গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের শনিবার, (১৯ এপ্রিল) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২,২২৭ জন।
তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এইভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যু প্রতিদিন বাড়ছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমাজেন্সি ও কন্ট্রোলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৫ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৭ জন, খুলনা বিভাগে ৩ জন। আক্রান্তের মধ্যে ৯টি শিশু। অন্যরা কিশোর ও বয়স্ক।
ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ৯ জন, উত্তরে ১ জন, বরিশালে ২ জন ও ঢাকা বিভাগে ১ জন মারা গেছে। অন্যরা ঢাকার বাইরে জেলা ও বিভাগে রয়েছে।
হাসপাতালের তথ্য মতে, ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১ জন, মহাখালী কোভিড-১৯ হাসপাতালে
১২ জন। এইভাবে ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ৩৮ জন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ কবিরুল বাসার তার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, জনসচেতনতার অভাবে এডিস মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। আগাম ব্যবস্থা না নিলে চলতি বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, উষ্ণ আবহাওয়ায় ডিম থেকে পূর্ণবয়স্ক মশা হয়ে উঠতে কম সময় লাগে। ফলে মশার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ডেঙ্গু সংক্রমণের জন্য অত্যন্ত সহায়ক পরিবেশ তৈরি করছে। গবেষণায় দেখা গেছে, উষ্ণ আবহাওয়ার ডিম থেকে পূর্ণবয়স্ক মশা হয়ে উঠতে কম সময় লাগে। ফলে মশার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
আগে শুধু বর্ষাকালে ডেঙ্গু দেখা যেত। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন গ্র্রীষ্মকালেও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অনিয়মিত ও অতিবর্ষণের ফলে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকে। যা মশা জন্মের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ডেঙ্গুর ধরন পরিবর্তিত হলে সংক্রমণ আরও মারাত্মক হতে পারে।
ডেঙ্গু বাংলাদেশের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে উঠেছে। এটি প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগ, গবেষণা, জনসচেতনতা এবং ব্যক্তিগত প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫
গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরও ৩৫ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের শনিবার, (১৯ এপ্রিল) পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছে ২,২২৭ জন।
তার মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মোট ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এইভাবে আক্রান্ত ও মৃত্যু প্রতিদিন বাড়ছে।
মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমাজেন্সি ও কন্ট্রোলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডা. জাহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্তের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৬ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৫ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ৭ জন, খুলনা বিভাগে ৩ জন। আক্রান্তের মধ্যে ৯টি শিশু। অন্যরা কিশোর ও বয়স্ক।
ডেঙ্গুতে মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে ঢাকা দক্ষিণে ৯ জন, উত্তরে ১ জন, বরিশালে ২ জন ও ঢাকা বিভাগে ১ জন মারা গেছে। অন্যরা ঢাকার বাইরে জেলা ও বিভাগে রয়েছে।
হাসপাতালের তথ্য মতে, ডেঙ্গু আক্রান্তের মধ্যে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১১ জন, মহাখালী কোভিড-১৯ হাসপাতালে
১২ জন। এইভাবে ১৮টি সরকারি হাসপাতালে ৩৮ জন।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব বিশেষজ্ঞ কবিরুল বাসার তার এক প্রতিবেদনে বলেছেন, জনসচেতনতার অভাবে এডিস মশাবাহিত এই রোগের প্রকোপ ক্রমশ বাড়ছে। আগাম ব্যবস্থা না নিলে চলতি বছর ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, উষ্ণ আবহাওয়ায় ডিম থেকে পূর্ণবয়স্ক মশা হয়ে উঠতে কম সময় লাগে। ফলে মশার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশে তাপমাত্রা ও আর্দ্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যা ডেঙ্গু সংক্রমণের জন্য অত্যন্ত সহায়ক পরিবেশ তৈরি করছে। গবেষণায় দেখা গেছে, উষ্ণ আবহাওয়ার ডিম থেকে পূর্ণবয়স্ক মশা হয়ে উঠতে কম সময় লাগে। ফলে মশার সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
আগে শুধু বর্ষাকালে ডেঙ্গু দেখা যেত। কিন্তু জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন গ্র্রীষ্মকালেও ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে অনিয়মিত ও অতিবর্ষণের ফলে বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকে। যা মশা জন্মের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করে। গবেষণায় দেখা গেছে, ডেঙ্গুর ধরন পরিবর্তিত হলে সংক্রমণ আরও মারাত্মক হতে পারে।
ডেঙ্গু বাংলাদেশের জন্য একটি ক্রমবর্ধমান স্বাস্থ্যঝুঁকি হয়ে উঠেছে। এটি প্রতিরোধে সরকারি উদ্যোগ, গবেষণা, জনসচেতনতা এবং ব্যক্তিগত প্রতিরোধ ব্যবস্থা ও একসঙ্গে কাজ করতে হবে।