গাজীপুরে এক কলেজ ছাত্রকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। শনিবার,(১০ মে ২০২৫) বেলা ১১টায় তারা মহাসড়ক অবরোধ করে, পরে বিচারের আশ্বাস পেয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়ক ছেড়ে চলে যায় বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ওসি মেহেদী হাসান।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইউনিভার্সিটির রসায়ন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মো. সোহেল এবং উত্তরা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. সিফাত বলেন, হাফ ভাড়া না নেয়া নিয়ে বিতর্কের জেরে সিয়ামকে বাস থেকে হত্যা করা হয়েছে।
‘দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপদ চলাচলের জন্য অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’ মহাসড়ক অবরোধের সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীরা তাকওয়া পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুর করে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর পোড়াবাড়ী (মাস্টারবাড়ী) এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মারা যান সিয়াম। নিহত ১৯ বছর বয়সী সিয়াম ওই এলাকার রোভার স্কাউট স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং গাজীপুর সদর উপজেলার বাউপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিল।
তখন পুলিশ জানিয়েছিল, সিয়াম জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে ‘তাকওয়া’ মিনি বাসে করে পোড়াবাড়ী এলাকায় যাচ্ছিল। এ সময় হাফ ভাড়া নিয়ে ওই বাসের হেলপারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হেলপার সিয়ামকে ধাক্কা দিলে সে চলন্ত বাস থেকে মহাসড়কে পড়ে যায়। এ সময় পেছনে থেকে দ্রুতগতির একটি গাড়ি চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সিয়ামের মৃত্যু হয়।
তবে তাকওয়া পরিবহনের মালিক প্রতিনিধি আব্দুল আউয়াল বলেন, ঘটনায় জড়িত বাসটি তাকওয়া পরিবহনের নয়, সেটি ছিল চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের। চ্যাম্পিয়নের বাসটি ঘটনা ঘটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পর পর তাকাওয়া পরিবহনের বাস ঘটনাস্থলে হাজির হয়। এতে এলাকাবাসী ও পুলিশ তাকওয়া পরিবহনের মিনিবাসটি ঘটনায় জড়িত বলে ধারণা করেছে এবং মিডিয়াকে তথ্য দিয়েছে। ফলে শনিবার সকালে বিক্ষোভকারীরা মাস্টারবাড়ী এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের চালক ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। এ সময় তারা কয়েকটি তাকওয়া পরিবহনের গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে দাবি করেন তিনি। ওসি মেহেদী হাসান জানান, একঘণ্টা পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিলে যান চলাচল শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে যান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে।
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
গাজীপুরে এক কলেজ ছাত্রকে বাস থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। শনিবার,(১০ মে ২০২৫) বেলা ১১টায় তারা মহাসড়ক অবরোধ করে, পরে বিচারের আশ্বাস পেয়ে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মহাসড়ক ছেড়ে চলে যায় বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ওসি মেহেদী হাসান।
মানববন্ধনে অংশ নেয়া কবি কাজী নজরুল ইসলাম ইউনিভার্সিটির রসায়ন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মো. সোহেল এবং উত্তরা ইউনিভার্সিটির আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মো. সিফাত বলেন, হাফ ভাড়া না নেয়া নিয়ে বিতর্কের জেরে সিয়ামকে বাস থেকে হত্যা করা হয়েছে।
‘দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপদ চলাচলের জন্য অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।’ মহাসড়ক অবরোধের সময় যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজটের তৈরি হয়। এছাড়া শিক্ষার্থীরা তাকওয়া পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুর করে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় নগরীর পোড়াবাড়ী (মাস্টারবাড়ী) এলাকার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মারা যান সিয়াম। নিহত ১৯ বছর বয়সী সিয়াম ওই এলাকার রোভার স্কাউট স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী এবং গাজীপুর সদর উপজেলার বাউপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ছিল।
তখন পুলিশ জানিয়েছিল, সিয়াম জয়দেবপুর চৌরাস্তা থেকে ‘তাকওয়া’ মিনি বাসে করে পোড়াবাড়ী এলাকায় যাচ্ছিল। এ সময় হাফ ভাড়া নিয়ে ওই বাসের হেলপারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে হেলপার সিয়ামকে ধাক্কা দিলে সে চলন্ত বাস থেকে মহাসড়কে পড়ে যায়। এ সময় পেছনে থেকে দ্রুতগতির একটি গাড়ি চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই সিয়ামের মৃত্যু হয়।
তবে তাকওয়া পরিবহনের মালিক প্রতিনিধি আব্দুল আউয়াল বলেন, ঘটনায় জড়িত বাসটি তাকওয়া পরিবহনের নয়, সেটি ছিল চ্যাম্পিয়ন পরিবহনের। চ্যাম্পিয়নের বাসটি ঘটনা ঘটিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পর পর তাকাওয়া পরিবহনের বাস ঘটনাস্থলে হাজির হয়। এতে এলাকাবাসী ও পুলিশ তাকওয়া পরিবহনের মিনিবাসটি ঘটনায় জড়িত বলে ধারণা করেছে এবং মিডিয়াকে তথ্য দিয়েছে। ফলে শনিবার সকালে বিক্ষোভকারীরা মাস্টারবাড়ী এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের চালক ও কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করছে। এ সময় তারা কয়েকটি তাকওয়া পরিবহনের গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে দাবি করেন তিনি। ওসি মেহেদী হাসান জানান, একঘণ্টা পর আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীদের বুঝিয়ে মহাসড়ক থেকে সরিয়ে নিলে যান চলাচল শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে যান চলাচল পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়েছে।