সালমান, আনিসুল ও মামুনসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
গত জুলাই আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর তিনটি থানার পৃথক তিন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক-আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আদালতের আদেশে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। বুধবার, (৩০ এপ্রিল ২০২৫) তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশে সালমান এফ রহমান এবং চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে তিন দিনের রিমান্ড দেয়া হয়েছে, আনিসুল হকের রিমান্ড আদেশ হয়েছে দুই দিনের। আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা এ তথ্য জানিয়েছেন। সকালে আসামিদের উপস্থিতিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলার শুনানিতে প্রথমে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আর পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী আব্বাস উদ্দিন। শুনানি শেষে আদালত মামুনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেয়।
এরপর সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে ভাটারা থানার মনির হোসেন হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডের শুনানি হয়। সেখানে রাষ্ট্রপক্ষে ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। তবে সালমান এফ রহমানের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করেননি। আদালত তারও তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
পরে বাড্ডা থানার আব্দুল জব্বার হত্যা মামলায় আনিসুল হকের তিন দিনের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আনিসুল হকের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করেননি। আদালত সাবেক আইনমন্ত্রীর দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
সালমান এফ রহমানের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই ভাটারার বাঁশতলা এলাকায় আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিতে আহত হন মনির হোসাইন। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে গত ২০ জুলাই নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় নিহতের ভাই পারভেজ ফরাজী গত ২ অক্টোবর ভাটারা থানায় মামলা করেন।
আনিসুল হকের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছরের গত ৫ আগস্টে বাড্ডার ডিআইজি প্রজেক্ট এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন আব্দুল জব্বার সুমন। সন্ধ্যায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হন তিনি। পরে সুমনকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ১৯ আগস্টে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের মা।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্টে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা ফুটওভার ব্রিজ এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন মো. রাসেল। পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
সালমান, আনিসুল ও মামুনসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তিন থানায় করা একাধিক মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনে পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জামসেদ আলম এ আদেশ দেন।
আদালতের প্রসিকিউসন বিভাগের পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তার দেখানো অন্যরা হলেন ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম ও পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নিয়াজ মোর্শেদ। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত তাদের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করে গত ৩০ এপ্রিল। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির
করা হয়। আদালতের নথি থেকে জানা যায়, কদমতলী থানার এক মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানার চার মামলায় সালমান, একই থানার ছয় মামলায় আনিসুল, যাত্রাবাড়ী থানার পাঁচ মামলায় মামুন, বাড্ডা থানার এক মামলায় আতিকুল ও নিয়াজ মোর্শেদ ওরফে নিয়াজ মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে আদালতে হাজির করা হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা উপস্থিত না হওয়ায় তার বিষয়ে শুনানি হয়নি।
সালমান, আনিসুল ও মামুনসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫
গত জুলাই আন্দোলন ঘিরে রাজধানীর তিনটি থানার পৃথক তিন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক-আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আদালতের আদেশে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ। বুধবার, (৩০ এপ্রিল ২০২৫) তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের শুনানি নিয়ে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জামসেদ আলম এ আদেশ দেন।
আদালতের আদেশে সালমান এফ রহমান এবং চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে তিন দিনের রিমান্ড দেয়া হয়েছে, আনিসুল হকের রিমান্ড আদেশ হয়েছে দুই দিনের। আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা এ তথ্য জানিয়েছেন। সকালে আসামিদের উপস্থিতিতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
যাত্রাবাড়ী থানার হত্যা মামলার শুনানিতে প্রথমে পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৭ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আর পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী আব্বাস উদ্দিন। শুনানি শেষে আদালত মামুনকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠানোর আদেশ দেয়।
এরপর সালমান এফ রহমানের বিরুদ্ধে ভাটারা থানার মনির হোসেন হত্যা মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডের শুনানি হয়। সেখানে রাষ্ট্রপক্ষে ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করেন। তবে সালমান এফ রহমানের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করেননি। আদালত তারও তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেয়।
পরে বাড্ডা থানার আব্দুল জব্বার হত্যা মামলায় আনিসুল হকের তিন দিনের রিমান্ডের বিষয়ে শুনানি হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আনিসুল হকের পক্ষে কোনো আইনজীবী শুনানি করেননি। আদালত সাবেক আইনমন্ত্রীর দুই দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
সালমান এফ রহমানের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই ভাটারার বাঁশতলা এলাকায় আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিতে আহত হন মনির হোসাইন। পরে হাসপাতালে নেয়া হলে গত ২০ জুলাই নিহত হন তিনি। এ ঘটনায় নিহতের ভাই পারভেজ ফরাজী গত ২ অক্টোবর ভাটারা থানায় মামলা করেন।
আনিসুল হকের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছরের গত ৫ আগস্টে বাড্ডার ডিআইজি প্রজেক্ট এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন আব্দুল জব্বার সুমন। সন্ধ্যায় আসামিদের ছোড়া গুলিতে আহত হন তিনি। পরে সুমনকে ঢাকা মেডিকেলে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ১৯ আগস্টে বাড্ডা থানায় হত্যা মামলা করেন নিহতের মা।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্টে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলা ফুটওভার ব্রিজ এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন মো. রাসেল। পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
সালমান, আনিসুল ও মামুনসহ ৫ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
জুলাই অভ্যুত্থানের সময় হত্যা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় তিন থানায় করা একাধিক মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দিয়েছে আদালত। তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনে পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. জামসেদ আলম এ আদেশ দেন।
আদালতের প্রসিকিউসন বিভাগের পরিদর্শক গোলাম মোস্তফা এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তার দেখানো অন্যরা হলেন ঢাকার উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম ও পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নিয়াজ মোর্শেদ। এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা এই পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। আদালত তাদের উপস্থিতিতে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদনের ওপর শুনানির দিন ধার্য করে গত ৩০ এপ্রিল। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির
করা হয়। আদালতের নথি থেকে জানা যায়, কদমতলী থানার এক মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। যাত্রাবাড়ী থানার চার মামলায় সালমান, একই থানার ছয় মামলায় আনিসুল, যাত্রাবাড়ী থানার পাঁচ মামলায় মামুন, বাড্ডা থানার এক মামলায় আতিকুল ও নিয়াজ মোর্শেদ ওরফে নিয়াজ মাহমুদকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তবে নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকে আদালতে হাজির করা হলেও তদন্তকারী কর্মকর্তা উপস্থিত না হওয়ায় তার বিষয়ে শুনানি হয়নি।