ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বর্ষবরণ উৎসবের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তৈরি করা প্রতীকী মোটিফে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে গেছে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ ও ‘শান্তির পায়রা’সহ একাধিক মোটিফ। শনিবার ভোরে চারুকলার ভেতরে এই ঘটনা ঘটে।
আগুনের ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত নাশকতা’ দাবি করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি অভিযোগ করেছেন, “চারুকলায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ পুড়িয়েছে হাসিনার দোসররা।”
ফেইসবুক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফারুকী বলেন, “এই দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে—সফট আওয়ামী লীগ হোক কিংবা আওয়ামী বি-টিম—তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে।” তাঁর ভাষায়, ‘হাসিনার দোসররা’ বুঝিয়ে দিল উৎসবে দেশের মানুষ এক হোক, তারা চায় না।
তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন আরও বেশি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, এবার শোভাযাত্রায় আরও বেশি সংখ্যায় অংশ নেব। শোভাযাত্রাকে আরো তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলবো।”
এবারের বর্ষবরণে মূল প্রতিপাদ্য ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। সেই চিন্তা থেকেই এবারের আনন্দ শোভাযাত্রায় একটি বিশেষ মোটিফ তৈরি হয়, যেখানে একটি হাঁ করা, দাঁতালো মুখ, বিশাল নাক, শিং ও ভয়ংকর চেহারার প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। সামাজিক মাধ্যমে এটি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি বলে আলোচিত হয়।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, “ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কে বা কারা আগুন লাগায়। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তদন্তে মেলে ধরতে হবে কারা এ ঘটনার পেছনে জড়িত।”
আগুন লাগার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের কর্মকর্তারা। তদন্তে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং ডিএমপিও।
এদিকে, শোভাযাত্রার আয়োজকরা বলছেন, পুড়ে যাওয়া ২০ ফুট উচ্চতার এই মোটিফ পুনরায় তৈরি করা সম্ভব হবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত।
নাম পরিবর্তনসহ নানা বিতর্কের মধ্যেই এবার আয়োজিত হচ্ছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এতে থাকবে ৮০টি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, ১০টি সুলতানি ও মোগল আমলের মুখোশ, ৫টি বড় মোটিফসহ শতাধিক লোকজ শিল্প উপকরণ।
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে বর্ষবরণ উৎসবের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তৈরি করা প্রতীকী মোটিফে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে পুড়ে গেছে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ ও ‘শান্তির পায়রা’সহ একাধিক মোটিফ। শনিবার ভোরে চারুকলার ভেতরে এই ঘটনা ঘটে।
আগুনের ঘটনাটিকে ‘পরিকল্পিত নাশকতা’ দাবি করে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। তিনি অভিযোগ করেছেন, “চারুকলায় ‘ফ্যাসিবাদের মুখাবয়ব’ পুড়িয়েছে হাসিনার দোসররা।”
ফেইসবুক পোস্টে ক্ষোভ প্রকাশ করে ফারুকী বলেন, “এই দুঃসাহস যারা দেখিয়েছে—সফট আওয়ামী লীগ হোক কিংবা আওয়ামী বি-টিম—তাদের প্রত্যেককে আইনের আওতায় আনতে হবে।” তাঁর ভাষায়, ‘হাসিনার দোসররা’ বুঝিয়ে দিল উৎসবে দেশের মানুষ এক হোক, তারা চায় না।
তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন আরও বেশি দৃঢ় প্রতিজ্ঞ, এবার শোভাযাত্রায় আরও বেশি সংখ্যায় অংশ নেব। শোভাযাত্রাকে আরো তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলবো।”
এবারের বর্ষবরণে মূল প্রতিপাদ্য ‘নববর্ষের ঐকতান, ফ্যাসিবাদের অবসান’। সেই চিন্তা থেকেই এবারের আনন্দ শোভাযাত্রায় একটি বিশেষ মোটিফ তৈরি হয়, যেখানে একটি হাঁ করা, দাঁতালো মুখ, বিশাল নাক, শিং ও ভয়ংকর চেহারার প্রতিচ্ছবি ফুটিয়ে তোলা হয়েছিল। সামাজিক মাধ্যমে এটি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতি বলে আলোচিত হয়।
চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মো. আজহারুল ইসলাম বলেন, “ভোর সাড়ে ৪টার দিকে কে বা কারা আগুন লাগায়। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে। তদন্তে মেলে ধরতে হবে কারা এ ঘটনার পেছনে জড়িত।”
আগুন লাগার পরপরই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের কর্মকর্তারা। তদন্তে নেমেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, গোয়েন্দা সংস্থা এবং ডিএমপিও।
এদিকে, শোভাযাত্রার আয়োজকরা বলছেন, পুড়ে যাওয়া ২০ ফুট উচ্চতার এই মোটিফ পুনরায় তৈরি করা সম্ভব হবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত।
নাম পরিবর্তনসহ নানা বিতর্কের মধ্যেই এবার আয়োজিত হচ্ছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’। এতে থাকবে ৮০টি ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি, ১০টি সুলতানি ও মোগল আমলের মুখোশ, ৫টি বড় মোটিফসহ শতাধিক লোকজ শিল্প উপকরণ।