পাঁচতলা বাড়ি রয়েছে—এমন ব্যক্তিও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছেন। এমনকি প্রশাসনের এক কর্মকর্তার বাড়িতে তিনটি কার্ড থাকার তথ্যও উঠে এসেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে এসব তথ্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বুধবার ঢাকার আর্মি গলফ ক্লাবের গলফ গার্ডেনে ‘টিসিবির সঙ্গে বাণিজ্য’ শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য জানান তিনি। টিসিবির উদ্যোগে আয়োজিত ‘কোটি মানুষের পাশে’ শীর্ষক এই সংলাপে আলাদা তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির দুই পরিচালক এস এম শাহীন পারভেজ ও আবেদ আলী এবং যুগ্ম পরিচালক আল আমিন হাওলাদার। প্রবন্ধ উপস্থাপনের পর মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ছাত্র প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ এবং সমাপনী বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আগস্ট বিপ্লবের আগে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রেহাই পায়নি টিসিবি। এক কোটি পরিবারের জন্য নির্ধারিত ফ্যামিলি কার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল। এসব অনিয়ম শনাক্ত করে প্রায় ৪০ লাখ কার্ডধারীর নাম বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় আস্থা আসবে না, যদি মানুষ দেখে সবখানে দুর্বৃত্তায়ন চলছে। এ কারণে আমরা টিসিবিকে দুর্বৃত্তায়নের বাইরে এনে সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনতে চাই।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও জানান, টিসিবি বছরে ১২ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকার পণ্য কিনলেও এর বিপরীতে সরকারকে ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। তিনি বলেন, ‘একটি দুর্বৃত্তায়িত ব্যবস্থা বহু দুর্বৃত্ত সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই। এখন থেকে শুধু নিম্ন আয়ের উপযুক্ত পরিবারগুলোই কার্ড পাবে।’
টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ জানান, ভর্তুকি মূল্যে ডাল, তেল, চিনি ইত্যাদির পাশাপাশি ভবিষ্যতে কার্ডধারী পরিবারকে সাবানও দেওয়া হবে।
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫
পাঁচতলা বাড়ি রয়েছে—এমন ব্যক্তিও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ড পেয়েছেন। এমনকি প্রশাসনের এক কর্মকর্তার বাড়িতে তিনটি কার্ড থাকার তথ্যও উঠে এসেছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘুরে এসব তথ্য পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
বুধবার ঢাকার আর্মি গলফ ক্লাবের গলফ গার্ডেনে ‘টিসিবির সঙ্গে বাণিজ্য’ শীর্ষক এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব তথ্য জানান তিনি। টিসিবির উদ্যোগে আয়োজিত ‘কোটি মানুষের পাশে’ শীর্ষক এই সংলাপে আলাদা তিনটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সংস্থাটির দুই পরিচালক এস এম শাহীন পারভেজ ও আবেদ আলী এবং যুগ্ম পরিচালক আল আমিন হাওলাদার। প্রবন্ধ উপস্থাপনের পর মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ছাত্র প্রতিনিধি ও ব্যবসায়ীরা। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ এবং সমাপনী বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আগস্ট বিপ্লবের আগে দুর্বৃত্তদের হাত থেকে রেহাই পায়নি টিসিবি। এক কোটি পরিবারের জন্য নির্ধারিত ফ্যামিলি কার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছিল। এসব অনিয়ম শনাক্ত করে প্রায় ৪০ লাখ কার্ডধারীর নাম বাতিল করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘সরকারি ব্যবস্থাপনায় আস্থা আসবে না, যদি মানুষ দেখে সবখানে দুর্বৃত্তায়ন চলছে। এ কারণে আমরা টিসিবিকে দুর্বৃত্তায়নের বাইরে এনে সঠিক ব্যবস্থাপনায় আনতে চাই।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা আরও জানান, টিসিবি বছরে ১২ থেকে ১৪ হাজার কোটি টাকার পণ্য কিনলেও এর বিপরীতে সরকারকে ৬ থেকে ৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হয়। তিনি বলেন, ‘একটি দুর্বৃত্তায়িত ব্যবস্থা বহু দুর্বৃত্ত সৃষ্টি করেছে। এ অবস্থা থেকে আমরা বেরিয়ে আসতে চাই। এখন থেকে শুধু নিম্ন আয়ের উপযুক্ত পরিবারগুলোই কার্ড পাবে।’
টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ জানান, ভর্তুকি মূল্যে ডাল, তেল, চিনি ইত্যাদির পাশাপাশি ভবিষ্যতে কার্ডধারী পরিবারকে সাবানও দেওয়া হবে।