রংপুরে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে তৃষ্ণা মেটাতে পাইপে পানি পান করছে এক নির্মাণ শ্রমিক -সংবাদ
প্রচন্ড গরম আর লু হাওয়ায় রংপুর অঞ্চলের জন জীবন অচল হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে প্রচণ্ড তাপ দাহের কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার,(১০ মে ২০২৫) রংপুরের পীরগঞ্জে জমিতে কাজ করার সময় দুই কৃষি শ্রমিক হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রংপুর অঞ্চলে শনিবার দুপুর ৩টার দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন শেষে তাপ মাত্রা আরও ২ ডিগ্রি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ দিকে প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে সূর্যের প্রখর তাপ জন জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। সেই সঙ্গে গরম বাতাস জীবন যাত্রা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরম আর তাপদাহের কারণে প্রয়োজন ছাড়া দুপুরের পর বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রচণ্ড গরমের কারণে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে ক্ষেত খামারে কর্মরত কৃষি শ্রমিক ও নির্মাণ শ্রমিকরা প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এ দিকে প্রচণ্ড গরম সেই সঙ্গে গরম লু হাওয়া প্রবাহিত হবার কারণে বিভাগীয় নগরী রংপুরে দুপুর ১২টার পর লোক সমাগম কমে যাচ্ছে। গরম থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ বাইরে বের হচ্ছে না। ফলে নগরীর বড় বড় শপিং মলসহ মার্কেটগুলো প্রায় খদ্দের শূন্য হয়ে পড়েছে বলে দোকানিরা জানিয়েছেন।
নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে মার্কেটিং করতে আসা আসফিয়া বেগম জানান, জরুরি প্রয়োজনে রংপুরে এসেছিলাম কিন্তু প্রচণ্ড গরম আর আগুনের ফুলকির মতো গরম বাতাস আর সহ্য করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যেই তার ৫ বছরের শিশু কন্যা সাফিনা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে ডাব খাওয়ানো হলেও কাজ হয়নি। ফলে মার্কের্টি না করেই ফিরে যেতে হচ্ছে বলে জানালেন তিনি।
অন্যদিকে রিকশা চালক শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এবারের গরমের তীব্রতা অনেক বেশি। বিশেষ করে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের প্রখরতা আমাদের পক্ষে রিকশা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তার পরেও জীবিকার প্রয়োজনে রিকশা চালাতে হচ্ছে বলেও জানালেন তিনি।
অন্যদিকে প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণা থেকে রক্ষা পেতে আখের রস, ঠাণ্ডা পানীয় খাবার জন্য দোকানগুলোতে ভিড় করছে মানুষ। গরম থেকে বাঁচতে মাথায় ও শরীরে পানি ঢেলে রক্ষা পাবার চেষ্টা করছে মানুষ। শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে তাদের অন্তত দুপুর ১২টার মধ্যে স্কুল ছুটি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
এ দিকে রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানালেন এবার রংপুর বিভাগে তাপমাত্রা প্রতিদিন বাড়ছে। শনিবার দুপুরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রংপুরের মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক আশরাফুল আলম জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরম আর বিরুপ আবহাওয়ার কারণে ভাইরাস জ্বর সর্দিসহ বিভিন্ন রোগ বালাই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়া আর বেশি করে পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছেন।
রংপুরে প্রচণ্ড গরমের মধ্যে তৃষ্ণা মেটাতে পাইপে পানি পান করছে এক নির্মাণ শ্রমিক -সংবাদ
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
প্রচন্ড গরম আর লু হাওয়ায় রংপুর অঞ্চলের জন জীবন অচল হয়ে পড়েছে। সেই সঙ্গে প্রচণ্ড তাপ দাহের কারণে হিট স্ট্রোকে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। শনিবার,(১০ মে ২০২৫) রংপুরের পীরগঞ্জে জমিতে কাজ করার সময় দুই কৃষি শ্রমিক হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, রংপুর অঞ্চলে শনিবার দুপুর ৩টার দিকে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দিন শেষে তাপ মাত্রা আরও ২ ডিগ্রি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ দিকে প্রচণ্ড গরমের সঙ্গে সূর্যের প্রখর তাপ জন জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। সেই সঙ্গে গরম বাতাস জীবন যাত্রা দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরম আর তাপদাহের কারণে প্রয়োজন ছাড়া দুপুরের পর বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রচণ্ড গরমের কারণে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। বিশেষ করে ক্ষেত খামারে কর্মরত কৃষি শ্রমিক ও নির্মাণ শ্রমিকরা প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
এ দিকে প্রচণ্ড গরম সেই সঙ্গে গরম লু হাওয়া প্রবাহিত হবার কারণে বিভাগীয় নগরী রংপুরে দুপুর ১২টার পর লোক সমাগম কমে যাচ্ছে। গরম থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া মানুষ বাইরে বের হচ্ছে না। ফলে নগরীর বড় বড় শপিং মলসহ মার্কেটগুলো প্রায় খদ্দের শূন্য হয়ে পড়েছে বলে দোকানিরা জানিয়েছেন।
নীলফামারীর সৈয়দপুর থেকে মার্কেটিং করতে আসা আসফিয়া বেগম জানান, জরুরি প্রয়োজনে রংপুরে এসেছিলাম কিন্তু প্রচণ্ড গরম আর আগুনের ফুলকির মতো গরম বাতাস আর সহ্য করা যাচ্ছে না। ইতোমধ্যেই তার ৫ বছরের শিশু কন্যা সাফিনা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে ডাব খাওয়ানো হলেও কাজ হয়নি। ফলে মার্কের্টি না করেই ফিরে যেতে হচ্ছে বলে জানালেন তিনি।
অন্যদিকে রিকশা চালক শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, এবারের গরমের তীব্রতা অনেক বেশি। বিশেষ করে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রোদের প্রখরতা আমাদের পক্ষে রিকশা চালানো অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তার পরেও জীবিকার প্রয়োজনে রিকশা চালাতে হচ্ছে বলেও জানালেন তিনি।
অন্যদিকে প্রচণ্ড গরমে তৃষ্ণা থেকে রক্ষা পেতে আখের রস, ঠাণ্ডা পানীয় খাবার জন্য দোকানগুলোতে ভিড় করছে মানুষ। গরম থেকে বাঁচতে মাথায় ও শরীরে পানি ঢেলে রক্ষা পাবার চেষ্টা করছে মানুষ। শিক্ষার্থীরা পড়েছে চরম বিপাকে তাদের অন্তত দুপুর ১২টার মধ্যে স্কুল ছুটি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
এ দিকে রংপুর আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মোস্তাফিজার রহমান জানালেন এবার রংপুর বিভাগে তাপমাত্রা প্রতিদিন বাড়ছে। শনিবার দুপুরেই সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস অতিক্রম করেছে। তাপমাত্রা আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রংপুরের মেডিসিন বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক আশরাফুল আলম জানিয়েছেন, প্রচণ্ড গরম আর বিরুপ আবহাওয়ার কারণে ভাইরাস জ্বর সর্দিসহ বিভিন্ন রোগ বালাই ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। তিনি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের না হওয়া আর বেশি করে পানি পান করার পরামর্শ দিয়েছেন।