ছয় দফা দাবির প্রেক্ষিতে গঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটিকে সময় দিয়ে আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন।
এর আগে বিকালে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই কমিটির কাজ হবে শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলো যাচাই-বাছাই করে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি রূপরেখা প্রণয়ন এবং সুপারিশ প্রদান।
কমিটিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম কারিগরি ছাত্র আন্দোলন–এর একজন উপদেষ্টাও সদস্য হিসেবে রয়েছেন। কমিটিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৭ এপ্রিল থেকে সারাদেশে ছয় দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—ডিপ্লোমা ডিগ্রির স্বীকৃতি, সরকারি চাকরিতে সমান সুযোগ, ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগে সমতা, কারিগরি শিক্ষা কমিশন গঠন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সড়ক ও রেল অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে তারা। সোমবার আন্দোলনকারীরা সরকারের প্রতি ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। এরপরই মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে।
আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন–এর প্রতিনিধি জোবায়ের পাটোয়ারী বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আস্থা রেখে আপাতত আন্দোলন স্থগিত করছি। তবে দাবির বাস্তবায়নে গড়িমসি হলে আমরা ফের রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।”
৮ সদস্যের কমিটি
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ‘যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণে’ আট সদস্যের এ কমিটি গঠন করার তথ্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ-উদ-দৌলা খান। এক বার্তায় তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, আইইবি, আইডিইবি এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে এ কমিটি করা হয়েছে। কমিটি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী দাবিগুলো পূরণে সুপারিশ প্রণয়ন করবে। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রসা শিক্ষা বিভাগের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে। কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন বিভাগের কারিগরি অনুবিভাগের যুগ্মসচিব। অন্যান্য সদস্যরা হলেন- ইঞ্জিনিয়ারর্স ইনস্টিটিশন বাংলাদেশের (আইইবি) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. সাব্বির মোস্তফা খান; ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) সদস্য সচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন; জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসের অধ্যাপক এবং সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সৈয়দ আব্দুল আজিজ; কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক; চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক এবং সিলেট ও রংপুর পলিটেকনিকের সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফয়সাল মুফতী এবং কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রধান কার্যনির্বাহী উপদেষ্টা ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থী মো. রহমত উল আলম।
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
ছয় দফা দাবির প্রেক্ষিতে গঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটিকে সময় দিয়ে আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার রাতে ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন।
এর আগে বিকালে কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে আট সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এই কমিটির কাজ হবে শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিগুলো যাচাই-বাছাই করে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি রূপরেখা প্রণয়ন এবং সুপারিশ প্রদান।
কমিটিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম কারিগরি ছাত্র আন্দোলন–এর একজন উপদেষ্টাও সদস্য হিসেবে রয়েছেন। কমিটিকে তিন সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
গত ১৭ এপ্রিল থেকে সারাদেশে ছয় দফা দাবি নিয়ে আন্দোলনে নামে পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীরা। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—ডিপ্লোমা ডিগ্রির স্বীকৃতি, সরকারি চাকরিতে সমান সুযোগ, ইঞ্জিনিয়ার পদে নিয়োগে সমতা, কারিগরি শিক্ষা কমিশন গঠন এবং অবকাঠামোগত উন্নয়ন।
এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সড়ক ও রেল অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করে তারা। সোমবার আন্দোলনকারীরা সরকারের প্রতি ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন। এরপরই মন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করে।
আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দিয়ে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন–এর প্রতিনিধি জোবায়ের পাটোয়ারী বলেন, “আমরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আস্থা রেখে আপাতত আন্দোলন স্থগিত করছি। তবে দাবির বাস্তবায়নে গড়িমসি হলে আমরা ফের রাজপথে নামতে বাধ্য হবো।”
৮ সদস্যের কমিটি
পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের ‘যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণে’ আট সদস্যের এ কমিটি গঠন করার তথ্য দেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ-উদ-দৌলা খান। এক বার্তায় তিনি বলেন, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর, আইইবি, আইডিইবি এবং ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে এ কমিটি করা হয়েছে। কমিটি স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদী দাবিগুলো পূরণে সুপারিশ প্রণয়ন করবে। ওই সুপারিশের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রসা শিক্ষা বিভাগের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে। কমিটির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পালন করবেন বিভাগের কারিগরি অনুবিভাগের যুগ্মসচিব। অন্যান্য সদস্যরা হলেন- ইঞ্জিনিয়ারর্স ইনস্টিটিশন বাংলাদেশের (আইইবি) সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো. সাব্বির মোস্তফা খান; ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স বাংলাদেশের (আইডিইবি) সদস্য সচিব প্রকৌশলী কাজী সাখাওয়াত হোসেন; জেডএনআরএফ ইউনিভার্সিটি অব ম্যানেজমেন্ট সায়েন্সেসের অধ্যাপক এবং সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ সৈয়দ আব্দুল আজিজ; কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক; চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগে একটি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের পরিচালক এবং সিলেট ও রংপুর পলিটেকনিকের সাবেক অধ্যক্ষ মোহাম্মদ ফয়সাল মুফতী এবং কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের প্রধান কার্যনির্বাহী উপদেষ্টা ও ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের সাবেক শিক্ষার্থী মো. রহমত উল আলম।