বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয়ে বৈঠক করেন এনসিপির নেতারা -সংবাদ
চলমান রাষ্ট্রসংস্কার কর্মসূচিতে রাজনৈতিক ঐক্য গড়তে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেছে গণসংহতি আন্দোলন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আলোচনা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বুধবার, (৩০ এপ্রিল ২০২৫) বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে গণসংহতি আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে এবং বিকেলে পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয়ে বৈঠক করে এনসিপির নেতারা।
আওয়ামী লীগকে দলগতভাবে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে ধরনের পরিবেশ প্রয়োজন, সংস্কারের বিষয়টা কীভাবে অর্জন করতে পারি তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।’
এনসিপি যে বিচার, মৌলিক সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলছে তাসহ অনেক এজেন্ডার সঙ্গেই গণসংহতি আন্দোলন কিছু বিষয়ে একমত এবং কিছু বিষয়ে দ্বিমতও আছে বলে জানান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি জানান, যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। একটা ঐকমত্যের ভিত্তিতে দল দুটি সংস্কার বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠক শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছে, সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য গড়ে তোলা। ঐকমত্য কমিশনে আলোচনার পর্যায়ে থাকা যেসব প্রশ্নে একমত হওয়া যাবে সেগুলোকে জাতীয় সনদ হিসেবে বাস্তবায়ন করার বিষয়ে আলাপ করেছি। যেসব দ্বিমত হবে সেগুলোকে জনগণের কাছে গিয়ে যার যার ম্যানিফেস্টো অনুযায়ী জনসমর্থন আদায়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার বিষয়েও আলাপ করেছি।’
বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করতে এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানান নাহিদ ইসলাম। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কেউ যদি জুলাই আন্দোলন পূর্ববর্তী রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চালু রাখতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে ফ্যাসিবাদবিরোধী সবাই।’ বৈঠক বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ বিষয়ে ঐক্যের জায়গা খুঁজে পেয়েছি। যেসব বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে সেখানেও ঐক্যের বিষয়ে আলোচনা করতে পারি।’
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের ক্ষেত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলছে। আমরা কেবল উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলছি। উনারা দুই কক্ষেই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি বিষয়টি আমরা আলোচনা করব। আমরা গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলেছি, উনারাও গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলছেন।’
রাখাইনে মানবিক করিডোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন নাহিদ ইসলাম। এ বিষয়ে জাতীয় সংলাপ প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটা পরিবর্তন আপনারা দেখেছেন। আমাদের অনেক চিন্তার সঙ্গে
এনসিপির চিন্তা মাঠে-ময়দানে অনেকটাই একাকার। আজকে আমরা আলোচনা করতে পেরেছি। আমাদের মনোবল আরও বেড়েছে।’
দলগতভাবে আওয়ামী লীগের বিচার হবে, তারপর নির্বাচনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে এমন মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘যে ফ্যাসিস্ট হাজার হাজার মায়ের কোল খালি করেছে, আমাদের দেশের টাকা পাচার করেছে এদের দলগত বিচার হবে। তারপর নির্বাচনের চিন্তা আমাদের মাথায় আসবে, নির্বাচন আমরা চাই। ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণের পক্ষে আমরা যেন একাকার হয়ে কাজ করতে পারি সবার দোয়া চাই।’
বিকেলে রাজধানীর বাংলামোটরে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয়ে বৈঠক করেন এনসিপির নেতারা -সংবাদ
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
চলমান রাষ্ট্রসংস্কার কর্মসূচিতে রাজনৈতিক ঐক্য গড়তে নতুন রাজনৈতিক দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সঙ্গে বৈঠক করেছে গণসংহতি আন্দোলন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। আলোচনা ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
বুধবার, (৩০ এপ্রিল ২০২৫) বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে গণসংহতি আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে এবং বিকেলে পল্টনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কার্যালয়ে বৈঠক করে এনসিপির নেতারা।
আওয়ামী লীগকে দলগতভাবে নিষিদ্ধ করার বিষয়টি আলোচনায় গুরুত্ব পেয়েছে উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। পাশাপাশি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে ধরনের পরিবেশ প্রয়োজন, সংস্কারের বিষয়টা কীভাবে অর্জন করতে পারি তা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।’
এনসিপি যে বিচার, মৌলিক সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলছে তাসহ অনেক এজেন্ডার সঙ্গেই গণসংহতি আন্দোলন কিছু বিষয়ে একমত এবং কিছু বিষয়ে দ্বিমতও আছে বলে জানান এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম। তিনি জানান, যে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে, ভবিষ্যতেও তা অব্যাহত থাকবে। একটা ঐকমত্যের ভিত্তিতে দল দুটি সংস্কার বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখতে পারবে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠক শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হচ্ছে, সংস্কার প্রশ্নে ঐকমত্য গড়ে তোলা। ঐকমত্য কমিশনে আলোচনার পর্যায়ে থাকা যেসব প্রশ্নে একমত হওয়া যাবে সেগুলোকে জাতীয় সনদ হিসেবে বাস্তবায়ন করার বিষয়ে আলাপ করেছি। যেসব দ্বিমত হবে সেগুলোকে জনগণের কাছে গিয়ে যার যার ম্যানিফেস্টো অনুযায়ী জনসমর্থন আদায়ের মাধ্যমে বাস্তবায়ন করার বিষয়েও আলাপ করেছি।’
বিচার চলাকালীন আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত করতে এনসিপি ও ইসলামী আন্দোলনের মধ্যে আলোচনা হয়েছে বলে জানান নাহিদ ইসলাম। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশে কেউ যদি জুলাই আন্দোলন পূর্ববর্তী রাজনৈতিক বন্দোবস্ত চালু রাখতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে দাঁড়াবে ফ্যাসিবাদবিরোধী সবাই।’ বৈঠক বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বেশিরভাগ বিষয়ে ঐক্যের জায়গা খুঁজে পেয়েছি। যেসব বিষয়ে দ্বিমত রয়েছে সেখানেও ঐক্যের বিষয়ে আলোচনা করতে পারি।’
উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কারের ক্ষেত্রে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলছে। আমরা কেবল উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলছি। উনারা দুই কক্ষেই সংখ্যানুপাতিক নির্বাচনের কথা বলেছেন। আমরা বলেছি বিষয়টি আমরা আলোচনা করব। আমরা গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলেছি, উনারাও গণপরিষদ নির্বাচনের কথা বলছেন।’
রাখাইনে মানবিক করিডোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে অবশ্যই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করা প্রয়োজন বলে মনে করেন নাহিদ ইসলাম। এ বিষয়ে জাতীয় সংলাপ প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে একটা পরিবর্তন আপনারা দেখেছেন। আমাদের অনেক চিন্তার সঙ্গে
এনসিপির চিন্তা মাঠে-ময়দানে অনেকটাই একাকার। আজকে আমরা আলোচনা করতে পেরেছি। আমাদের মনোবল আরও বেড়েছে।’
দলগতভাবে আওয়ামী লীগের বিচার হবে, তারপর নির্বাচনের বিষয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে এমন মন্তব্য করে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘যে ফ্যাসিস্ট হাজার হাজার মায়ের কোল খালি করেছে, আমাদের দেশের টাকা পাচার করেছে এদের দলগত বিচার হবে। তারপর নির্বাচনের চিন্তা আমাদের মাথায় আসবে, নির্বাচন আমরা চাই। ইসলাম, দেশ ও মানবতার কল্যাণের পক্ষে আমরা যেন একাকার হয়ে কাজ করতে পারি সবার দোয়া চাই।’