ছয় দফা দাবি আদায়ে রোববার দেশের প্রতিটি জেলায় একযোগে সমাবেশ করেছে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।
ঢাকায় বেলা ১২টার দিকে আগারগাঁওয়ে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ শুরু হয়।
শিক্ষার্থীরা জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশন সংক্রান্ত হাই কোর্টের রায় বাতিলসহ ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন।
সমাবেশে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা—‘দেশ গড়ার হাতিয়ার/ গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন/ প্রশাসন জবাব চাই’, ‘পলিটেকনিক এক হও’ প্রভৃতি।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, “এই আন্দোলন কেবল শিক্ষার্থীদের নয়—এটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ারসহ কারিগরি পেশাজীবীদের আন্দোলন।”
ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশন সংক্রান্ত রিটকে ‘কালো রিট’ আখ্যায়িত করে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “রিট বাতিল না হলে আগামী দিনে সারাদেশ অচল করে দেওয়া হবে।”
এর আগে কুমিল্লায় এক কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। সেখানে ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের নামফলক ঢেকে দিয়ে ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
গত কয়েকদিন ধরেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। কাফনের কাপড় পরে গণমিছিল, মশাল মিছিল, সড়ক অবরোধ, এমনকি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।
এরইমধ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খানকে সরিয়ে দিয়ে উপাধ্যক্ষ শাহেলা পারভীনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল–
১. জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাই কোর্টের রায় বাতিলসহ ক্রাফট ইন্সট্রাকটর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করা। ২০২১ সালের বিতর্কিত ক্রাফট ইন্সট্রাকটর নিয়োগের জন্য নিয়োগবিধি অনতিবিলম্বে বাতিল করা, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করা এবং মামলার প্রধান কারিগর ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
২. ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদী অব্যাহত রাখা এবং মানসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের আদলে প্রণয়ন করা।
৩. উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) পদে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাস করা শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করতে পারবে না এবং এই পদ সংরক্ষিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছাত্রদের ন্যূনতম ১০ম গ্রেডের বেসিক অর্থাৎ ১৬০০০ টাকা দেওয়া।
৪. কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটি প্রকাশ করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, উপ-পরিচালক, অধ্যক্ষ ও দায়িত্বে থাকা সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলকে দায়িত্ব/নিয়োগ দেওয়া।
৫. কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত সকল নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল সকল শূন্য পদে পলিটেকনিক ও টিএসসিতে দক্ষ শিক্ষক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।
৬. ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্বের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার গেজেট পাস করতে হবে এবং বর্তমানে প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল, খাগড়াছড়ি) শতভাগ সিট নিশ্চিত করা।
রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫
ছয় দফা দাবি আদায়ে রোববার দেশের প্রতিটি জেলায় একযোগে সমাবেশ করেছে ‘কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ’-এর ব্যানারে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা।
ঢাকায় বেলা ১২টার দিকে আগারগাঁওয়ে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সামনে শিক্ষার্থীদের সমাবেশ শুরু হয়।
শিক্ষার্থীরা জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশন সংক্রান্ত হাই কোর্টের রায় বাতিলসহ ছয় দফা দাবি উত্থাপন করেন।
সমাবেশে বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা—‘দেশ গড়ার হাতিয়ার/ গর্জে ওঠো আরেকবার’, ‘কুমিল্লায় হামলা কেন/ প্রশাসন জবাব চাই’, ‘পলিটেকনিক এক হও’ প্রভৃতি।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী ও আন্দোলনের প্রতিনিধি মাশফিক ইসলাম দেওয়ান বলেন, “এই আন্দোলন কেবল শিক্ষার্থীদের নয়—এটি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ারসহ কারিগরি পেশাজীবীদের আন্দোলন।”
ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশন সংক্রান্ত রিটকে ‘কালো রিট’ আখ্যায়িত করে তিনি হুঁশিয়ারি দেন, “রিট বাতিল না হলে আগামী দিনে সারাদেশ অচল করে দেওয়া হবে।”
এর আগে কুমিল্লায় এক কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় মানববন্ধন করে শিক্ষার্থীরা। সেখানে ইনস্টিটিউটের মূল ফটকের নামফলক ঢেকে দিয়ে ‘রাইজ ইন রেড’ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
গত কয়েকদিন ধরেই শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন কর্মসূচি চালিয়ে আসছে। কাফনের কাপড় পরে গণমিছিল, মশাল মিছিল, সড়ক অবরোধ, এমনকি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বৈঠকও হয়েছে, কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছেন তারা।
এরইমধ্যে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান খানকে সরিয়ে দিয়ে উপাধ্যক্ষ শাহেলা পারভীনকে অতিরিক্ত দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হল–
১. জুনিয়র ইন্সট্রাকটর পদে ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের প্রমোশনের হাই কোর্টের রায় বাতিলসহ ক্রাফট ইন্সট্রাকটর পদবি পরিবর্তন এবং ওই মামলার সঙ্গে সম্পৃক্ত সকলকে স্থায়ীভাবে চাকুরিচ্যুত করা। ২০২১ সালের বিতর্কিত ক্রাফট ইন্সট্রাকটর নিয়োগের জন্য নিয়োগবিধি অনতিবিলম্বে বাতিল করা, সুষ্ঠু তদন্তের ভিত্তিতে নিয়োগ বাতিল করা এবং মামলার প্রধান কারিগর ক্রাফট ইন্সট্রাকটরদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া।
২. ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স চার বছর মেয়াদী অব্যাহত রাখা এবং মানসম্মত সিলেবাস ও কারিকুলাম আধুনিক বিশ্বের আদলে প্রণয়ন করা।
৩. উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও সমমান (১০ম গ্রেড) পদে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি (সার্ভেয়িং) হতে পাস করা শিক্ষার্থী ছাড়া অন্য কেউ আবেদন করতে পারবে না এবং এই পদ সংরক্ষিত করতে হবে। প্রাইভেট সেক্টরে ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং পাস করা ছাত্রদের ন্যূনতম ১০ম গ্রেডের বেসিক অর্থাৎ ১৬০০০ টাকা দেওয়া।
৪. কারিগরি শিক্ষা সংস্কার কমিটি প্রকাশ করে কারিগরি সেক্টর পরিচালনায় পরিচালক, উপ-পরিচালক, অধ্যক্ষ ও দায়িত্বে থাকা সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবলকে দায়িত্ব/নিয়োগ দেওয়া।
৫. কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের বিতর্কিত সকল নিয়োগ বিধিমালা সংশোধন এবং কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল সকল শূন্য পদে পলিটেকনিক ও টিএসসিতে দক্ষ শিক্ষক ও দক্ষ ল্যাব সহকারীর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা।
৬. ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং ও মনোটেকনোলজি থেকে পাস করা শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার জন্য আধুনিক বিশ্বের আদলে একটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করার গেজেট পাস করতে হবে এবং বর্তমানে প্রস্তাবিত চারটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ (নওগাঁ, ঠাকুরগাঁও, নড়াইল, খাগড়াছড়ি) শতভাগ সিট নিশ্চিত করা।