কক্সবাজারের চকরিয়ায় একটি রাইস মিলে দিনেদুপুরে লুটপাট চালানোকালে পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে ভিডিও চিত্র ধারণকালে সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক শারীরিকভাবে মারধর ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন শাহ আলম (৫৪) নামের এক সাংবাদিক। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মালুমঘাট বাজারে ঘটেছে এ হামলার ঘটনা।
হামলার এ ঘটনায় গুরুতর আহত সাংবাদিক শাহ আলম মারধর করে নগদ টাকা মুঠোফোন ও ক্যামেরা ছিনতাইয়ের অভিযোগ এবং আক্রান্ত রাইস মিল মালিক জালাল আহমদ বাদী হয়ে রাইস মিলে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে শনিবার ১২ এপ্রিল চকরিয়া থানায় আলাদা দুটি মামলা রুজু করেছেন। চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম মামলা রুজু করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহত সাংবাদিক মো. শাহ আলম দৈনিক তৃতীয়মাত্রা পত্রিকার চকরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড চা বাগান এলাকার মৃত ছগির আহমদের ছেলে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মালুমঘাট বাজারে শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে একদল সন্ত্রাসী বন্দুক উঁচিয়ে ভীতি প্রদর্শন করে স্থানীয় শাহ আমানত অটো রাইস মিলে ঢুকে মালিক জালাল আহমদকে মারধর করে লুটতরাজ শুরু করে। ওই সময়
দৃশ্যটি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে পাশের একটি মার্কেটের ছাদে উঠে ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক শাহ আলম।
রাইস মিলে লুটপাট শেষে যাবার সময় ভিডিও করতে দেখে সন্ত্রাসীরা ওই মার্কেটে দু’তলা থেকে সাংবাদিক শাহ আলমকে টেনে হিঁচড়ে নিচে সড়কে ফেলে দেশীয় বন্দুক ও হাতুড়ি দিয়ে বেদম মারধর করে মুঠোফোন, ক্যামেরা ও নগদ টাকা লুটে নিয়ে শত শত মানুষের সম্মুখ দিয়ে মটরসাইকেল যোগে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহত সাংবাদিক শাহ আলমকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করায়। ঘটনার খবর পেয়ে চকরিয়ার কর্মরত একদল সাংবাদিক আহত সাংবাদিককে নিয়ে চকরিয়া থানায় গিয়ে ওসি মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে মামলা দায়েরে সহযোগিতা করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন , মালুমঘাট ষ্টেশনে শাহ আমানত অটো রাইস মিলে সন্ত্রাসী হামলা ও দুই লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগে মালিক জালাল আহমদ বাদী হয়ে একটি মামলা এবং লুটপাট চালিয়ে যাবার সময় সাংবাদিক শাহ আলমকে মারধর করে নগদ টাকা মুঠোফোন ও ক্যামেরা ছিনতাইয়ের অভিযোগে ডুমখালীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী সালাহউদ্দিন, রিয়াজু, নাছির, হেলাল ও নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে
দুইটি মামলা রুজু করেছেন। পুলিশ এজাহারনামায় সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, হামলা লুটপাট ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতরা স্থানীয় ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী ও আশপাশ এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার সালা উদ্দিন বাহিনীর সদস্য। সন্ত্রাসী সালা উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে কমপক্ষে ১০-১২টি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, কিশোর গ্যাং লিডার সালা উদ্দিন, রিয়াজু, নাছির, হেলাল ও নুরুল ইসলাম বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কতিপয় নেতার আস্কারায় চিংড়ি ঘেরে ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মহাসড়কে বার্মিজ গরু ছাগল লুটে জড়িত ছিল। সরকারের পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তারা এখন খোলস পাল্টে বিএনপির পরিচয়ে এলাকায় নানামুখী সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে সালাউদ্দিন বাহিনীর অত্যাচারে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
ছবির ক্যাপশন : চকরিয়ায় দিনেদুপুরে সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিক শাহ আলম।
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
কক্সবাজারের চকরিয়ায় একটি রাইস মিলে দিনেদুপুরে লুটপাট চালানোকালে পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে ভিডিও চিত্র ধারণকালে সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক শারীরিকভাবে মারধর ও ছিনতাইয়ের শিকার হয়েছেন শাহ আলম (৫৪) নামের এক সাংবাদিক। শুক্রবার বিকেলে উপজেলার মালুমঘাট বাজারে ঘটেছে এ হামলার ঘটনা।
হামলার এ ঘটনায় গুরুতর আহত সাংবাদিক শাহ আলম মারধর করে নগদ টাকা মুঠোফোন ও ক্যামেরা ছিনতাইয়ের অভিযোগ এবং আক্রান্ত রাইস মিল মালিক জালাল আহমদ বাদী হয়ে রাইস মিলে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে শনিবার ১২ এপ্রিল চকরিয়া থানায় আলাদা দুটি মামলা রুজু করেছেন। চকরিয়া থানার ওসি মো. শফিকুল ইসলাম মামলা রুজু করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আহত সাংবাদিক মো. শাহ আলম দৈনিক তৃতীয়মাত্রা পত্রিকার চকরিয়া উপজেলা প্রতিনিধি এবং স্থানীয় ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড চা বাগান এলাকার মৃত ছগির আহমদের ছেলে।
মামলার এজাহার সুত্রে জানা যায়, উপজেলার মালুমঘাট বাজারে শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে একদল সন্ত্রাসী বন্দুক উঁচিয়ে ভীতি প্রদর্শন করে স্থানীয় শাহ আমানত অটো রাইস মিলে ঢুকে মালিক জালাল আহমদকে মারধর করে লুটতরাজ শুরু করে। ওই সময়
দৃশ্যটি নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে পাশের একটি মার্কেটের ছাদে উঠে ভিডিও করছিলেন সাংবাদিক শাহ আলম।
রাইস মিলে লুটপাট শেষে যাবার সময় ভিডিও করতে দেখে সন্ত্রাসীরা ওই মার্কেটে দু’তলা থেকে সাংবাদিক শাহ আলমকে টেনে হিঁচড়ে নিচে সড়কে ফেলে দেশীয় বন্দুক ও হাতুড়ি দিয়ে বেদম মারধর করে মুঠোফোন, ক্যামেরা ও নগদ টাকা লুটে নিয়ে শত শত মানুষের সম্মুখ দিয়ে মটরসাইকেল যোগে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে আহত সাংবাদিক শাহ আলমকে উদ্ধার করে চকরিয়া উপজেলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা করায়। ঘটনার খবর পেয়ে চকরিয়ার কর্মরত একদল সাংবাদিক আহত সাংবাদিককে নিয়ে চকরিয়া থানায় গিয়ে ওসি মো. শফিকুল ইসলামের সঙ্গে দেখা করে মামলা দায়েরে সহযোগিতা করেন।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মো. শফিকুল ইসলাম বলেন , মালুমঘাট ষ্টেশনে শাহ আমানত অটো রাইস মিলে সন্ত্রাসী হামলা ও দুই লাখ টাকা লুটপাটের অভিযোগে মালিক জালাল আহমদ বাদী হয়ে একটি মামলা এবং লুটপাট চালিয়ে যাবার সময় সাংবাদিক শাহ আলমকে মারধর করে নগদ টাকা মুঠোফোন ও ক্যামেরা ছিনতাইয়ের অভিযোগে ডুমখালীর চিহ্নিত সন্ত্রাসী সালাহউদ্দিন, রিয়াজু, নাছির, হেলাল ও নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে
দুইটি মামলা রুজু করেছেন। পুলিশ এজাহারনামায় সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে।
স্থানীয় লোকজন জানিয়েছে, হামলা লুটপাট ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় জড়িতরা স্থানীয় ডুলাহাজারা ইউনিয়নের ডুমখালী ও আশপাশ এলাকার কিশোর গ্যাং লিডার সালা উদ্দিন বাহিনীর সদস্য। সন্ত্রাসী সালা উদ্দিনের বিরুদ্ধে থানা ও আদালতে কমপক্ষে ১০-১২টি মামলা রয়েছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, কিশোর গ্যাং লিডার সালা উদ্দিন, রিয়াজু, নাছির, হেলাল ও নুরুল ইসলাম বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কতিপয় নেতার আস্কারায় চিংড়ি ঘেরে ডাকাতি, চাঁদাবাজি ও মহাসড়কে বার্মিজ গরু ছাগল লুটে জড়িত ছিল। সরকারের পট পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তারা এখন খোলস পাল্টে বিএনপির পরিচয়ে এলাকায় নানামুখী সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। বর্তমানে সালাউদ্দিন বাহিনীর অত্যাচারে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন।
ছবির ক্যাপশন : চকরিয়ায় দিনেদুপুরে সন্ত্রাসী হামলায় আহত সাংবাদিক শাহ আলম।