জুলাই আন্দোলনে আহতের অভিযোগ
গত বছর ১৯ জুলাই মিরপুর ১০ নাম্বারে গোল চত্বরে আন্দোলনরত অবস্থায় ডানপায়ের হাঁটুতে গুলি লাগে বিইউবিটির শিক্ষার্থী সৌরভের। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে না পেরে গত বছরের ৫ নভেম্বর ভর্তি হন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে। এখন এই হাসপাতালের ওয়ার্ড বি’র ৩৬ নাম্বার বেডে ভর্তি আছেন তিনি। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমার পা ফেলে দেয়া হতে পারে, কিংবা রিপ্লেস হতে পারে।’
সৌরভ বলেন, ‘আমলাতান্ত্রিক শুরু করে এখানে বিভিন্ন জটিলতা আছে। তারা কয়েকজনকে পাঠায়, অনেকের জিও পর্যন্ত চলে আসছে। আবার বলছে, ফান্ড নাই। মিনিস্ট্রি তারা চায়না, তারা এভাবে মাঠ গরম করতে চায়। আমাদেরকে রেখে দিয়ে তারা মাঠ গরম করতে চাচ্ছে, এটাই তাদের উদ্দেশ্য। আমরা হচ্ছি তুরুপের তাস, ট্রাম্প কার্ড, আমদেরকে ব্যবহার করতে চায় তারা।’
আপনাদের কারা ব্যবহার করতে চাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের স্বার্থান্বেষী মহল করতে চাচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল করতে চাচ্ছে। এবং করছেনও তারা।’
উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে শনিবার (২৬/ ০৪/ ২০২৫) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) সামনে মানববন্ধনে করেছেন জুলাই আন্দোলনে আহতরা। সেই মানববন্ধনে এসেছিলেন সৌরভও। সেখানে তিনি বক্তব্যও রাখেন।
মানববন্ধনে জুলাই আন্দোলনে আরেক আহত রোমন মিয়া বলেন, ‘আমাদের উন্নত চিকিৎসার নামে নাপা ট্যাবলেট দেয়া হচ্ছে। এই যন্ত্রণাদায়ক দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা আমরা চাই না। বড় বড় ক্লিনিকে উন্নত যন্ত্রপাতি সচল থাকলেও সরকারি হাসপাতালের সব যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কেউ কাজ কর্ম করে না। ফিজিওথেরাপি নামে কোন যন্ত্রপাতি নাই। মানুষের পা উঁচু করে, নিচু করে বলে এটাই ফিজিওথেরাপি। এইটা আমরা চাই না।’
‘আমরা যেটা চাই সর্বক্ষেত্রে উন্নত মানের মেসিন যন্ত্রপাতি এনে চিকিৎসা দিতে হবে। চিকিৎসক থাকলেও যন্ত্রপাতি না থাকায় তারা আমাদেরকে চিকিৎসা দিতে পারছেন না।’
ওই মানববন্ধনে পাশের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনিস্টিটিউটে চিকিৎসা নেয়া কোরবান বলেন, ‘ভুলে গেলে চলবে না আপনাদের ক্ষমতার উৎস। ভুলে গেলে হবে না আত্মত্যাগ। মুষ্টি কয়েক মানুষ আহত হয়েছে, মুষ্টি কয়েক মানুষ নিহত হয়েছে। তাই চিকিৎসা নিয়ে যদি বাণিজ্য করেন, তাদের এই কাজ করতে দেয়া হবে না, তাদের হাত লম্বা করতে দেয়া যাবেনা।’
মানববন্ধনে প্রশ্ন তোলে আলটিমেটাম দেন ছাত্র প্রতিনিধি মিম। তিনি বলেন, ‘এখানে ফিজিওথেরাপি মেশিনটা কোথায়? কয়টা ফিজিওথেরাপি মেশিন ভালো আছে? আমাদের আল্টিমেটাম হলো, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফিজিওথেরাপি মেশিনগুলো ঠিক করতে হবে।’
মানববন্ধনে এসেছিলেন জুলাই আন্দোলনে আহত এ-ওয়ার্ডে ২৬-নাম্বার বেডের রোগী মোবারক হোসেন। ‘১৯ জুলাই ২০২৪ বিকেল ৪টায় মিরপুর-১০ এ আন্দোলনের মাঝে দুই পায়ে গুলি লাগে। এক বুলেটই দুই পা ভেদ করে চলে যায়। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমাদের দাবি না মানলে আগামীতে আগারগাঁও মোড়ে বসবো।’
জুলাই আন্দোলনে আহতের অভিযোগ
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫
গত বছর ১৯ জুলাই মিরপুর ১০ নাম্বারে গোল চত্বরে আন্দোলনরত অবস্থায় ডানপায়ের হাঁটুতে গুলি লাগে বিইউবিটির শিক্ষার্থী সৌরভের। বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে না পেরে গত বছরের ৫ নভেম্বর ভর্তি হন জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে। এখন এই হাসপাতালের ওয়ার্ড বি’র ৩৬ নাম্বার বেডে ভর্তি আছেন তিনি। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমার পা ফেলে দেয়া হতে পারে, কিংবা রিপ্লেস হতে পারে।’
সৌরভ বলেন, ‘আমলাতান্ত্রিক শুরু করে এখানে বিভিন্ন জটিলতা আছে। তারা কয়েকজনকে পাঠায়, অনেকের জিও পর্যন্ত চলে আসছে। আবার বলছে, ফান্ড নাই। মিনিস্ট্রি তারা চায়না, তারা এভাবে মাঠ গরম করতে চায়। আমাদেরকে রেখে দিয়ে তারা মাঠ গরম করতে চাচ্ছে, এটাই তাদের উদ্দেশ্য। আমরা হচ্ছি তুরুপের তাস, ট্রাম্প কার্ড, আমদেরকে ব্যবহার করতে চায় তারা।’
আপনাদের কারা ব্যবহার করতে চাচ্ছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রের স্বার্থান্বেষী মহল করতে চাচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক মহল করতে চাচ্ছে। এবং করছেনও তারা।’
উন্নত চিকিৎসা ও পুনর্বাসনের দাবিতে শনিবার (২৬/ ০৪/ ২০২৫) দুপুরে রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (নিটোর) সামনে মানববন্ধনে করেছেন জুলাই আন্দোলনে আহতরা। সেই মানববন্ধনে এসেছিলেন সৌরভও। সেখানে তিনি বক্তব্যও রাখেন।
মানববন্ধনে জুলাই আন্দোলনে আরেক আহত রোমন মিয়া বলেন, ‘আমাদের উন্নত চিকিৎসার নামে নাপা ট্যাবলেট দেয়া হচ্ছে। এই যন্ত্রণাদায়ক দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা আমরা চাই না। বড় বড় ক্লিনিকে উন্নত যন্ত্রপাতি সচল থাকলেও সরকারি হাসপাতালের সব যন্ত্রপাতি নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কেউ কাজ কর্ম করে না। ফিজিওথেরাপি নামে কোন যন্ত্রপাতি নাই। মানুষের পা উঁচু করে, নিচু করে বলে এটাই ফিজিওথেরাপি। এইটা আমরা চাই না।’
‘আমরা যেটা চাই সর্বক্ষেত্রে উন্নত মানের মেসিন যন্ত্রপাতি এনে চিকিৎসা দিতে হবে। চিকিৎসক থাকলেও যন্ত্রপাতি না থাকায় তারা আমাদেরকে চিকিৎসা দিতে পারছেন না।’
ওই মানববন্ধনে পাশের জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনিস্টিটিউটে চিকিৎসা নেয়া কোরবান বলেন, ‘ভুলে গেলে চলবে না আপনাদের ক্ষমতার উৎস। ভুলে গেলে হবে না আত্মত্যাগ। মুষ্টি কয়েক মানুষ আহত হয়েছে, মুষ্টি কয়েক মানুষ নিহত হয়েছে। তাই চিকিৎসা নিয়ে যদি বাণিজ্য করেন, তাদের এই কাজ করতে দেয়া হবে না, তাদের হাত লম্বা করতে দেয়া যাবেনা।’
মানববন্ধনে প্রশ্ন তোলে আলটিমেটাম দেন ছাত্র প্রতিনিধি মিম। তিনি বলেন, ‘এখানে ফিজিওথেরাপি মেশিনটা কোথায়? কয়টা ফিজিওথেরাপি মেশিন ভালো আছে? আমাদের আল্টিমেটাম হলো, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে ফিজিওথেরাপি মেশিনগুলো ঠিক করতে হবে।’
মানববন্ধনে এসেছিলেন জুলাই আন্দোলনে আহত এ-ওয়ার্ডে ২৬-নাম্বার বেডের রোগী মোবারক হোসেন। ‘১৯ জুলাই ২০২৪ বিকেল ৪টায় মিরপুর-১০ এ আন্দোলনের মাঝে দুই পায়ে গুলি লাগে। এক বুলেটই দুই পা ভেদ করে চলে যায়। তিনি সংবাদকে বলেন, ‘আমাদের দাবি না মানলে আগামীতে আগারগাঁও মোড়ে বসবো।’