শেওড়াপাড়ায় দুই বোন হত্যা
রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় দুই বোনকে হত্যার ঘটনায় এখনও কোনো তথ্য পায়নি পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডের মোটিভ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পায়নি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। হত্যার কারণ হিসেবে পারিবারিক দ্বন্দ ও আর্থিক লেনদেনকে সামনে রেখে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ। শনিবার,(১০ মে ২০২৫) রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে হত্যাকারী শনাক্তে থানার একাধিক টিমের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ মরিয়ম বেগম (৬০) ও তার ছোট বোন সুফিয়া বেগমের (৫২) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাকছুদের রহমান বলেন, এখনও হত্যাকাণ্ডের কারণ ও জড়িতদেও বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য আমরা পাইনি। পারিবারিক দ্বন্দ, আর্থিক লেনদেনসহ আরও বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতদের আসামি করে মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে।
মিরপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, এই মুহুর্তে হত্যাকাণ্ডের অগ্রগতি বিষয়ে বলার মতো কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। আমরা বিভিন্নজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে বিভিন্ন বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে হতাকাণ্ডের রহস্য বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। তিনি আরও বলেন, থানা পুলিশের একাধিক টিমের পাশাপাশি ডিবি পুলিশও ছায়া তদন্ত করছে। আমরা আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যার রহস্য উন্মোচন হবে।
গতকাল শুক্রবার রাতে শেওড়াপাড়ার মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় ৬৪৯ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মরিয়ম বেগম সপরিবারে বাসাটিতে থাকতেন। মরিয়মের ছোট বোন নিহত সুফিয়া বেগম অবিবাহিত হওয়ায় মরিয়ম বেগমদের সঙ্গেই থাকতেন। ওই দিন সকালে মরিয়মের একমাত্র সন্তান নুসরাত জাহান (বৃষ্টি) মা ও খালা সুফিয়াকে বাসায় রেখে গুলশানে নিজ কর্মস্থলে যান।
মরিয়মের স্বামী কাজী আলাউদ্দিন বিশেষ কাজে সকালে বরিশালের বাবুগঞ্জ যান। তিনি বন বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা। রাত আটটার দিকে নুসরাত ফিরে দরজা নক করে বাসার ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না। পরে তার কাছে থাকা চাবি দিয়ে তালা খুলে তিনি ভেতরে ঢুকে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ডাইনিং রুমের মেঝেতে এবং খালাকে একটি শোবার ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ লাশ দুটি মর্গে পাঠায় এবং হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি ও শিলপাটা জব্দ করেছে।
মিরপুর মডেল থানার ওসি মো. সাজ্জাদ রুমন বলছেন, বাড়িটির
নিচলার একটি ঘর থেকে ওই দুই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ‘তাদের শরীরে শিল-পাটা বা এ ধরনের ভারি কোনো বস্তুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘরের দরজা বা জানালা কিছুই ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়নি। মিরপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, ‘দরজা বাইরে থেকে তালা মারা ছিল। নিহত মরিয়ম বেগমের (৬১) মেয়ে নুসরাত জাহান সন্ধ্যায় দরজা খুলে মা ও খালার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। এরপর পুলিশকে খবর দেয়া হয়।’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, শেওড়াপাড়া মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন ওই বাড়িতে মরিয়ম বেগম প্রায় ২০ বছর ধরে বাস করছেন। যে বাড়ি থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে, সেটির মালিক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহানের পরিবার। এ বিষয়ে সচিবের একান্ত সচিব (পিএস) শরীফ মুহম্মদ ফয়েজুল আলম বলেন, ‘বিমান সচিব শেওড়াপাড়া মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন বাবার বাড়ির চতুর্থ তলায় থাকেন। লাশ উদ্ধার হয়েছে বাড়ির নিচতলা থেকে।’
শেওড়াপাড়ায় দুই বোন হত্যা
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
রাজধানীর শেওড়াপাড়ায় দুই বোনকে হত্যার ঘটনায় এখনও কোনো তথ্য পায়নি পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডের মোটিভ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য পায়নি তদন্ত সংশ্লিষ্টরা। হত্যার কারণ হিসেবে পারিবারিক দ্বন্দ ও আর্থিক লেনদেনকে সামনে রেখে তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এ ঘটনায় অজ্ঞাতদের আসামি করে মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করতে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে সিসি ক্যামেরা ফুটেজ। শনিবার,(১০ মে ২০২৫) রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে হত্যাকারী শনাক্তে থানার একাধিক টিমের পাশাপাশি ছায়া তদন্ত করছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এর আগে গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে পুলিশ মরিয়ম বেগম (৬০) ও তার ছোট বোন সুফিয়া বেগমের (৫২) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
এ বিষয়ে ডিএমপির মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাকছুদের রহমান বলেন, এখনও হত্যাকাণ্ডের কারণ ও জড়িতদেও বিষয়ে তেমন কোনো তথ্য আমরা পাইনি। পারিবারিক দ্বন্দ, আর্থিক লেনদেনসহ আরও বেশ কয়েকটি বিষয় সামনে রেখে আমরা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি। এ ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে অজ্ঞাতদের আসামি করে মিরপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচনে আমাদের একাধিক টিম কাজ করছে।
মিরপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, এই মুহুর্তে হত্যাকাণ্ডের অগ্রগতি বিষয়ে বলার মতো কোনো তথ্য আমার কাছে নেই। আমরা বিভিন্নজনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করছি। তাদের কাছে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে বিভিন্ন বিষয়কে সামনে রেখে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে হতাকাণ্ডের রহস্য বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। তিনি আরও বলেন, থানা পুলিশের একাধিক টিমের পাশাপাশি ডিবি পুলিশও ছায়া তদন্ত করছে। আমরা আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যার রহস্য উন্মোচন হবে।
গতকাল শুক্রবার রাতে শেওড়াপাড়ার মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন পশ্চিম শেওড়াপাড়ায় ৬৪৯ নম্বর বাড়ির একটি ফ্ল্যাট থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত মরিয়ম বেগম সপরিবারে বাসাটিতে থাকতেন। মরিয়মের ছোট বোন নিহত সুফিয়া বেগম অবিবাহিত হওয়ায় মরিয়ম বেগমদের সঙ্গেই থাকতেন। ওই দিন সকালে মরিয়মের একমাত্র সন্তান নুসরাত জাহান (বৃষ্টি) মা ও খালা সুফিয়াকে বাসায় রেখে গুলশানে নিজ কর্মস্থলে যান।
মরিয়মের স্বামী কাজী আলাউদ্দিন বিশেষ কাজে সকালে বরিশালের বাবুগঞ্জ যান। তিনি বন বিভাগের সাবেক কর্মকর্তা। রাত আটটার দিকে নুসরাত ফিরে দরজা নক করে বাসার ভেতর থেকে কোনো সাড়াশব্দ পাচ্ছিলেন না। পরে তার কাছে থাকা চাবি দিয়ে তালা খুলে তিনি ভেতরে ঢুকে মাকে রক্তাক্ত অবস্থায় ডাইনিং রুমের মেঝেতে এবং খালাকে একটি শোবার ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেন। পরে পুলিশ লাশ দুটি মর্গে পাঠায় এবং হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা ছুরি ও শিলপাটা জব্দ করেছে।
মিরপুর মডেল থানার ওসি মো. সাজ্জাদ রুমন বলছেন, বাড়িটির
নিচলার একটি ঘর থেকে ওই দুই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ‘তাদের শরীরে শিল-পাটা বা এ ধরনের ভারি কোনো বস্তুর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ঘরের দরজা বা জানালা কিছুই ভাঙা অবস্থায় পাওয়া যায়নি। মিরপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, ‘দরজা বাইরে থেকে তালা মারা ছিল। নিহত মরিয়ম বেগমের (৬১) মেয়ে নুসরাত জাহান সন্ধ্যায় দরজা খুলে মা ও খালার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। এরপর পুলিশকে খবর দেয়া হয়।’
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, শেওড়াপাড়া মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন ওই বাড়িতে মরিয়ম বেগম প্রায় ২০ বছর ধরে বাস করছেন। যে বাড়ি থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে, সেটির মালিক বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসরীন জাহানের পরিবার। এ বিষয়ে সচিবের একান্ত সচিব (পিএস) শরীফ মুহম্মদ ফয়েজুল আলম বলেন, ‘বিমান সচিব শেওড়াপাড়া মেট্রো স্টেশন সংলগ্ন বাবার বাড়ির চতুর্থ তলায় থাকেন। লাশ উদ্ধার হয়েছে বাড়ির নিচতলা থেকে।’