অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিকে সাধুবাদ জানালেও চার দাবি আদায়ে অটল অবস্থানে আছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার পাল্টা এক বিবৃতিতে এ ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছে ঐক্য পরিষদ। এনবিআর সংস্কার পরিষদের চার দাবি হলো অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল, এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ, রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও সব অংশীজনের মতামত নিয়ে টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করা।
চার দাবি হলো, অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল, এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ, রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও সব অংশীজনের মতামত নিয়ে টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করা
এর আগে সন্ধ্যায় পরামর্শক কমিটিসহ সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনাক্রমে জারিকৃত অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনার পর তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে এনবিআরের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এক সংবাদ বিবৃতিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজের প্রতি এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। প্রেস রিলিজে অর্থ উপদেষ্টাসহ দুইজন উপদেষ্টার সঙ্গে ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিদের আলোচনার বিষয়ে আমরা গত ২০ মে ও ২১ মে গণমাধ্যমকে জানিয়েছি। আমরা আগের প্রেস রিলিজের বক্তব্যে অটল রয়েছি। তদুপরি অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রেস রিলিজে উল্লেখ করা সভার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে যৌক্তিক দাবিকে প্রেসনোটের মাধ্যমে স্বীকার করার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। তবে আজকের প্রেস রিলিজে যৌক্তিক দাবিগুলোর অংশবিশেষ পূরণ হলেও আমাদের উপর্যুক্ত মৌলিক চারটি দাবির বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আশ্বাস পাওয়া যায়নি বলে মনে করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।’
এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, ‘এখনও অধ্যাদেশ বিলুপ্ত করার বিষয়ে ঘোষণা আসেনি। এনবিআরকে বিলুপ্ত করা নয়, বরং সংস্কারের মাধ্যমে একে একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত রাজস্ব এজেন্সি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে ঘোষণা আসেনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করার বিষয়ে ঘোষণা আসেনি। রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার বিষয়ে ঘোষণা আসেনি। তাই আমরা এখনও একমত হতে পারেনি। এছাড়া, প্রেস রিলিজে উল্লিখিত আজকের সমঝোতা প্রস্তাব মেনে নেয়ার বিষয়েও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ অবগত নয়।’
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ বলছে, ‘আমাদের বিগত দিনের কর্মসূচিতে কোনো পদ-পদবি হ্রাস বা বৃদ্ধির বিষয়েও আমরা কোনো বক্তব্য প্রদান করিনি, এগুলো আমাদের দাবিও নয়, ছিলও না কোনোদিন। আমরা আমাদের কর্মসূচি ধীরে ধীরে যথেষ্ট সময় দিয়ে তীব্র করতে বাধ্য হয়েছি, হঠাৎ করে নয়। কর্মসূচির মাঝে মাঝে আমরা বিরতিও দিয়েছি, দেশ ও মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে। সরকার শুরু থেকেই যদি আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলোর বিষয়ে আজকের মতো ভাববার সদিচ্ছা প্রদর্শন শুরু করত, তবে এই সমস্যা অনেক আগেই সুরাহা হয়ে যেত বলে আমরা মনে করি। তবে দেরিতে হলেও সরকারের এই সদিচ্ছার প্রারম্ভকে আমরা আরেকবার স্বাগত জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের চারটি যৌক্তিক দাবি পূরণের সুনির্দিষ্ট আশ্বাস আমরা শিগগিরই পাব। দাবি পূরণের আগ পর্যন্ত আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি আগামী ২৪ মে (আজ) থেকে চলবে।’
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
অর্থ মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিকে সাধুবাদ জানালেও চার দাবি আদায়ে অটল অবস্থানে আছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ। গতকাল বৃহস্পতিবার পাল্টা এক বিবৃতিতে এ ইস্যুতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছে ঐক্য পরিষদ। এনবিআর সংস্কার পরিষদের চার দাবি হলো অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল, এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ, রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও সব অংশীজনের মতামত নিয়ে টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করা।
চার দাবি হলো, অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল, এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ, রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ ও সব অংশীজনের মতামত নিয়ে টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করা
এর আগে সন্ধ্যায় পরামর্শক কমিটিসহ সব অংশীজনের সঙ্গে আলোচনাক্রমে জারিকৃত অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধন আনার পর তা বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়ে এনবিআরের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীকে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের অনুরোধ করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এক সংবাদ বিবৃতিতে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ তাদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।
ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কর্তৃক স্বাক্ষরিত প্রেস রিলিজের প্রতি এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের দৃষ্টি আকর্ষিত হয়েছে। প্রেস রিলিজে অর্থ উপদেষ্টাসহ দুইজন উপদেষ্টার সঙ্গে ঐক্য পরিষদের প্রতিনিধিদের আলোচনার বিষয়ে আমরা গত ২০ মে ও ২১ মে গণমাধ্যমকে জানিয়েছি। আমরা আগের প্রেস রিলিজের বক্তব্যে অটল রয়েছি। তদুপরি অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রেস রিলিজে উল্লেখ করা সভার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে যৌক্তিক দাবিকে প্রেসনোটের মাধ্যমে স্বীকার করার জন্য ধন্যবাদ জানানো হয়েছে। তবে আজকের প্রেস রিলিজে যৌক্তিক দাবিগুলোর অংশবিশেষ পূরণ হলেও আমাদের উপর্যুক্ত মৌলিক চারটি দাবির বিষয়ে কোনো সুনির্দিষ্ট আশ্বাস পাওয়া যায়নি বলে মনে করে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।’
এনবিআর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলছেন, ‘এখনও অধ্যাদেশ বিলুপ্ত করার বিষয়ে ঘোষণা আসেনি। এনবিআরকে বিলুপ্ত করা নয়, বরং সংস্কারের মাধ্যমে একে একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত রাজস্ব এজেন্সি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার বিষয়ে ঘোষণা আসেনি। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করার বিষয়ে ঘোষণা আসেনি। রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার বিষয়ে ঘোষণা আসেনি। তাই আমরা এখনও একমত হতে পারেনি। এছাড়া, প্রেস রিলিজে উল্লিখিত আজকের সমঝোতা প্রস্তাব মেনে নেয়ার বিষয়েও এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ অবগত নয়।’
এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ বলছে, ‘আমাদের বিগত দিনের কর্মসূচিতে কোনো পদ-পদবি হ্রাস বা বৃদ্ধির বিষয়েও আমরা কোনো বক্তব্য প্রদান করিনি, এগুলো আমাদের দাবিও নয়, ছিলও না কোনোদিন। আমরা আমাদের কর্মসূচি ধীরে ধীরে যথেষ্ট সময় দিয়ে তীব্র করতে বাধ্য হয়েছি, হঠাৎ করে নয়। কর্মসূচির মাঝে মাঝে আমরা বিরতিও দিয়েছি, দেশ ও মানুষের অসুবিধার কথা মাথায় রেখে। সরকার শুরু থেকেই যদি আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলোর বিষয়ে আজকের মতো ভাববার সদিচ্ছা প্রদর্শন শুরু করত, তবে এই সমস্যা অনেক আগেই সুরাহা হয়ে যেত বলে আমরা মনে করি। তবে দেরিতে হলেও সরকারের এই সদিচ্ছার প্রারম্ভকে আমরা আরেকবার স্বাগত জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের চারটি যৌক্তিক দাবি পূরণের সুনির্দিষ্ট আশ্বাস আমরা শিগগিরই পাব। দাবি পূরণের আগ পর্যন্ত আমাদের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি আগামী ২৪ মে (আজ) থেকে চলবে।’