বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের তিনটি ফ্ল্যাট, পাঁচটি বাড়ি ও প্রায় ১০০ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত। ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক এ মহাপরিচালকের ৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশও দেয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার,(২৪ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। জব্দ সম্পত্তির তালিকা সম্পর্কে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা কমিশনের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম বলেন, মিরপুর ডিওএইচএসের ১৪৬০ ও ২১১০ বর্গফুটের দুটি ও উত্তরার ২৬০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
বরিশালে পৈত্রিক সম্পত্তিতে নির্মিত ৮ তলা বাড়ি, একই জেলার বাগান বাড়ি, পুকুরসহ একটি বাড়ি, ১২৭০ বর্গফুটের একতলা পুরাতন বাড়ি ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৮ শতাংশ জমিতে নির্মিত ৮ তলা ভবনও রয়েছে জব্দের তালিকায়। সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদনটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম।
আবেদনে বলা হয়, জিয়াউল আহসান স্থাবর সম্পদ বিক্রয় এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। গত ২৩ জানুয়ারি জিয়াউল আহসান এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় ৪০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জন এবং ৩৪২ কোটি টাকার ‘অস্বাভাবিক লেনদেনের’ অভিযোগে মামলা করে দুদক।
১৫ আগস্ট গভীর রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়। গণহত্যার দায়ে করা মামলাতেও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া জিয়াউল সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার ছিলেন। ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে তিনি র্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক হন। ওই বছরই তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। র্যাবে দায়িত্ব পালনের সময় থেকেই জিয়াউল আহসান হয়ে উঠেছিলেন সংবাদমাধ্যমে পরিচিত নাম।
কর্নেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক করে তাকে র্যাবেই রেখে দেয়া হয়। ২০১৬ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে জিয়াউল আহসানকে পাঠানো হয় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালকের দায়িত্বে।
পরের বছরই এনটিএমসির পরিচালক করা হয় জিয়াউল আহসানকে। ২০২২ সালে সংস্থাটিতে মহাপরিচালক পদ সৃষ্টির পর তাকেই সংস্থাটির নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল। ক্ষমতার পালাবদলের পর সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে রদবদলের ধারাবাহিকতায় গত ৬ আগস্ট তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় জিয়াউল আহসানকে। আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে গুম, খুন এবং ‘আয়নাঘর’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া গোপন বন্দিশালায় নির্যাতনে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫
বরখাস্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসানের তিনটি ফ্ল্যাট, পাঁচটি বাড়ি ও প্রায় ১০০ বিঘা জমি জব্দের আদেশ দিয়েছে আদালত। ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক এ মহাপরিচালকের ৯টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশও দেয়া হয়েছে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার,(২৪ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। জব্দ সম্পত্তির তালিকা সম্পর্কে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা কমিশনের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম বলেন, মিরপুর ডিওএইচএসের ১৪৬০ ও ২১১০ বর্গফুটের দুটি ও উত্তরার ২৬০০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট একটি ফ্ল্যাট রয়েছে।
বরিশালে পৈত্রিক সম্পত্তিতে নির্মিত ৮ তলা বাড়ি, একই জেলার বাগান বাড়ি, পুকুরসহ একটি বাড়ি, ১২৭০ বর্গফুটের একতলা পুরাতন বাড়ি ও নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে ৮ শতাংশ জমিতে নির্মিত ৮ তলা ভবনও রয়েছে জব্দের তালিকায়। সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদনটি করেন দুদকের উপ-পরিচালক রেজাউল করিম।
আবেদনে বলা হয়, জিয়াউল আহসান স্থাবর সম্পদ বিক্রয় এবং ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উত্তোলন ও স্থানান্তর করার পরিকল্পনা করছেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে এসব সম্পদ জব্দ এবং ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। গত ২৩ জানুয়ারি জিয়াউল আহসান এবং তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রায় ৪০ কোটি ৮৭ লাখ টাকার ‘অবৈধ সম্পদ’ অর্জন এবং ৩৪২ কোটি টাকার ‘অস্বাভাবিক লেনদেনের’ অভিযোগে মামলা করে দুদক।
১৫ আগস্ট গভীর রাতে রাজধানীর খিলক্ষেত এলাকা থেকে জিয়াউল আহসানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাকে বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডে নেয়া হয়। গণহত্যার দায়ে করা মামলাতেও তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন।
১৯৯১ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে কমিশন পাওয়া জিয়াউল সেনাবাহিনীর একজন প্রশিক্ষিত কমান্ডো ও প্যারাট্রুপার ছিলেন। ২০০৯ সালে মেজর থাকাকালে তিনি র্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক হন। ওই বছরই তিনি পদোন্নতি পেয়ে লেফটেন্যান্ট কর্নেল হন এবং র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার পরিচালকের দায়িত্ব পান। র্যাবে দায়িত্ব পালনের সময় থেকেই জিয়াউল আহসান হয়ে উঠেছিলেন সংবাদমাধ্যমে পরিচিত নাম।
কর্নেল পদে পদোন্নতি পাওয়ার পর ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে অতিরিক্ত মহাপরিচালক করে তাকে র্যাবেই রেখে দেয়া হয়। ২০১৬ সালে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হিসেবে পদোন্নতি দিয়ে জিয়াউল আহসানকে পাঠানো হয় জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) পরিচালকের দায়িত্বে।
পরের বছরই এনটিএমসির পরিচালক করা হয় জিয়াউল আহসানকে। ২০২২ সালে সংস্থাটিতে মহাপরিচালক পদ সৃষ্টির পর তাকেই সংস্থাটির নেতৃত্বে রাখা হয়েছিল। ক্ষমতার পালাবদলের পর সেনাবাহিনীর উচ্চ পর্যায়ে রদবদলের ধারাবাহিকতায় গত ৬ আগস্ট তাকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া হয় জিয়াউল আহসানকে। আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে গুম, খুন এবং ‘আয়নাঘর’ হিসেবে পরিচিতি পাওয়া গোপন বন্দিশালায় নির্যাতনে জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে।