আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগসহ সারাদেশেই বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে এনসিপি, ছাত্র শিবিরসহ বিভিন্ন সংগঠন। শনিবার সেই দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভকারীদের -সংবাদ
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে যুক্ত হওয়া সতীর্থদের রাজপথ না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক তা যারা চায় না, তারা ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’।
হাসনাত আব্দুল্লাহ
দেশ আজ দুইভাগে বিভক্ত; বাংলাদেশপন্থি আর ফ্যাসিবাদপন্থি
যারা আ’লীগ নিষিদ্ধের বিপক্ষে, তারা ফ্যাসিবাদী
আন্দোলনে অংশ নেয়া সতীর্থদের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যদি তার কণ্ঠরোধ করা হয়, তবুও আন্দোলনে যুক্ত হওয়া সবাই যাতে রাজপথে থাকেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কেউ যেন রাজপথ না ছাড়েন।
শনিবার,(১০ মে ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে গণজমায়েতে বক্তব্যে এনসিপির মুখ্য সংগঠক এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করাসহ তিন দফা দাবিতে বিকেল ৩টার পর শাহবাগ মোড়ে এই গণজমায়েত কর্মসূচি শুরু হয়। এনসিপির পাশাপাশি ইসলামী ছাত্রশিবির, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ) ও জুলাই অভ্যুত্থানে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।
শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি চলার মধ্যে গতকাল শুক্রবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে গণজমায়েতের কর্মসূচি ঘোষণা করেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। কর্মসূচি শুরুর দিকে জনসমাগম কিছুটা কম থাকলেও বিকেলের দিকে জনসমাগম বাড়তে থাকে। এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামীবিরোধী নানা স্লোগান
অবরোধ কর্মসূচিতে ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, করতে হবে করতে হবে’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘আওয়ামী লীগের নিবন্ধন, বাতিল কর-করতে হবে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ’, ‘দফা এক দাবি এক, লীগ নট কাম ব্যাক’, ‘এক দুই তিন চার, চুপ্পু তুই গদি ছাড়’, স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের।
গণজমায়েতে বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি, আরেকটি বাংলাদেশি শক্তি। যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় না তারা ফ্যাসিবাদী শক্তি, আর যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়, তারা বাংলাদেশি শক্তি।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শাহবাগের এ আন্দোলন নির্দিষ্ট কোনো দলের নয়। এই আন্দোলন ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের আন্দোলন। ঐক্য বিনষ্টের জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নমরুদ-ফেরাউন-হাসিনা
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যে কোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারি। আমাকে যদি কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কোনো শক্তি আমার কণ্ঠরোধ করতে চায়, তবুও আপনারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না। আমি বলতে চাই, কোনো ষড়যন্ত্রে বা চাপে যদি আমার মুখ থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ানো হয়, আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পরবর্তী সময়ে আমি যদি কোনো ঘোষণা নাও দিই, মনে রাখবেন আপনাদের মঞ্জিলে মকসুদ হচ্ছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।’
তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালের শাহবাগের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ শুরু হয়েছে। আর এই শাহবাগ থেকে ফ্যাসিবাদের পতন হবে। আমাদের মত, পথ আলাদা হতে পারে; তবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে আমাদের মত, পথ এক। নমরুদের যেভাবে পতন হয়, ফেরাউনের যেভাবে পতন হয়, হাসিনারও পতন হয়।’
আব্দুল হামিদের দেশত্যাগ
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের খবর নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে সরকারপ্রধানের বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ নেতৃত্বাধীন একদল বিক্ষোভকারী। তাতে সংহতি প্রকাশ করেন জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গতকাল শুক্রবার জুমার পর তারা মিন্টো রোডের প্রবেশ মুখে মঞ্চ বানিয়ে সেখানে সমাবেশ করেন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে তাতে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
সেখান থেকে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দেন। তখন থেকেই শাহবাগ হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির পাশাপাশি জুলাই ঘোষণাপত্র দেয়া এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলটির বিচারের জন্য আইনে প্রয়োজনীয় বিধান যোগ দাবি জানান তারা। জুলাই অভ্যুত্থানের সময় দমন-পীড়নকে মানবতাবিরোধী অপরাধ বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের বিচার চান আন্দোলনকারীরা।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে রাজধানীর শাহবাগসহ সারাদেশেই বিক্ষোভ ও সমাবেশ করেছে এনসিপি, ছাত্র শিবিরসহ বিভিন্ন সংগঠন। শনিবার সেই দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ বিক্ষোভকারীদের -সংবাদ
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে যুক্ত হওয়া সতীর্থদের রাজপথ না ছাড়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ হোক তা যারা চায় না, তারা ‘ফ্যাসিবাদী শক্তি’।
হাসনাত আব্দুল্লাহ
দেশ আজ দুইভাগে বিভক্ত; বাংলাদেশপন্থি আর ফ্যাসিবাদপন্থি
যারা আ’লীগ নিষিদ্ধের বিপক্ষে, তারা ফ্যাসিবাদী
আন্দোলনে অংশ নেয়া সতীর্থদের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যদি তার কণ্ঠরোধ করা হয়, তবুও আন্দোলনে যুক্ত হওয়া সবাই যাতে রাজপথে থাকেন। আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত কেউ যেন রাজপথ না ছাড়েন।
শনিবার,(১০ মে ২০২৫) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে গণজমায়েতে বক্তব্যে এনসিপির মুখ্য সংগঠক এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করাসহ তিন দফা দাবিতে বিকেল ৩টার পর শাহবাগ মোড়ে এই গণজমায়েত কর্মসূচি শুরু হয়। এনসিপির পাশাপাশি ইসলামী ছাত্রশিবির, ইউনাইটেড পিপলস বাংলাদেশ (আপ) ও জুলাই অভ্যুত্থানে যুক্ত বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা এই কর্মসূচিতে যোগ দেন।
শাহবাগে অবরোধ কর্মসূচি চলার মধ্যে গতকাল শুক্রবার রাতে সংবাদ সম্মেলন করে গণজমায়েতের কর্মসূচি ঘোষণা করেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। কর্মসূচি শুরুর দিকে জনসমাগম কিছুটা কম থাকলেও বিকেলের দিকে জনসমাগম বাড়তে থাকে। এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, আপ বাংলাদেশের আহ্বায়ক আলী আহসান জুনায়েদও কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামীবিরোধী নানা স্লোগান
অবরোধ কর্মসূচিতে ‘আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ, করতে হবে করতে হবে’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’, ‘আওয়ামী লীগের নিবন্ধন, বাতিল কর-করতে হবে’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘ব্যান ব্যান, আওয়ামী লীগ’, ‘দফা এক দাবি এক, লীগ নট কাম ব্যাক’, ‘এক দুই তিন চার, চুপ্পু তুই গদি ছাড়’, স্লোগান দিতে দেখা যায় আন্দোলনকারীদের।
গণজমায়েতে বক্তব্যে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। একটি ফ্যাসিবাদী শক্তি, আরেকটি বাংলাদেশি শক্তি। যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায় না তারা ফ্যাসিবাদী শক্তি, আর যারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চায়, তারা বাংলাদেশি শক্তি।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবিতে শাহবাগের এ আন্দোলন নির্দিষ্ট কোনো দলের নয়। এই আন্দোলন ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যের আন্দোলন। ঐক্য বিনষ্টের জন্য নানা ধরনের ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
নমরুদ-ফেরাউন-হাসিনা
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘যে কোনো সময় অসুস্থ হয়ে যেতে পারি। আমাকে যদি কোনো ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে কোনো শক্তি আমার কণ্ঠরোধ করতে চায়, তবুও আপনারা আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না। আমি বলতে চাই, কোনো ষড়যন্ত্রে বা চাপে যদি আমার মুখ থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেয়ানো হয়, আপনারা আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। পরবর্তী সময়ে আমি যদি কোনো ঘোষণা নাও দিই, মনে রাখবেন আপনাদের মঞ্জিলে মকসুদ হচ্ছে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।’
তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালের শাহবাগের মাধ্যমে ফ্যাসিবাদ শুরু হয়েছে। আর এই শাহবাগ থেকে ফ্যাসিবাদের পতন হবে। আমাদের মত, পথ আলাদা হতে পারে; তবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধে আমাদের মত, পথ এক। নমরুদের যেভাবে পতন হয়, ফেরাউনের যেভাবে পতন হয়, হাসিনারও পতন হয়।’
আব্দুল হামিদের দেশত্যাগ
সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দেশত্যাগের খবর নিয়ে আলোচনার মধ্যে গত বৃহস্পতিবার রাতে সরকারপ্রধানের বাসভবন যমুনার সামনে অবস্থান নেন এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ নেতৃত্বাধীন একদল বিক্ষোভকারী। তাতে সংহতি প্রকাশ করেন জামায়াতে ইসলামী, এবি পার্টি, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, হেফাজতে ইসলাম এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
গতকাল শুক্রবার জুমার পর তারা মিন্টো রোডের প্রবেশ মুখে মঞ্চ বানিয়ে সেখানে সমাবেশ করেন। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি সংবলিত প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন হাতে তাতে অংশ নেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা।
সেখান থেকে এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ শাহবাগ অবরোধের ঘোষণা দেন। তখন থেকেই শাহবাগ হয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবির পাশাপাশি জুলাই ঘোষণাপত্র দেয়া এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দলটির বিচারের জন্য আইনে প্রয়োজনীয় বিধান যোগ দাবি জানান তারা। জুলাই অভ্যুত্থানের সময় দমন-পীড়নকে মানবতাবিরোধী অপরাধ বিবেচনা করে ট্রাইব্যুনালে আওয়ামী লীগের বিচার চান আন্দোলনকারীরা।