নিজের আঙুর বাগানে যশোরের চৌগাছার কামরুজ্জামান এমিল
‘আঙুর কি এ দেশে হয়?’ এই প্রশ্নটা ছিল এতদিন বেশ যৌক্তিক। অথচ আজ সেটিই হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশ্নের চেয়ে বেশি এক বিস্ময়! কিন্তু যশোরের চৌগাছার কামরুজ্জামান এমিল মিষ্টি আঙুর চাষ করে সাধারণ মানুষের নাগলে মধ্যে নিয়ে এসেছেন। তার এলাকার মানুষ সকালে শুধু কলা, পেয়ারা বা পেঁপে খেতে অভ্যস্থ ছিল। কিন্ত আঙুর হাতের নাগালে থাকার কারণে তা এখন মৌসুমী ফলে রুপ নিয়েছে।
‘আঙুর শুধু ফল নয়, এটি প্রযুক্তিনির্ভর ও অতি আদর যতেœর ফল’, উদ্যোগতা
‘সঠিক পরিচর্যা, পানি নিষ্কাশন, পাউডারি মিলডিউ ও থ্রিপস প্রতিরোধে স্প্রে, অনুখাদ্য প্রয়োগ সঠিকভাবে মানলেই ফলন ভালো হয়’ : তালহা জুবাইর মাসরুর
দক্ষিণ কোরিয়ায় ১০ বছরের প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরেন কামরুজ্জামান। এসেই তিনি আঙুর বাগান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাড়ির পাশে দুই বিঘা জমিতে তিনি আঙুরের চাষ করেন। এখন সেই ক্ষেতের মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলছে খয়েরী লাল আঙুর, যা দূর থেকে পথচারীদের নজর কাড়ছে।
তার কথায়, ‘আঙুর শুধু ফল নয়, এটি প্রযুক্তি নির্ভর ও অতি আদর যত্নের ফল।’ তিনি দেশে ফিরে এসে প্রবাসে থাকতে অর্জন করা জ্ঞানই মিশিয়ে দিয়েছেন নিজ মাটিতে।
এমিলের চাষ করা বাইকুনুর জাতের আঙুর খুবই মিষ্টি ও রসালো। মিষ্টি জাতের এই আঙুর চাষ করে প্রথম বছরই বাজিমাত করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে আড়াই লাখ টাকার আঙ্গুর বিক্রি করেছেন। তার লক্ষ্য চলতি মৌসুমেই ৫ লাখ টাকার আঙ্গুর বিক্রির।
তিনি জানান, প্রথম বছর খরচ সাড়ে চার লাখ টাকার মতো হলেও পরের বছরগুলোতে বিঘাপ্রতি খরচ হবে ৪০-৫০ হাজারের মতো। সঠিক যত্ন আর রোগ-বালাই না হলে আগামী ২৫ বছর এ জমি থেকে তিনি আঙ্গুর উঠাতে পারবেন।
‘একটা গাছে প্রথম বছরে ১০ কেজি মতো আঙ্গুর ধরে । পরের বছর ধরে ২০ কেজির বেশি’, জানান তিনি।
বদলে যাওয়া বাস্তবতা
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাহস ও প্রযুক্তির মিশ্রণ মাটির সঙ্গে মিশে যায় তখন তা রূপ নেয় সম্ভাবনার, আর সেটাই কৃষিকে ‘বদলে’ দিতে শুরু করে। এমিলের আঙুর বাগান এই বদলের প্রতীক। তার বাইকুনুর জাতের আঙুরের মিষ্টি ফল চাষই বলে দেয়, ‘আমরাও পারি!’
এমিলের মিষ্টি আঙুর চাষে সফলতা একার প্রচেষ্টা মনে হলেও তিনি একা ছিলেন না। পাশে ছিলেন চুয়াডাঙ্গার উদ্ভাবনী কৃষক মোকারম হোসেন, যিনি গত কয়েক বছর ধরে আঙুরের জাত ও চাষ পদ্ধতি নিয়ে নিরীক্ষা চালিয়ে আসছেন। তার কারিগরি সহায়তায় এমিল দুই বিঘা জমিতে চাষ শুরু করেন বাইকুনুর জাতের আঙুর। নিজেকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের টিস্যুকালচার ও হর্টিকালচার ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট থেকে নিয়েছেন উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ।
গবেষণাগার নয়, মাঠে হচ্ছে গবেষণা
বাংলাদেশে আঙুর চাষের কথা বহুদিন শুনলেও বাস্তবে তা ছিল মূলত ব্যর্থতার গল্প। কারণ ছিল সঠিক জাতের অভাব, জলবায়ু অনুপযোগিতা, আর সীমিত প্রযুক্তিগত জ্ঞান। পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা পাইনি এমন একটি জাত, যা দেশের আবহাওয়ায় সহজে মানিয়ে নিতে পারে। কিন্তু যারা কৃষিকে ভালোবাসে, তারা থেমে থাকে না। ছাদে, বারান্দায়, জমিতে তারা নিজের মতো করে শুরু করেছে আঙুর চাষ। আর এরই মাঝে বাইকুনুর হয়ে উঠেছে আস্থার নাম। কারণ এটি দ্রুত ফল দেয় (৮০-৯০ দিনে), ভারী থোকা ধরে (৭০০-৯০০ গ্রাম)এবং দেখতে যেমন, খেতেও তেমন রসালো ও মিষ্টি।
#### শখের গাছে থোকায় থোকায় আঙুর :
এখন আর আঙুর শুধুই যশোরে সীমাবদ্ধ নয়। বাংলাদেশের একাধিক জেলায় উদ্যমী তরুণরা ঝুঁকছেন আঙুর চাষে। ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, নাটোর, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, ফরিদপুর, কুমিল্লা, ঠাকুরগাঁও এসব জেলার অনেক উদ্যোক্তা নিজেদের খামারে আঙুর চাষ করছেন বাণিজ্যিকভাবে। এই তালিকায় রয়েছেন আব্দুর রশিদ, রানা, সজল, রুহুল আমিন, মনসুর, সাদ্দাম, শেখ ফরিদ আরও অনেকে, যারা শুধু চাষই করছেন না, অন্যদের অনুপ্রাণিতও করছেন।
### কারিগরি সহায়তা ও ‘মাঠে পাঠ শেখা’ :
মোকারম হোসেন বলেন, ‘আঙুর চাষে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে ধৈর্য ও নিয়ম মানা। আমি এমিলকে শুরু থেকেই শিডিউল স্প্রে, সঠিক সময়ে ট্রেনিং ও প্রুনিং এবং অনুখাদ্য ব্যবস্থাপনায় পরামর্শ দিয়েছি। আঙুরের গাছে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন বা জিঙ্কের সামান্য ঘাটতিও ফলন কমিয়ে দেয়। এটা জানতে হলে গাছের ভাষা বুঝতে হয়।’
টিস্যুকালচার ও হর্টিকালচার সেন্টার উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) তালহা জুবাইর মাসরুর বলেন, ‘আঙুর চাষ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। বাংলাদেশের জলবায়ুতে উপযোগী জাত নির্বাচন করে যদি প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কাজ করা যায়, তাহলে আঙুর হতে পারে আমাদের অন্যতম অর্থকরী ফল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সঠিক পরিচর্যা যেমন- সময়মতো প্রুনিং ও ট্রেনিং, বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশন, পাউডারি মিলডিউ ও থ্রিপস প্রতিরোধে স্প্রে, অনুখাদ্য প্রয়োগ এগুলো ঠিকভাবে মানলেই ফলন ভালো হয়।’
চৌগাছার বাইকুনুর খামার হয়তো দেশের প্রথম আঙুর খামার নয়, কিন্তু এটা এমন এক খামারের প্রতীক, যা বলে; মিষ্টি আঙুর বাংলাদেশে সম্ভব। যাকে এক সময় ‘বিদেশি ফল’ বলে দূরে রেখেছিল সেটাই এখন ঘরের আঙিনায় হাসছে।
এই গল্প শুধু একটি জাত বা একজন কৃষকের নয়, বরং এটি বাংলাদেশের তরুণ কৃষির নবজাগরণের গল্প, যেখানে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন আর সাহস যোগাচ্ছে অপার সম্ভবনা।
নিজের আঙুর বাগানে যশোরের চৌগাছার কামরুজ্জামান এমিল
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
‘আঙুর কি এ দেশে হয়?’ এই প্রশ্নটা ছিল এতদিন বেশ যৌক্তিক। অথচ আজ সেটিই হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রশ্নের চেয়ে বেশি এক বিস্ময়! কিন্তু যশোরের চৌগাছার কামরুজ্জামান এমিল মিষ্টি আঙুর চাষ করে সাধারণ মানুষের নাগলে মধ্যে নিয়ে এসেছেন। তার এলাকার মানুষ সকালে শুধু কলা, পেয়ারা বা পেঁপে খেতে অভ্যস্থ ছিল। কিন্ত আঙুর হাতের নাগালে থাকার কারণে তা এখন মৌসুমী ফলে রুপ নিয়েছে।
‘আঙুর শুধু ফল নয়, এটি প্রযুক্তিনির্ভর ও অতি আদর যতেœর ফল’, উদ্যোগতা
‘সঠিক পরিচর্যা, পানি নিষ্কাশন, পাউডারি মিলডিউ ও থ্রিপস প্রতিরোধে স্প্রে, অনুখাদ্য প্রয়োগ সঠিকভাবে মানলেই ফলন ভালো হয়’ : তালহা জুবাইর মাসরুর
দক্ষিণ কোরিয়ায় ১০ বছরের প্রবাস জীবন কাটিয়ে দেশে ফেরেন কামরুজ্জামান। এসেই তিনি আঙুর বাগান নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। বাড়ির পাশে দুই বিঘা জমিতে তিনি আঙুরের চাষ করেন। এখন সেই ক্ষেতের মাচায় থোকায় থোকায় ঝুলছে খয়েরী লাল আঙুর, যা দূর থেকে পথচারীদের নজর কাড়ছে।
তার কথায়, ‘আঙুর শুধু ফল নয়, এটি প্রযুক্তি নির্ভর ও অতি আদর যত্নের ফল।’ তিনি দেশে ফিরে এসে প্রবাসে থাকতে অর্জন করা জ্ঞানই মিশিয়ে দিয়েছেন নিজ মাটিতে।
এমিলের চাষ করা বাইকুনুর জাতের আঙুর খুবই মিষ্টি ও রসালো। মিষ্টি জাতের এই আঙুর চাষ করে প্রথম বছরই বাজিমাত করেছেন তিনি। ইতোমধ্যে আড়াই লাখ টাকার আঙ্গুর বিক্রি করেছেন। তার লক্ষ্য চলতি মৌসুমেই ৫ লাখ টাকার আঙ্গুর বিক্রির।
তিনি জানান, প্রথম বছর খরচ সাড়ে চার লাখ টাকার মতো হলেও পরের বছরগুলোতে বিঘাপ্রতি খরচ হবে ৪০-৫০ হাজারের মতো। সঠিক যত্ন আর রোগ-বালাই না হলে আগামী ২৫ বছর এ জমি থেকে তিনি আঙ্গুর উঠাতে পারবেন।
‘একটা গাছে প্রথম বছরে ১০ কেজি মতো আঙ্গুর ধরে । পরের বছর ধরে ২০ কেজির বেশি’, জানান তিনি।
বদলে যাওয়া বাস্তবতা
কৃষি সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাহস ও প্রযুক্তির মিশ্রণ মাটির সঙ্গে মিশে যায় তখন তা রূপ নেয় সম্ভাবনার, আর সেটাই কৃষিকে ‘বদলে’ দিতে শুরু করে। এমিলের আঙুর বাগান এই বদলের প্রতীক। তার বাইকুনুর জাতের আঙুরের মিষ্টি ফল চাষই বলে দেয়, ‘আমরাও পারি!’
এমিলের মিষ্টি আঙুর চাষে সফলতা একার প্রচেষ্টা মনে হলেও তিনি একা ছিলেন না। পাশে ছিলেন চুয়াডাঙ্গার উদ্ভাবনী কৃষক মোকারম হোসেন, যিনি গত কয়েক বছর ধরে আঙুরের জাত ও চাষ পদ্ধতি নিয়ে নিরীক্ষা চালিয়ে আসছেন। তার কারিগরি সহায়তায় এমিল দুই বিঘা জমিতে চাষ শুরু করেন বাইকুনুর জাতের আঙুর। নিজেকে কৃষি উদ্যোক্তা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে তিনি কৃষি মন্ত্রণালয়ের টিস্যুকালচার ও হর্টিকালচার ডেভলপমেন্ট প্রজেক্ট থেকে নিয়েছেন উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ।
গবেষণাগার নয়, মাঠে হচ্ছে গবেষণা
বাংলাদেশে আঙুর চাষের কথা বহুদিন শুনলেও বাস্তবে তা ছিল মূলত ব্যর্থতার গল্প। কারণ ছিল সঠিক জাতের অভাব, জলবায়ু অনুপযোগিতা, আর সীমিত প্রযুক্তিগত জ্ঞান। পঞ্চাশ বছরেরও বেশি সময় ধরে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা বেসরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে আমরা পাইনি এমন একটি জাত, যা দেশের আবহাওয়ায় সহজে মানিয়ে নিতে পারে। কিন্তু যারা কৃষিকে ভালোবাসে, তারা থেমে থাকে না। ছাদে, বারান্দায়, জমিতে তারা নিজের মতো করে শুরু করেছে আঙুর চাষ। আর এরই মাঝে বাইকুনুর হয়ে উঠেছে আস্থার নাম। কারণ এটি দ্রুত ফল দেয় (৮০-৯০ দিনে), ভারী থোকা ধরে (৭০০-৯০০ গ্রাম)এবং দেখতে যেমন, খেতেও তেমন রসালো ও মিষ্টি।
#### শখের গাছে থোকায় থোকায় আঙুর :
এখন আর আঙুর শুধুই যশোরে সীমাবদ্ধ নয়। বাংলাদেশের একাধিক জেলায় উদ্যমী তরুণরা ঝুঁকছেন আঙুর চাষে। ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, নাটোর, নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, ফরিদপুর, কুমিল্লা, ঠাকুরগাঁও এসব জেলার অনেক উদ্যোক্তা নিজেদের খামারে আঙুর চাষ করছেন বাণিজ্যিকভাবে। এই তালিকায় রয়েছেন আব্দুর রশিদ, রানা, সজল, রুহুল আমিন, মনসুর, সাদ্দাম, শেখ ফরিদ আরও অনেকে, যারা শুধু চাষই করছেন না, অন্যদের অনুপ্রাণিতও করছেন।
### কারিগরি সহায়তা ও ‘মাঠে পাঠ শেখা’ :
মোকারম হোসেন বলেন, ‘আঙুর চাষে সবচেয়ে জরুরি হচ্ছে ধৈর্য ও নিয়ম মানা। আমি এমিলকে শুরু থেকেই শিডিউল স্প্রে, সঠিক সময়ে ট্রেনিং ও প্রুনিং এবং অনুখাদ্য ব্যবস্থাপনায় পরামর্শ দিয়েছি। আঙুরের গাছে ম্যাগনেসিয়াম, আয়রন বা জিঙ্কের সামান্য ঘাটতিও ফলন কমিয়ে দেয়। এটা জানতে হলে গাছের ভাষা বুঝতে হয়।’
টিস্যুকালচার ও হর্টিকালচার সেন্টার উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) তালহা জুবাইর মাসরুর বলেন, ‘আঙুর চাষ এখন আর স্বপ্ন নয়, বাস্তব। বাংলাদেশের জলবায়ুতে উপযোগী জাত নির্বাচন করে যদি প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি ও উদ্যোক্তাদের সঙ্গে কাজ করা যায়, তাহলে আঙুর হতে পারে আমাদের অন্যতম অর্থকরী ফল।’
তিনি আরও বলেন, ‘সঠিক পরিচর্যা যেমন- সময়মতো প্রুনিং ও ট্রেনিং, বর্ষাকালে পানি নিষ্কাশন, পাউডারি মিলডিউ ও থ্রিপস প্রতিরোধে স্প্রে, অনুখাদ্য প্রয়োগ এগুলো ঠিকভাবে মানলেই ফলন ভালো হয়।’
চৌগাছার বাইকুনুর খামার হয়তো দেশের প্রথম আঙুর খামার নয়, কিন্তু এটা এমন এক খামারের প্রতীক, যা বলে; মিষ্টি আঙুর বাংলাদেশে সম্ভব। যাকে এক সময় ‘বিদেশি ফল’ বলে দূরে রেখেছিল সেটাই এখন ঘরের আঙিনায় হাসছে।
এই গল্প শুধু একটি জাত বা একজন কৃষকের নয়, বরং এটি বাংলাদেশের তরুণ কৃষির নবজাগরণের গল্প, যেখানে প্রযুক্তি, উদ্ভাবন আর সাহস যোগাচ্ছে অপার সম্ভবনা।