গাজীপুরের শ্রীপুরে মুঠোফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে টেক্সটাইল স্কুলের শিক্ষার্থী জিহাদ হাসান জয়কে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা আসামি মোজাম্মেল হকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিলে ৩টি টিনশেট ঘর পুড়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তিন নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার,(১০ মে ২০২৫) সকালে শিক্ষার্থীর বাবা বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ৯টায় শ্রীপুর পৌসভার লোহাগাছ এলাকায় সরকার মার্কেটের সামনে শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
জিহাদ হাসান জয় (১৫) লোহাগাছ এলাকার বোরহান উদ্দিনের ছেলে। সে শ্রীপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (ভোকেশনাল) স্কুলের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
মামলায় আসামিরা হলেন- একই এলাকার আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে মোজাম্মেল (৩৩), সাগর (৩০), মৃত জবেদ আলীর ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (৫৫) সহ অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ রাতেই মামলার তিন নম্বর আসামি আবু বকর সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করে। পরে ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে সরকার বাড়ী মাঠে কয়েকজন বন্ধুরা মিলে ফুটবল খেলে। খেলা শেষে জিহাদ হাসান জয় বাসায় চলে যায় এবং অন্যরা সরকার মার্কেটে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিল। তাদের মধ্যে কোনো একটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া হলে মোজাম্মেল মুদি দোকানি হাবিবুর রহমানের ছেলে জুনায়েদকে হুমকি দেয়। পরে মোজাম্মেল জিহাদ হাসান জয়কে মুঠোফোনে কল দিয়ে সরকার মার্কেটে আসতে বলে। জুনায়েদকে হুমকি দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মোজাম্মেল দৌড়ে বাড়ি থেকে ছুরি এনে জয়ের পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জয়কে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বাবা বোরহান উদ্দিন বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মোজাম্মেল জিহাদকে ফোন করে সরকার মার্কেটের সামনে যেতে বলে। সেখানে গেলে মোজাম্মেল ও তার বন্ধুদের ঝটলা দেখে জিহাদ জানতে চায় এখানে এতো লোকজন কেন? এ কথা জিজ্ঞেস করতেই মোজাম্মেল দৌড়ে বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে এসে জয়ের পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, শনিবার রাতে লোহাগাছ এলাকায় এক ছেলে আরেক ছেলেকে ছুরি মারার খবরে সঙ্গে সাথেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনার দিন বিকেলে স্থানীয় মাঠে ফুটবল খেলা হয়। রাতে জিহাদ হাসান জয় এবং মোজাম্মেল হকের বন্ধুরা স্থানীয় সরকার মার্কেটে একত্রিত হয়। এ সময় তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হলে জিহাদ হাসান জয়কে ছুরিকাঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। রাতেই পুলিশ একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
গাজীপুরের শ্রীপুরে মুঠোফোনে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে টেক্সটাইল স্কুলের শিক্ষার্থী জিহাদ হাসান জয়কে (১৫) ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে। ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা আসামি মোজাম্মেল হকের বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিলে ৩টি টিনশেট ঘর পুড়ে যায়। এ ঘটনায় মামলা হলে পুলিশ তিন নম্বর আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার,(১০ মে ২০২৫) সকালে শিক্ষার্থীর বাবা বোরহান উদ্দিন বাদী হয়ে চার জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ৯টায় শ্রীপুর পৌসভার লোহাগাছ এলাকায় সরকার মার্কেটের সামনে শিক্ষার্থীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে।
জিহাদ হাসান জয় (১৫) লোহাগাছ এলাকার বোরহান উদ্দিনের ছেলে। সে শ্রীপুর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং (ভোকেশনাল) স্কুলের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিল।
মামলায় আসামিরা হলেন- একই এলাকার আবু বকর সিদ্দিকের ছেলে মোজাম্মেল (৩৩), সাগর (৩০), মৃত জবেদ আলীর ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (৫৫) সহ অজ্ঞাত ১২ জনকে আসামি করা হয়। পুলিশ রাতেই মামলার তিন নম্বর আসামি আবু বকর সিদ্দিককে গ্রেপ্তার করে। পরে ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শনিবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বিকেলে সরকার বাড়ী মাঠে কয়েকজন বন্ধুরা মিলে ফুটবল খেলে। খেলা শেষে জিহাদ হাসান জয় বাসায় চলে যায় এবং অন্যরা সরকার মার্কেটে বসে বিশ্রাম নিচ্ছিল। তাদের মধ্যে কোনো একটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া হলে মোজাম্মেল মুদি দোকানি হাবিবুর রহমানের ছেলে জুনায়েদকে হুমকি দেয়। পরে মোজাম্মেল জিহাদ হাসান জয়কে মুঠোফোনে কল দিয়ে সরকার মার্কেটে আসতে বলে। জুনায়েদকে হুমকি দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে মোজাম্মেল দৌড়ে বাড়ি থেকে ছুরি এনে জয়ের পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা জয়কে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ১২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের বাবা বোরহান উদ্দিন বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত ৯টার দিকে মোজাম্মেল জিহাদকে ফোন করে সরকার মার্কেটের সামনে যেতে বলে। সেখানে গেলে মোজাম্মেল ও তার বন্ধুদের ঝটলা দেখে জিহাদ জানতে চায় এখানে এতো লোকজন কেন? এ কথা জিজ্ঞেস করতেই মোজাম্মেল দৌড়ে বাড়ি থেকে ছুরি নিয়ে এসে জয়ের পেটে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
শ্রীপুর থানার ওসি জয়নাল আবেদীন মন্ডল বলেন, শনিবার রাতে লোহাগাছ এলাকায় এক ছেলে আরেক ছেলেকে ছুরি মারার খবরে সঙ্গে সাথেই পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। ঘটনার দিন বিকেলে স্থানীয় মাঠে ফুটবল খেলা হয়। রাতে জিহাদ হাসান জয় এবং মোজাম্মেল হকের বন্ধুরা স্থানীয় সরকার মার্কেটে একত্রিত হয়। এ সময় তাদের মধ্যে তর্ক-বিতর্ক হলে জিহাদ হাসান জয়কে ছুরিকাঘাত করলে তার মৃত্যু হয়। রাতেই পুলিশ একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।