পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে চলমান সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে নতুন নতুন প্রস্তাব আসছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সংসদ ভবনের এলডি হলে বিএনপির সঙ্গে তৃতীয় দিনের সংলাপ শুরুর বক্তব্যে তিনি বলেন, “আলোচনায় নতুন প্রস্তাব এসেছে। সেগুলো কমিশনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দেখতে হবে। কারণ এগুলো ঐকমত্য কমিশনের কাছে এসেছে সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলোর পক্ষ থেকে।”
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নেওয়ার পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দুই ধাপে মোট ১১টি কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে সংবিধান, জনপ্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত পাঁচটি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “এই টেবিল থেকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, সংশ্লিষ্ট দলগুলোর নীতিনির্ধারকদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। কবে সেটা হবে, আমরা তা শিগগিরই জানতে পারব বলে আশা করছি।”
তিনি আরও বলেন, “অনেক জায়গায় দলগুলোর মধ্যে আমরা ঐকমত্য বা অন্তত সামঞ্জস্যের জায়গায় পৌঁছাতে পারছি। কিছু বিষয়ে মতভেদও রয়েছে, যা স্বাভাবিক।”
বিএনপির সঙ্গে আগের দু’দিনের আলোচনায় কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বেশ কিছু বিষয়ে সামঞ্জস্য পাওয়া গেছে, আবার কিছু বিষয়ে মতভেদ আছে। এসব ক্ষেত্রে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা দলের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।”
তিনি আরও জানান, বিএনপিসহ এখন পর্যন্ত ১৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং প্রথম পর্যায়ের আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বাকি দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলবে।
সংলাপের বিষয়গুলো নিয়মিতভাবে কমিশন প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে জানানো হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, “প্রতিটি বিষয়ের অগ্রগতি তাকে জানানো হয় এবং প্রধান উপদেষ্টা সেগুলোর ওপর দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।”
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় মঙ্গলবারের বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও সফর রাজ হোসেন।
বিএনপির প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। প্রতিনিধি দলে আরও আছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাঈল জবিউল্লাহ, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং সাবেক সচিব আবু মো. মনিরুজ্জামান খান।
মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫
পাঁচ সংস্কার কমিশনের সুপারিশ নিয়ে চলমান সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে নতুন নতুন প্রস্তাব আসছে বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সংসদ ভবনের এলডি হলে বিএনপির সঙ্গে তৃতীয় দিনের সংলাপ শুরুর বক্তব্যে তিনি বলেন, “আলোচনায় নতুন প্রস্তাব এসেছে। সেগুলো কমিশনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে দেখতে হবে। কারণ এগুলো ঐকমত্য কমিশনের কাছে এসেছে সংশ্লিষ্ট কমিশনগুলোর পক্ষ থেকে।”
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নেওয়ার পর গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার রাষ্ট্র সংস্কারের লক্ষ্যে দুই ধাপে মোট ১১টি কমিশন গঠন করে। এর মধ্যে সংবিধান, জনপ্রশাসন, নির্বাচন ব্যবস্থা, বিচার বিভাগ ও দুর্নীতি দমন সংক্রান্ত পাঁচটি কমিশনের গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করছে ঐকমত্য কমিশন।
অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, “এই টেবিল থেকে চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়। কারণ, সংশ্লিষ্ট দলগুলোর নীতিনির্ধারকদের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। কবে সেটা হবে, আমরা তা শিগগিরই জানতে পারব বলে আশা করছি।”
তিনি আরও বলেন, “অনেক জায়গায় দলগুলোর মধ্যে আমরা ঐকমত্য বা অন্তত সামঞ্জস্যের জায়গায় পৌঁছাতে পারছি। কিছু বিষয়ে মতভেদও রয়েছে, যা স্বাভাবিক।”
বিএনপির সঙ্গে আগের দু’দিনের আলোচনায় কিছু বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “বেশ কিছু বিষয়ে সামঞ্জস্য পাওয়া গেছে, আবার কিছু বিষয়ে মতভেদ আছে। এসব ক্ষেত্রে বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা দলের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী সময়ে সিদ্ধান্ত জানাবেন।”
তিনি আরও জানান, বিএনপিসহ এখন পর্যন্ত ১৫টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং প্রথম পর্যায়ের আলোচনা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বাকি দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চলবে।
সংলাপের বিষয়গুলো নিয়মিতভাবে কমিশন প্রধান মুহাম্মদ ইউনূসকে জানানো হচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন আলী রীয়াজ। তিনি বলেন, “প্রতিটি বিষয়ের অগ্রগতি তাকে জানানো হয় এবং প্রধান উপদেষ্টা সেগুলোর ওপর দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন।”
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দারের সঞ্চালনায় মঙ্গলবারের বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এমদাদুল হক, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান ও সফর রাজ হোসেন।
বিএনপির প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। প্রতিনিধি দলে আরও আছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাঈল জবিউল্লাহ, আইনজীবী রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং সাবেক সচিব আবু মো. মনিরুজ্জামান খান।