নাটোরের বড়াইগ্রামে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে কটূক্তি করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি’র দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা অবধি উপজেলার জোয়াড়ি ইউনিয়নের কামারদহ বাজারে ৪ দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম (৩০) কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং জুয়েল, মোতালেব ও শরিফুলসহ বাকিদের নাটোর সদর হাসপাতালসহ স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিমসহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় যৌথবাহিনী রাত ২টার দিকে সংঘর্ষের এক পক্ষের নেতৃত্বদানকারী বিএনপি নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ (৪২) কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আটক করেছে। তার বাড়ি বড়াইগ্রামের জোয়াড়ির কায়েমকোলা গ্রামে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের করে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু’র কুশপুত্তলিকা দাহ করতে আগুন ধরাতে যায় এক কর্মী। তখন বিএনপি’র অন্য পক্ষের একজন কটূক্তি করে বলেন, ‘নামাজ পড়ে না এক ওয়াক্ত, অথচ আসছে মিছিল করতে’। এ সময় ধমকের সুরে তিনি আরও বলেন, ‘আগুন যেনো মোটরসাইকেলে না ধরে’। এ কথা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও জোয়াড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর জানান, প্যালেস্টাইনে গণহত্যার প্রতিবাদে কামারদহ বাজারে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে জোয়াড়ি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি রঞ্জু আলী ও বিএনপি কর্মী মাসুদ রানাসহ কয়েকজন। মিছিল শেষে ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকায় আগুন ধরানোর সময় কামারদহ গ্রামের বিএনপি কর্মী লিটন মিয়া কটূক্তি করে। এতে প্রভাষক মিজানুর রহমান প্রতিবাদ করলে তা ক্রমশ দুই গ্রুপে রূপ নেয়। পরে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ১ জনকে আটক করা হয়েছে। উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
নাটোরের বড়াইগ্রামে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ মিছিলে কটূক্তি করাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপি’র দু’পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ১০ জন আহত হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৯টা অবধি উপজেলার জোয়াড়ি ইউনিয়নের কামারদহ বাজারে ৪ দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের মধ্যে জাহিদুল ইসলাম (৩০) কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং জুয়েল, মোতালেব ও শরিফুলসহ বাকিদের নাটোর সদর হাসপাতালসহ স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে সেনাবাহিনীর একটি টিমসহ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় যৌথবাহিনী রাত ২টার দিকে সংঘর্ষের এক পক্ষের নেতৃত্বদানকারী বিএনপি নেতা আরিফুল ইসলাম আরিফ (৪২) কে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আটক করেছে। তার বাড়ি বড়াইগ্রামের জোয়াড়ির কায়েমকোলা গ্রামে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল বের করে স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু’র কুশপুত্তলিকা দাহ করতে আগুন ধরাতে যায় এক কর্মী। তখন বিএনপি’র অন্য পক্ষের একজন কটূক্তি করে বলেন, ‘নামাজ পড়ে না এক ওয়াক্ত, অথচ আসছে মিছিল করতে’। এ সময় ধমকের সুরে তিনি আরও বলেন, ‘আগুন যেনো মোটরসাইকেলে না ধরে’। এ কথা নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও এক পর্যায়ে তা রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে রূপ নেয়।
উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও জোয়াড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আলী আকবর জানান, প্যালেস্টাইনে গণহত্যার প্রতিবাদে কামারদহ বাজারে ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করে জোয়াড়ি ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি রঞ্জু আলী ও বিএনপি কর্মী মাসুদ রানাসহ কয়েকজন। মিছিল শেষে ইসরায়েল প্রধানমন্ত্রীর কুশপুত্তলিকায় আগুন ধরানোর সময় কামারদহ গ্রামের বিএনপি কর্মী লিটন মিয়া কটূক্তি করে। এতে প্রভাষক মিজানুর রহমান প্রতিবাদ করলে তা ক্রমশ দুই গ্রুপে রূপ নেয়। পরে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে।
বড়াইগ্রাম থানার ওসি মাহবুবুর রহমান জানান, এ ঘটনায় ১ জনকে আটক করা হয়েছে। উভয় পক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তদন্তপূর্বক পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।