বুধবার চুয়াডাঙ্গা (বামে) এবং কোর্ট বিল্ডিংস্থ কক্সবাজার বিআরটিএ অফিসে যায় দুদকের অভিযানিক দল -সংবাদ
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর ৩৫টি কার্যালয়ে ঘুষ ও দালালচক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস সনদ দেয়ার প্রক্রিয়ায় ঘুষ লেনদেন ও দালালদের দৌরাত্ম্য রোধে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এসব অভিযান পরিচালনা করে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম। তিনি বলেন,‘গাড়ির ফিটনেস সনদ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে দীর্ঘদিন ধরে ঘুষ ও দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ রয়েছে। সেসব অভিযোগের ভিত্তিতে ৩৫টি বিআরটিএ কার্যালয়ে একযোগে অভিযান চালানো হয়।’
দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, যেসব কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়েছে সেগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত। এর মধ্যে সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, কক্সবাজার, বরগুনা, নীলফামারী, রাঙামাটি, মৌলভীবাজার, যশোর, ঠাকুরগাঁও, জয়পুরহাট, মেহেরপুর, শেরপুর ও উত্তরা অঞ্চলও রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুদক সদস্যরা। বুধবার, (৭ মে ২০২৫) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন ঝিনাইদহ দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের চার সদস্য। এর আগে সকাল থেকে ছদ্মবেশে বিআরটিএ কার্যালয় এলাকায় অবস্থান নেয় দুদক সদস্যরা। এ সময় তাদের চোখে ওই অফিস ঘিরে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য ধরা পড়ে।
পরে দুদক সদস্যরা বিএরটিএ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কথা বলেন। বিভিন্ন ধরনের নথিপত্র পর্যালোচনা করেন। এ সময় বেশ কিছু অসঙ্গতিপূর্ণ রেকর্ড বইয়ের নমুনাপত্র সংগ্রহ করেন।
ঝিনাইদহ দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদ বলেন, কমিশনের নির্দেশে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিসে এ অভিযান চালানো হয়। মূলত: ড্রাইভিং লাইসেন্স ও যানবাহনের ফিটনেস প্রদানে দালালের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন হয় বলে অভিযোগ ছিল। অভিযানের আগে ছদ্মবেশে সেবাপ্রত্যাশীদের সাথে এই অবৈধ লেনদেনের বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া বহিরাগতরা সরকারি কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিলে বসে নিয়মিত অফিস করেন বলেও প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব তথ্য যাচাই বাছাই করে কমিশনে পাঠানো হবে।
বাগেরহাট: সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি ও নানা অনিয়মের অভিযোগে দুদক বাগেরহাট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে বুধবার দুপুরে অভিযান চালানো হয়। বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, অভিযানে বাগেরহাটে বিআরটিএ কার্যালয়ে দালালদের উপস্থিতি, পরীক্ষা- প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিআরটিএ থেকে মোটর সাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতিতে বিকাশ-নগদের মাধ্যমে মুঠোফোনে অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানান দুদক কর্মকর্তারা। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নেওয়া পরীক্ষার একই হাতের লেখা সম্বলিত একাধিক খাতা পাওয়া যায়। এই পরীক্ষায় ২০ নম্বরের মধ্যে ১২ পেলে পাশ করার কথা থাকলেও, অনেক খাতায় ৮/ ৯ নম্বর পেলে তাকে ৩ / ৪ নম্বর যোগ করে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে- এমন প্রমাণও মিলেছে। বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে বলে জানান দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান।
বুধবার চুয়াডাঙ্গা (বামে) এবং কোর্ট বিল্ডিংস্থ কক্সবাজার বিআরটিএ অফিসে যায় দুদকের অভিযানিক দল -সংবাদ
বুধবার, ০৭ মে ২০২৫
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) এর ৩৫টি কার্যালয়ে ঘুষ ও দালালচক্রের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির ফিটনেস সনদ দেয়ার প্রক্রিয়ায় ঘুষ লেনদেন ও দালালদের দৌরাত্ম্য রোধে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দুদকের এনফোর্সমেন্ট ইউনিট এসব অভিযান পরিচালনা করে বলে জানিয়েছেন দুদকের উপ-পরিচালক আকতারুল ইসলাম। তিনি বলেন,‘গাড়ির ফিটনেস সনদ ও ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে দীর্ঘদিন ধরে ঘুষ ও দালাল চক্রের দৌরাত্ম্যের অভিযোগ রয়েছে। সেসব অভিযোগের ভিত্তিতে ৩৫টি বিআরটিএ কার্যালয়ে একযোগে অভিযান চালানো হয়।’
দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, যেসব কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়েছে সেগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, সিলেট, রংপুর ও ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় অবস্থিত। এর মধ্যে সাভার, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, কুমিল্লা, কক্সবাজার, বরগুনা, নীলফামারী, রাঙামাটি, মৌলভীবাজার, যশোর, ঠাকুরগাঁও, জয়পুরহাট, মেহেরপুর, শেরপুর ও উত্তরা অঞ্চলও রয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুদক সদস্যরা। বুধবার, (৭ মে ২০২৫) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন ঝিনাইদহ দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের চার সদস্য। এর আগে সকাল থেকে ছদ্মবেশে বিআরটিএ কার্যালয় এলাকায় অবস্থান নেয় দুদক সদস্যরা। এ সময় তাদের চোখে ওই অফিস ঘিরে দালাল চক্রের দৌরাত্ম্য ধরা পড়ে।
পরে দুদক সদস্যরা বিএরটিএ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে কথা বলেন। বিভিন্ন ধরনের নথিপত্র পর্যালোচনা করেন। এ সময় বেশ কিছু অসঙ্গতিপূর্ণ রেকর্ড বইয়ের নমুনাপত্র সংগ্রহ করেন।
ঝিনাইদহ দুদকের সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক খালিদ মাহমুদ বলেন, কমিশনের নির্দেশে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে চুয়াডাঙ্গা বিআরটিএ অফিসে এ অভিযান চালানো হয়। মূলত: ড্রাইভিং লাইসেন্স ও যানবাহনের ফিটনেস প্রদানে দালালের মাধ্যমে ঘুষ লেনদেন হয় বলে অভিযোগ ছিল। অভিযানের আগে ছদ্মবেশে সেবাপ্রত্যাশীদের সাথে এই অবৈধ লেনদেনের বিষয়টি পরিলক্ষিত হয়। এছাড়া বহিরাগতরা সরকারি কার্যালয়ের চেয়ার-টেবিলে বসে নিয়মিত অফিস করেন বলেও প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়া যায়। এসব তথ্য যাচাই বাছাই করে কমিশনে পাঠানো হবে।
বাগেরহাট: সেবা গ্রহীতাদের হয়রানি ও নানা অনিয়মের অভিযোগে দুদক বাগেরহাট সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে বুধবার দুপুরে অভিযান চালানো হয়। বাগেরহাট প্রতিনিধি জানান, অভিযানে বাগেরহাটে বিআরটিএ কার্যালয়ে দালালদের উপস্থিতি, পরীক্ষা- প্রশিক্ষণ ছাড়াই বিআরটিএ থেকে মোটর সাইকেলের ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান, বিআরটিএ কর্মকর্তাদের সেবা প্রদানের প্রতিশ্রুতিতে বিকাশ-নগদের মাধ্যমে মুঠোফোনে অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের প্রমাণ পেয়েছেন বলে জানান দুদক কর্মকর্তারা। এছাড়া ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য নেওয়া পরীক্ষার একই হাতের লেখা সম্বলিত একাধিক খাতা পাওয়া যায়। এই পরীক্ষায় ২০ নম্বরের মধ্যে ১২ পেলে পাশ করার কথা থাকলেও, অনেক খাতায় ৮/ ৯ নম্বর পেলে তাকে ৩ / ৪ নম্বর যোগ করে পাশ করিয়ে দেওয়া হয়েছে- এমন প্রমাণও মিলেছে। বিআরটিএ কার্যালয়ে অভিযানে প্রাপ্ত তথ্য পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য দুদকের প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হবে বলে জানান দুদকের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান।