কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চার মাস ১২ দিন পর ১১টি দানবাক্সে ২৮ বস্তা টাকা ও স্বর্ণালংকার মিলেছে -সংবাদ
দেশের আলোচিত কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চার মাস ১২ দিন পর ১১টি দানবাক্সে মিলেছে ২৮ বস্তা টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। শনিবার ১২ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, সেনা কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এরপর টাকাগুলো ২৮টি বস্তায় ভরে মসজিদের দোতলায় নিয়ে সেখানে গণনার কাজ শুরু করা হয়েছে। গণনার কাজে রূপালি ব্যাংকের ৮০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী, পাগলা মসজিদের এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শহীদি মসজিদের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ তিন শতাধিক মানুষ এ গণনার কাজে অংশ নেন।
পাগলা মসজিদের কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানান, ঐতিহাসিক এ মসজিদে দেশ-বিদেশের নানা ধর্মের মানুষ দান করে থাকেন। সম্প্রতি দানের পরিমাণ বেড়েই চলছে। এ মসজিদে দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়-এমন বিশ্বাস থেকেই প্রতিদিন দানের পরিমাণ বাড়ছে। ২০১৫ সালে ৬ মাসে মসজিদে পাওয়া গিয়েছিল মাত্র ৬৫ লাখ টাকা। বছর চারেক ধরে সে দানের পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়েছে। পাগলা মসজিদকে নিয়ে নানান কৌতুহল থাকলেও ২০১৫ সালের পর থেকে এ মসজিদে মানুষের দান করার আগ্রহ বেড়েছে। যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আগে ছয় মাস পর পর আটটি দানবাক্স খোলা হতো। এখন তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। ৮টির পরিবর্তে একটি বেড়ে এখন ৯টি দানবাক্স রাখা হয়েছে। সর্বশেষ ১১টি দানবাক্স বসানো হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে ছয় মাস পর ৮টি বাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল ৬৫ লাখ টাকা। পরের ৬ মাস পর পাওয়া গিয়েছিল ৭৮ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের দিকে পাওয়া গিয়েছিল সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। পরের বার টাকা বেশি মিলায় ৬
মাসের স্থলে ৩ মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর ধীরে ধীরে দানের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালে ৩১ মার্চে দানবাক্সগুলোতে পাওয়া গিয়েছিল ৮৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা। পরের বছর ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারিতে পাওয়া গিয়েছিল ১ কোটি ১৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। করোনাকালে সবকিছু বন্ধ থাকলেও পাগলা মসজিদে মানুষের দান কমেনি। ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারিতে মসজিদের দানবাক্সে মিলেছিল সর্বোচ্চ ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার টাকা। এরপর থেকেই পাগলা মসজিদে দানের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। ২০২২ সালের ১২ মার্চ দানবাক্সে পাওয়া গিয়েছিল ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১৭ আগস্ট মিলেছে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। গত ৩০ নভেম্বর তিন মাস ১৩ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলার পর মিলেছিল ২৯ বস্তা টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। গণনার পর সেসময় পাওয়া গিয়েছিল ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ টাকা। এছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার ও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গিয়েছিল। এবার চার মাস ১২ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলার পর মিলেছে ২৮ বস্তা টাকা। এক মাস বেশি সময়ের পর দানবাক্সগুলো খোলার পর এক বস্তা টাকা কম পাওয়া গেছে।
জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে ৩ একর ৮৮ শতক জায়গা নিয়ে দৃষ্ঠিনন্দন পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্সের অবস্থান। সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট ৩ তলা পাগলা মসজিদটি অন্যতম ঐতিহাসিক দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা হিসেবে মনে করা হয়। এ মসজিদকে ঘিরে মানুষের কৌতুহলের কোনো শেষ নেই। এ মসজিদে দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়- এ বিশ্বাস থেকেই পাগলা মসজিদে দেশ-বিদেশের মানুষ দান করেন। নানা ধর্ম ও বর্ণের মানুষ টাকা পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা এ মসজিদে দান করে থাকেন। অনেকে রাতে গোপনে এসে এ মসজিদে দান করেন। গভীর রাতে দূর-দূরান্ত থেকে বাস ও মাইক্রোবাসযোগে এসে মুসলিম, হিন্দুসহ সব ধর্মের নারী-পুরুষ গোপনে এ মসজিদে দান করেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
দানের এ টাকা দিয়ে মসজিদ, মাদ্রাসা এতিমখানার উন্নয়নে কাজ করা হয়। এছাড়া হতদরিদ্রদের ক্যানসার ও জঠিল রোগের জন্য চিকিৎসাখাতে সহায়তা করা হয়। তাছাড়া পাগলা মসজিদ কেন্দ্রিক নুরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১৩০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ভরণপোষণ এই দানের টাকা দিয়ে করা হয়ে থাকে। মসজিদ কেন্দ্রিক কবরস্থানের রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নে কাজও করা হয়। মহামারি করোনাকালে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার সরঞ্জামাদি কেনা হয়েছিল। ১১৫ কোটি টাকা দিয়ে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ ও আধুনিক ইসলামিক কমপ্লেক্স নিমার্ণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, গণনার কাজের সার্বিক নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। টাকাগুলো গণনার পর কঠোর নিরাপত্তায় টাকাগুলো রূপালি ব্যাংকে থাকা পাগলা মসজিদের একাউন্টে টাকাগুলো জমা করা হবে বলে তিনি জানান।
জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, পাগলা মসজিদের দানের টাকা দিয়ে একটি অত্যাধুনিক মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের কাজ শুরু করা হবে। যেখানে একসঙ্গে ৩০ হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। যেখানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদের পাশে কিছু ব্যক্তির ভূমি রয়েছে। সে ভূমিগুলো কিনে সেখানে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ ও আধুনিক ইসলামী কমপ্লেক্স নিমার্ণ করা হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, বাংলার বারো ভূঁইয়ার অন্যতম ঈশা খানের বংশধর দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিলকদর পাগলা নরসুন্দা নদীর তীরে বসে নামাজ আদায় করতেন। তিনি মারা গেলে পরবর্তীতে তার ভক্তরা সেখানে মসজিদটি নিমার্ণ করেন। জিলকদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায় বলে স্থানীয়রা জানান।
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চার মাস ১২ দিন পর ১১টি দানবাক্সে ২৮ বস্তা টাকা ও স্বর্ণালংকার মিলেছে -সংবাদ
শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫
দেশের আলোচিত কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চার মাস ১২ দিন পর ১১টি দানবাক্সে মিলেছে ২৮ বস্তা টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। শনিবার ১২ এপ্রিল সকাল ৭টার দিকে জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী, সেনা কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এরপর টাকাগুলো ২৮টি বস্তায় ভরে মসজিদের দোতলায় নিয়ে সেখানে গণনার কাজ শুরু করা হয়েছে। গণনার কাজে রূপালি ব্যাংকের ৮০ জন কর্মকর্তা কর্মচারী, পাগলা মসজিদের এতিমখানার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও শহীদি মসজিদের শিক্ষক শিক্ষার্থীসহ তিন শতাধিক মানুষ এ গণনার কাজে অংশ নেন।
পাগলা মসজিদের কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা জানান, ঐতিহাসিক এ মসজিদে দেশ-বিদেশের নানা ধর্মের মানুষ দান করে থাকেন। সম্প্রতি দানের পরিমাণ বেড়েই চলছে। এ মসজিদে দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়-এমন বিশ্বাস থেকেই প্রতিদিন দানের পরিমাণ বাড়ছে। ২০১৫ সালে ৬ মাসে মসজিদে পাওয়া গিয়েছিল মাত্র ৬৫ লাখ টাকা। বছর চারেক ধরে সে দানের পরিমাণ কয়েকগুণ বেড়েছে। পাগলা মসজিদকে নিয়ে নানান কৌতুহল থাকলেও ২০১৫ সালের পর থেকে এ মসজিদে মানুষের দান করার আগ্রহ বেড়েছে। যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আগে ছয় মাস পর পর আটটি দানবাক্স খোলা হতো। এখন তিন মাস পর পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়। ৮টির পরিবর্তে একটি বেড়ে এখন ৯টি দানবাক্স রাখা হয়েছে। সর্বশেষ ১১টি দানবাক্স বসানো হয়েছে।
জানা গেছে, ২০১৫ সালে ছয় মাস পর ৮টি বাক্স খুলে পাওয়া গিয়েছিল ৬৫ লাখ টাকা। পরের ৬ মাস পর পাওয়া গিয়েছিল ৭৮ লাখ টাকা। ২০১৬ সালের দিকে পাওয়া গিয়েছিল সর্বোচ্চ ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। পরের বার টাকা বেশি মিলায় ৬
মাসের স্থলে ৩ মাস পরপর দানবাক্সগুলো খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এরপর ধীরে ধীরে দানের পরিমাণ বাড়তে থাকে। ২০১৮ সালে ৩১ মার্চে দানবাক্সগুলোতে পাওয়া গিয়েছিল ৮৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা। পরের বছর ২০১৯ সালের ১৯ জানুয়ারিতে পাওয়া গিয়েছিল ১ কোটি ১৩ লাখ ৩৩ হাজার টাকা। করোনাকালে সবকিছু বন্ধ থাকলেও পাগলা মসজিদে মানুষের দান কমেনি। ২০২০ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারিতে মসজিদের দানবাক্সে মিলেছিল সর্বোচ্চ ১ কোটি ৫০ লাখ ১৮ হাজার টাকা। এরপর থেকেই পাগলা মসজিদে দানের পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। ২০২২ সালের ১২ মার্চ দানবাক্সে পাওয়া গিয়েছিল ৩ কোটি ৭৮ লাখ ৫৩ হাজার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার। সর্বশেষ ২০২৪ সালের ১৭ আগস্ট মিলেছে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা। গত ৩০ নভেম্বর তিন মাস ১৩ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলার পর মিলেছিল ২৯ বস্তা টাকা, স্বর্ণালঙ্কার ও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। গণনার পর সেসময় পাওয়া গিয়েছিল ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ টাকা। এছাড়াও স্বর্ণালঙ্কার ও বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গিয়েছিল। এবার চার মাস ১২ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলার পর মিলেছে ২৮ বস্তা টাকা। এক মাস বেশি সময়ের পর দানবাক্সগুলো খোলার পর এক বস্তা টাকা কম পাওয়া গেছে।
জেলা শহরের পশ্চিম প্রান্তে হারুয়া এলাকায় নরসুন্দা নদীর তীরে ৩ একর ৮৮ শতক জায়গা নিয়ে দৃষ্ঠিনন্দন পাগলা মসজিদ ও ইসলামিক কমপ্লেক্সের অবস্থান। সুউচ্চ মিনার ও তিন গম্বুজ বিশিষ্ট ৩ তলা পাগলা মসজিদটি অন্যতম ঐতিহাসিক দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা হিসেবে মনে করা হয়। এ মসজিদকে ঘিরে মানুষের কৌতুহলের কোনো শেষ নেই। এ মসজিদে দান করলে মনোবাসনা পূর্ণ হয়- এ বিশ্বাস থেকেই পাগলা মসজিদে দেশ-বিদেশের মানুষ দান করেন। নানা ধর্ম ও বর্ণের মানুষ টাকা পয়সা, স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা এ মসজিদে দান করে থাকেন। অনেকে রাতে গোপনে এসে এ মসজিদে দান করেন। গভীর রাতে দূর-দূরান্ত থেকে বাস ও মাইক্রোবাসযোগে এসে মুসলিম, হিন্দুসহ সব ধর্মের নারী-পুরুষ গোপনে এ মসজিদে দান করেন বলে স্থানীয় লোকজন জানিয়েছেন।
দানের এ টাকা দিয়ে মসজিদ, মাদ্রাসা এতিমখানার উন্নয়নে কাজ করা হয়। এছাড়া হতদরিদ্রদের ক্যানসার ও জঠিল রোগের জন্য চিকিৎসাখাতে সহায়তা করা হয়। তাছাড়া পাগলা মসজিদ কেন্দ্রিক নুরুল কোরআন হাফিজিয়া মাদ্রাসার ১৩০ জন শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের ভরণপোষণ এই দানের টাকা দিয়ে করা হয়ে থাকে। মসজিদ কেন্দ্রিক কবরস্থানের রক্ষণাবেক্ষণ ও উন্নয়নে কাজও করা হয়। মহামারি করোনাকালে শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার সরঞ্জামাদি কেনা হয়েছিল। ১১৫ কোটি টাকা দিয়ে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ ও আধুনিক ইসলামিক কমপ্লেক্স নিমার্ণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী জানান, গণনার কাজের সার্বিক নিরাপত্তায় সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। টাকাগুলো গণনার পর কঠোর নিরাপত্তায় টাকাগুলো রূপালি ব্যাংকে থাকা পাগলা মসজিদের একাউন্টে টাকাগুলো জমা করা হবে বলে তিনি জানান।
জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান জানান, পাগলা মসজিদের দানের টাকা দিয়ে একটি অত্যাধুনিক মসজিদ ও ইসলামী কমপ্লেক্সের কাজ শুরু করা হবে। যেখানে একসঙ্গে ৩০ হাজার মুসুল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। যেখানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদের পাশে কিছু ব্যক্তির ভূমি রয়েছে। সে ভূমিগুলো কিনে সেখানে দৃষ্টিনন্দন মসজিদ ও আধুনিক ইসলামী কমপ্লেক্স নিমার্ণ করা হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য, বাংলার বারো ভূঁইয়ার অন্যতম ঈশা খানের বংশধর দেওয়ান জিলকদর খান ওরফে জিলকদর পাগলা নরসুন্দা নদীর তীরে বসে নামাজ আদায় করতেন। তিনি মারা গেলে পরবর্তীতে তার ভক্তরা সেখানে মসজিদটি নিমার্ণ করেন। জিলকদর পাগলার নামানুসারেই মসজিদটি ‘পাগলা মসজিদ’ হিসেবে পরিচিতি পায় বলে স্থানীয়রা জানান।