alt

জাতীয়

চালকলমালিকদের সুবিধা দিতেই ধান সংগ্রহ কমিয়েছে সরকার: ৪৩ বিশিষ্টজনের বিবৃতি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

বোরো মৌসুমে সরকার ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের ছয় লাখ টন থেকে কমিয়ে সাড়ে তিন লাখ টনে নামিয়ে এনেছে। এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশের ৪৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তাঁরা বলছেন, এতে সরাসরি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং লাভবান হবেন চালকল মালিকরা।

শুক্রবার দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, “সরকার কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান না কিনে মিলারদের কাছ থেকে চাল কেনার পথই উন্মুক্ত করেছে। এতে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হলেও কৃষক পাচ্ছেন না ন্যায্যমূল্য।”

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, কল্লোল মোস্তফা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহমুদুল সুমন, খণ্ডকালীন শিক্ষক মাহা মীর্জা এবং পাভেল পার্থ প্রমুখ।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার প্রতিবছর ধান সংগ্রহের নামে এমন একটি প্রক্রিয়া চালু রেখেছে, যার মাধ্যমে কৃষক বঞ্চিত হন আর চালকল মালিকরা সিন্ডিকেট গড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। সরকার চাল কিনে মজুদ করলেও ধান সংগ্রহে গুরুত্ব না দেওয়ায় কৃষকেরা বছরের পর বছর ঠকছেন।

তাঁরা বলেন, “কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ না করে মিলারদের মাধ্যমে চাল সংগ্রহ করায় বাজারে ধানের দাম কমে যায় এবং কৃষকের মুনাফা কমে।”

বিবৃতিতে ধান সংগ্রহ বাড়াতে এবং কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য চার দফা দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা এখনই পরিবর্তন করে ১৭ লাখ টনে উন্নীত করা, চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ টনে নামিয়ে আনা, চলতি বোরো মৌসুমেই কৃষকের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে ধান কেনার পরিমাণ ৫০ লাখ টনে উন্নীত করা এবং আগামী অর্থবছরের মধ্যেই সরকারি গুদামের সক্ষমতা ২১ লাখ টন থেকে ৫০ লাখ টনে উন্নীত করা।

তাঁরা বলেন, সরকারি গুদামের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন চালকলের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ধান মাড়াই করে সরাসরি চাল গুদামে মজুত করা সম্ভব। এতে সরকার নিজস্ব মজুদও বাড়াতে পারবে এবং কৃষকও লাভবান হবেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের স্থানীয় মূল্য নির্ধারণ কমিটিতে নারী ও পাহাড়ি কৃষকদের প্রতিনিধি রাখার মাধ্যমে গ্রামীণ ও প্রান্তিক কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। সমতলের পাশাপাশি পাহাড়ি অঞ্চলের কৃষিপণ্যও ন্যায্যমূল্যে কেনার দাবিও তোলা হয়।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য অধিদপ্তরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “চাল আমদানি, মজুদ সমস্যা এবং ভাঙানোর সীমাবদ্ধতার কারণে এ বছর ধান সংগ্রহ কমানো হয়েছে। তবে প্রতি কেজি ধানের দাম ৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় চার টাকা বেশি।”

সরকারের পক্ষ থেকে এবার ৩ লাখ টন ধান ও সাড়ে ১৪ লাখ টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।

চারুকলায় আগুনের ঘটনায় নিরাপত্তা ঘাটতি ছিল কিনা তদন্ত হচ্ছে: র‍্যাব প্রধান

ছবি

টাস্কফোর্সের সভা আজ: শেখ পরিবারসহ ১১ শিল্পগোষ্ঠীর ‘বিপুল সম্পদের’ খোঁজ

সংসদ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক হতে হবে এইচএসসি পাস

ছবি

অনির্বাচিত বললো কে?—প্রশ্ন ফরিদা আখতারের

কুড়িগ্রামে সেনাবাহিনীর অভিযান, চুরি হওয়া ওষুধসহ আটক ২

মেঘনা আলমকে আটকের ঘটনা ‘ফ্যাসিবাদী আচরণের প্রকাশ’

আসামি গ্রেপ্তারের আগে অনুমতি লাগবে

ছবি

রিমান্ড শেষে তুরিন আফরোজ কারাগারে

ছবি

পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিললো ২৮ বস্তা টাকা

বড়াইগ্রামে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে সংঘর্ষে আহত ১০, আটক ১

আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ, লোডশেডিং বাড়তে পারে

বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয়ের কাজ দ্রুতগতিতে চলেছে: প্রধান বিচারপতি

বেনাপোল কাস্টমস: ৯ মাসে রাজস্ব আদায় ৩৬৬ কোটি টাকা

চকরিয়ায় দিনেদুপুরে রাইস মিলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের হামলা, লুটপাট

ছবি

পার্বত্য চট্টগ্রামে শুরু ‘বৈসাবি’ উৎসব চাইথোয়াই মারমা,

বৈশাখের অনুষঙ্গ যারা পুড়িয়েছে তারা জুলাইকে চ্যালেঞ্জ করেছে সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা

ওমরাহ ফেরত যুবলীগ নেতাকে গণপিটুনি, ঢাকায় নেয়ার পথে মৃত্যু

ছবি

গাজার সংহতিতে জনস্রোত রাজধানীতে দিনভর যানজট

ছবি

‘দেড় মিনিটে চারুকলায় ঢুকে মোটিফে আগুন দেন এক যুবক

গাজায় তিন সপ্তাহে ২৪ হামলা, সর্বশেষ ৩৬ হামলায় নিহত সিংহভাগই নারী ও শিশু

ছবি

মার্চ ফর গাজা: সোহ্রাওয়ার্দীতে প্যালেস্টাইনের প্রতি সংহতি জানালো প্রতিবাদী লাখো মানুষ

ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার এগিয়ে নিতে তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

বৈশাখের অনুষঙ্গ যারা পুড়িয়েছে তারা জুলাইকে চ্যালেঞ্জ করেছে - সংস্কৃতি উপদেষ্টা

ছবি

আন্টালিয়া ফোরামে তুরস্কের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশের তথ্য উপদেষ্টার বৈঠক

ছবি

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে সংস্কার ত্বরান্বিত করার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার

ছবি

সোহরাওয়ার্দীতে ‘মার্চ ফর গাজা’ জমায়েতে ইসরায়েলের বিচার ও সম্পর্ক ছিন্নের আহ্বান

ছবি

পহেলা বৈশাখে রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টির আভাস

ছবি

ডেঙ্গুতে আরও দুইজনের মৃত্যু, আক্রান্ত ২০৭৪

ছবি

শুধু দুটি মোটিফে আগুন ‘রহস্যজনক’, তদন্তে ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ

ছবি

হাসিনার দোসররা ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ পুড়িয়েছে: ফারুকী

ছবি

‘মার্চ ফর গাজা’: সোহরাওয়ার্দীতে ফিলিস্তিনের পক্ষে মানুষের ঢল

ছবি

চারুকলায় আগুনে পুড়ল ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রা’ মোটিফ

ছবি

লোডশেডিং হলে ঢাকাতেই আগে হবে: জ্বালানি উপদেষ্টা

ছবি

‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি: শাহবাগ থেকে মিছিল, গণজমায়েত সোহরাওয়ার্দীতে

পিচ ঢালাইয়ের মিক্সচার মেশিন বিস্ফোরণ, আহত দুই

‘ক্রিম আপা’ শারমিন কারাগারে

tab

জাতীয়

চালকলমালিকদের সুবিধা দিতেই ধান সংগ্রহ কমিয়েছে সরকার: ৪৩ বিশিষ্টজনের বিবৃতি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

বোরো মৌসুমে সরকার ধান সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা গত বছরের ছয় লাখ টন থেকে কমিয়ে সাড়ে তিন লাখ টনে নামিয়ে এনেছে। এ সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেছেন দেশের ৪৩ জন বিশিষ্ট নাগরিক। তাঁরা বলছেন, এতে সরাসরি কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হবেন এবং লাভবান হবেন চালকল মালিকরা।

শুক্রবার দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে তাঁরা বলেন, “সরকার কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান না কিনে মিলারদের কাছ থেকে চাল কেনার পথই উন্মুক্ত করেছে। এতে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হলেও কৃষক পাচ্ছেন না ন্যায্যমূল্য।”

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, সাবেক কৃষিসচিব আনোয়ার ফারুক, লেখক ও গবেষক আলতাফ পারভেজ, কল্লোল মোস্তফা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক মোশাহিদা সুলতানা, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহমুদুল সুমন, খণ্ডকালীন শিক্ষক মাহা মীর্জা এবং পাভেল পার্থ প্রমুখ।

বিবৃতিতে বলা হয়, সরকার প্রতিবছর ধান সংগ্রহের নামে এমন একটি প্রক্রিয়া চালু রেখেছে, যার মাধ্যমে কৃষক বঞ্চিত হন আর চালকল মালিকরা সিন্ডিকেট গড়ে বাজার নিয়ন্ত্রণ করেন। সরকার চাল কিনে মজুদ করলেও ধান সংগ্রহে গুরুত্ব না দেওয়ায় কৃষকেরা বছরের পর বছর ঠকছেন।

তাঁরা বলেন, “কৃষকের কাছ থেকে সরাসরি ধান সংগ্রহ না করে মিলারদের মাধ্যমে চাল সংগ্রহ করায় বাজারে ধানের দাম কমে যায় এবং কৃষকের মুনাফা কমে।”

বিবৃতিতে ধান সংগ্রহ বাড়াতে এবং কৃষকের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য চার দফা দাবি জানানো হয়। সেগুলো হলো ধান সংগ্রহ লক্ষ্যমাত্রা এখনই পরিবর্তন করে ১৭ লাখ টনে উন্নীত করা, চাল কেনার লক্ষ্যমাত্রা ৫ লাখ টনে নামিয়ে আনা, চলতি বোরো মৌসুমেই কৃষকের কাছ থেকে পর্যায়ক্রমে ধান কেনার পরিমাণ ৫০ লাখ টনে উন্নীত করা এবং আগামী অর্থবছরের মধ্যেই সরকারি গুদামের সক্ষমতা ২১ লাখ টন থেকে ৫০ লাখ টনে উন্নীত করা।

তাঁরা বলেন, সরকারি গুদামের সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও দেশের বিভিন্ন চালকলের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে ধান মাড়াই করে সরাসরি চাল গুদামে মজুত করা সম্ভব। এতে সরকার নিজস্ব মজুদও বাড়াতে পারবে এবং কৃষকও লাভবান হবেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের স্থানীয় মূল্য নির্ধারণ কমিটিতে নারী ও পাহাড়ি কৃষকদের প্রতিনিধি রাখার মাধ্যমে গ্রামীণ ও প্রান্তিক কৃষকদের স্বার্থ রক্ষা করতে হবে। সমতলের পাশাপাশি পাহাড়ি অঞ্চলের কৃষিপণ্যও ন্যায্যমূল্যে কেনার দাবিও তোলা হয়।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খাদ্য অধিদপ্তরের এক শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, “চাল আমদানি, মজুদ সমস্যা এবং ভাঙানোর সীমাবদ্ধতার কারণে এ বছর ধান সংগ্রহ কমানো হয়েছে। তবে প্রতি কেজি ধানের দাম ৩৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা গত বছরের তুলনায় চার টাকা বেশি।”

সরকারের পক্ষ থেকে এবার ৩ লাখ টন ধান ও সাড়ে ১৪ লাখ টন সেদ্ধ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছে।

back to top