দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জনের মধ্যে ফেইসবুকে এক পোস্ট দেয়ার কিছুক্ষণ পর আবার তা সরিয়ে নিয়েছেন তার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তবে এর আগেই সেই ফেইসবুকে পোস্টের স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন অনেকে; যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাশাপাশি রাজনীতি সচেতন মানুষ ও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
শুক্রবার,(২৩ মে ২০২৫) দুপুরে নিজের ফেইসবুক পাতায় ওই পোস্ট দেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। কিন্তু বিকেল থেকে সেই পোস্ট আর দেখা যায়নি। ওই পোস্টে তিনি বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না বলেই তার বিশ্বাস। সেই সঙ্গে নির্বাচন ও বিভিন্ন প্রসঙ্গে সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক শক্তিশালী বক্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী তৈয়্যব ওই পোস্টে লিখেছিলেন, ‘অধ্যাপক ডক্টর
মুহাম্মদ ইউনূস এর ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্র্যাটিক ট্রানজিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যার এর দরকার আছে।’
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’, গতকাল বৃহস্পতিবার তার সঙ্গে হঠাৎ দেখা করে আসা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বরাতে বিবিসি বাংলার এমন খবর প্রকাশের পরই শুরু হয় নানা আলোচনা। নাহিদের পর সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না, এমন আশা ব্যক্ত করে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ওই ফেইসবুক পোস্টে লিখেন, ‘ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরো বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরো বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদেরকে দেখাতে হবে যে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন।’
মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সমর্থনের কথা উল্লেখ করে পোস্টে তিনি লিখেন, ‘বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়।’
এদিকে গণঅভ্যুত্থানের ৯ মাস বাদে দেশে যে রাজনৈতিক সংকট চলছে, তার উত্তরণে দ্রুত নির্বাচনে জোর দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। গত বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনা প্রাঙ্গণে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে করিডোর, বন্দর, সংস্কারের মতো বিষয়ও উঠে আসে বলে দেশ-বিদেশের সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে।
বিশেষ সহকারী তৈয়্যব সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের প্রসঙ্গও টানেন তার পোস্টে। সেনাবাহিনীপ্রধান ‘জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস’ রক্ষা করতে পারেননি মন্তব্য করে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেছিলেন, ‘সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি।’
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও লিখেন, ‘তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে উল্লেখ করে পোস্টে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেছিলেন, ‘সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তেমনি, ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।’
আগামী এপ্রিল-মে মাসে নির্বাচন হতে পারে এমন মতপ্রকাশ করে তৈয়্যব লিখেছিলেন, ‘দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মের কোনো এক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি, তবে এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। এ সময়ে সব যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ। তবে ডিসেম্বর থেকে জুনে দেয়া রোডম্যাপ মতে নির্বাচনের এক্সাক্ট ডেট ঘোষণার এখতিয়ার শুধুমাত্র স্যারের। স্যারের এখতিয়ার অন্য কেউ হাইজ্যাক করতে পারবে না। স্যারকে যখন আনা হয়েছে, তখন বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে স্যার বলেছেন, আমার কথা শুনতে হবে।’
পোস্টের শেষ অংশে প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী লিখেছিলেন, ‘জুলাই-আগস্ট ২৫-এ আমরা জাতীয়ভাবে দুই মাস জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির উদযাপন করব, ইনশাআল্লাহ। এবং আগস্টের মধ্যেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায়টি আলোর মুখ দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করি। ইনশাআল্লাহ আমরা হারবো না, আমাদের হারানো যাবে না।’
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
দেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগের গুঞ্জনের মধ্যে ফেইসবুকে এক পোস্ট দেয়ার কিছুক্ষণ পর আবার তা সরিয়ে নিয়েছেন তার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তবে এর আগেই সেই ফেইসবুকে পোস্টের স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছেন অনেকে; যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাশাপাশি রাজনীতি সচেতন মানুষ ও সাধারণ নাগরিকদের মধ্যে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
শুক্রবার,(২৩ মে ২০২৫) দুপুরে নিজের ফেইসবুক পাতায় ওই পোস্ট দেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। কিন্তু বিকেল থেকে সেই পোস্ট আর দেখা যায়নি। ওই পোস্টে তিনি বলেছিলেন, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না বলেই তার বিশ্বাস। সেই সঙ্গে নির্বাচন ও বিভিন্ন প্রসঙ্গে সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক শক্তিশালী বক্তব্য নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি।
অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান মুহাম্মদ ইউনূসের বিশেষ সহকারী তৈয়্যব ওই পোস্টে লিখেছিলেন, ‘অধ্যাপক ডক্টর
মুহাম্মদ ইউনূস এর ক্ষমতা প্রয়োজন নেই, কিন্তু বাংলাদেশের জন্য, বাংলাদেশের শান্তিপূর্ণ ডেমোক্র্যাটিক ট্রানজিশনের জন্য ড. ইউনূস স্যার এর দরকার আছে।’
প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস ‘পদত্যাগের বিষয়ে ভাবছেন’, গতকাল বৃহস্পতিবার তার সঙ্গে হঠাৎ দেখা করে আসা জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের বরাতে বিবিসি বাংলার এমন খবর প্রকাশের পরই শুরু হয় নানা আলোচনা। নাহিদের পর সরকারে থাকা দুই ছাত্র উপদেষ্টা মাহফুজ আলম ও আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াও মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন।
প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না, এমন আশা ব্যক্ত করে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ওই ফেইসবুক পোস্টে লিখেন, ‘ক্যাবিনেটকে আরও গতিশীল হতে হবে। সরকারকে আরো বেশি ফাংশনাল হতে হবে, উপদেষ্টাদের আরো বেশি কাজ করতে হবে, দৃশ্যমান অগ্রগতি জনতার সামনে উপস্থাপন করতে হবে এ ব্যাপারে কোনো দ্বিমত থাকতে পারে না। আমাদেরকে দেখাতে হবে যে, গণঅভ্যুত্থান পরবর্তীতে জনতার সম্মতিতে ক্ষমতায় এসে প্রফেসর সাফল্য দেখিয়েছেন।’
মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি সমর্থনের কথা উল্লেখ করে পোস্টে তিনি লিখেন, ‘বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর সম্মান আছে, এটা রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। আমি মনে করি, সরকারকে এখন থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে আলোচনায় বসতে হবে, নিয়মিত বসে এবং বিভিন্ন বিষয়ে তাদের মতামত চাইতে হবে। কোনো ধরনের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়।’
এদিকে গণঅভ্যুত্থানের ৯ মাস বাদে দেশে যে রাজনৈতিক সংকট চলছে, তার উত্তরণে দ্রুত নির্বাচনে জোর দিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। গত বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের সেনা প্রাঙ্গণে ‘অফিসার্স অ্যাড্রেস’ অনুষ্ঠানে তার বক্তব্যে করিডোর, বন্দর, সংস্কারের মতো বিষয়ও উঠে আসে বলে দেশ-বিদেশের সংবাদমাধ্যমে উঠে আসে।
বিশেষ সহকারী তৈয়্যব সেনাপ্রধানের সাম্প্রতিক এক বক্তব্যের প্রসঙ্গও টানেন তার পোস্টে। সেনাবাহিনীপ্রধান ‘জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস’ রক্ষা করতে পারেননি মন্তব্য করে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেছিলেন, ‘সেনাবাহিনীও রাজনীতিতে নাক গলাতে পারবে না। আজকের দুনিয়ায় কোনো সভ্য দেশের সেনাবাহিনী রাজনীতি করে না। তাই ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের বক্তব্যে সেনাপ্রধান জুরিশডিকশনাল কারেক্টনেস রক্ষা করতে পারেননি।’
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব আরও লিখেন, ‘তবে সেনাবাহিনীকে প্রাপ্য সম্মান দেখাতে হবে, আস্থায় রাখতে হবে উল্লেখ করে পোস্টে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেছিলেন, ‘সেনাবাহিনী প্রশ্নে হুট করে কিছু করা যাবে না, হঠকারী কিছু করা যাবে না। তেমনি, ইনক্লুসিভনেসের নাম করে আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনও চাওয়া যাবে না। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আমাদের গর্ব এবং আস্থার জায়গা সেটা কেউ ভঙ্গ করবে না।’
আগামী এপ্রিল-মে মাসে নির্বাচন হতে পারে এমন মতপ্রকাশ করে তৈয়্যব লিখেছিলেন, ‘দরকারি প্রস্তুতি শেষ করে নির্বাচন এপ্রিল-মের কোনো এক সময়ে অনুষ্ঠিত হবে বলেই আশা করি, তবে এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। এ সময়ে সব যৌক্তিক সংস্কার সম্পন্ন করতে হবে, করতে হবে জুলাই সনদ। তবে ডিসেম্বর থেকে জুনে দেয়া রোডম্যাপ মতে নির্বাচনের এক্সাক্ট ডেট ঘোষণার এখতিয়ার শুধুমাত্র স্যারের। স্যারের এখতিয়ার অন্য কেউ হাইজ্যাক করতে পারবে না। স্যারকে যখন আনা হয়েছে, তখন বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে স্যার বলেছেন, আমার কথা শুনতে হবে।’
পোস্টের শেষ অংশে প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী লিখেছিলেন, ‘জুলাই-আগস্ট ২৫-এ আমরা জাতীয়ভাবে দুই মাস জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির উদযাপন করব, ইনশাআল্লাহ। এবং আগস্টের মধ্যেই স্বৈরাচারী খুনি হাসিনার বিচারের প্রথম রায়টি আলোর মুখ দেখতে পাবে বলেও আশা প্রকাশ করি। ইনশাআল্লাহ আমরা হারবো না, আমাদের হারানো যাবে না।’