়সাপেক্ষ। জমি অধিগ্রহণ ও ক্ষতিপূরণের বিষয় আছে, সব মিলিয়ে কয়েক বছর সময় লাগবে।”