কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গ্রামের বাড়ির জন্য ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯২০ টাকায় কিনে সেগুনবাগিচা এলাকার বাসায় ফিরছেন মো. ওসমান গনি। তিনি মূলত পেশায় একজন রিকশাচালক, বাড়ি সিরাজগঞ্জ। তিনি সংবাদকে জানালেন, ‘রোজার মাসেও লিয়া গেছি সাড়ে ৮০০ টাকায়। এখন ৭০ টাকা বাড়ইচে।’
তিনি বলেন, ‘এখন দুই মাসে ৭০ টাকা বাড়ছে। আর দুই মাস যাইবে ৭০ টাকা বাড়বে। আরও ২ মাস যাইবে, আরও ১০০ টাকা বাড়বে। এইভাবে খালি বাড়তেই থাকবে। জিনিসপাতির দামেই ডবল।’
খেদের সঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যে টাকা ইনকাম হয়, বাড়িতে গেলে তা আর থাকে না, খরচ হয়ে যায়।
আরও যোগ করেন, ‘শান্তি নাই। কার কাছ থাকি কে দেশ কাইড়া নিয়া কোটিপতি হবো, বাড়ি-গাড়ি করবো এই ধান্দা।’
টিসিবির ঢাকা মহানগরীর শুক্রবারের বাজারদরের হিসেবে ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনতে তেল বিক্রি হয়েছে ৯১০ থেকে ৯২০ টাকা। একই পরিমাণ সয়াবিন তেল এক বছর আগে বিক্রি হয়েছিল ৭৯০ থেকে ৮১৫ টাকায়।
রাজধানীর বাজারগুলোতে এখনও চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে মাংস। বাজারভেদে এককেজি গরুর মাংস কিনতে পড়ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা আর খাসির মাংস ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা। দেশি মুরগি কেজি ৬৫০ টাকায়। তবে, ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।
বাড়ছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। এক ডজন কিনতে পড়ছে ১৪০ টাকা, আর পাড়া মহল্লায় ১৪৫ টাকায়। যা দুই সপ্তাহ আগেও পাওয়া যেত ১৩০ টাকায়।
শুক্রবার,(৩০ মে ২০২৫) রাজধানী সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারে এক কেজি গরুর মাংস সদাই করে অন্য পণ্য দেখছেন মারিয়া। তার কাছে দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘দাম বেশি, কেজি পড়লো ৮০০ টাকা। এখন আর দেশে শান্তি আছে? খাতে হবে, ভালো-মন্দ যা পাই (দাম যাই হোক) তাই খাই।’
টাউনহল বাজারে কামালের মসলার দোকানে সদাই করতে এসেছেন ঝর্ণা বেগম। তিনি ছোট সাদা এলাচি ৫০ গ্রামের দাম কতো জানতে চাইলে দোকানি বললেন ২৬০ টাকা। এরপর কালো এলাচ ২৫ গ্রামের দাম জানতে চাইলেন, এবার দোকানি জানালেন ৭৫ টাকা । এররপর অর্ডার দিয়ে ওজন দিয়ে পাল্লায় তাকিয়ে যখন বুঝলেন ২৫ গ্রাম এইটুকু, তখন নিরূপায়ভাবেই দোকানিকে বললেন, আচ্ছা তাহলে ৫০ গ্রামই দেন। আর ২০ টাকার তেজপাতা দেন।’ মসলার দাম কেমন মনে হচ্ছে জানতে চাইলে ঐ দোকানে আসা ঝর্ণা বেগম সংবাদকে বলেন, ‘দাম তো আগের চেয়ে বেশি।’
ঈদ উপলক্ষে মসলার দাম কমা-বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দোকানি কামাল সংবাদকে বলেন, ‘কাল মার্কেটে গেলে জানতে পারবো।’ ‘কালো এলাচ ৩০০ টাকা, দারুচিনি ১০০ গ্রাম ৬০ টাকা, লং ১৪০ টাকা, কালো গোল মরিচ ১৩০ টাকা, জিরা কেজি ৬৫০ টাকায়,’ বিক্রি করছেন বলে জানান তিনি।
বোরোর ভরা মৌসুম চললেও রাজধানীর বাজারগুলোতে আশানুুরুপ কমেনি দাম। নতুনে সামান্য কমলেও পুরান চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারের আসা নতুন মিনিকেট নামক চাল বাজারভেদে খুচরায় বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০ টাকা আর পুরাতন মিনিকেট ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। নতুন বিআর আটাশ ৬২ থেকে ৬৫ টাকা আর নতুন মোটা চাল ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায়।
চালের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে টাউনহল বাজারের খুচরায় চাল বিক্রেতা রিয়াদ সংবাদকে বলেন, ‘চালের শ্যাষ নাই, ‘যেমন তেরো জাতের মানুষ আছে, তেমনি তেরো জাতের চালও আছে। ডায়মন্ড ব্যান্ডের নতুন মিনিকেট চাল কেজি ৮০ টাকা আর পুরাতনটা নিলে ৯০ টাকা পড়বে। নতু স্বর্ণা কেজি ৫৫ টাকা।’
একই বাজারের রামগঞ্জ রাইস এজেন্সির বিক্রেতা সেলিম সংবাদকে বলেন, ‘ চালের বাজার এখনও স্বভাবিক হয়নি। যারা আগে এক গাড়ি মাল উঠাইতো তারা এখন ৩০-৪০ বস্তা মাল তুলছে। ঈদের পর বাজার কিছুটা বোঝা যাবে।’
টিসিবির এক বছর আগে ঢাকা মহানগরীর বাজারদরে সরু চাল কেজি ৬০ থেকে ৭৬ টাকা, মাঝারি ৫২ থেকে ৫৮ টাকা আর মোটা ৪৮ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে টিসিবির ঢাকা মহানগরীর শুক্রবারের বাজারদরের হিসাবে সরু চাল কেজি ৭২ থেকে ৮০ টাকা, মাঝারি ৫৬ থেকে ৬২ টাকা আর মোটা ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়। যদিও রাজধানীর খোলা বাজারগুলোতে খুচরায় টিসিবির দামের চেয়েও বেশি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সবজির দাম গত সপ্তাহের মতোই আছে জানিয়ে ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা ইবরাহিম সংবাদকে বলেন, ‘পটোল-ঝিঙ্গা-চিচিঙ্গা-ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বেগুন-বরবটি-করোলা ৮০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১২০ টাকা টমেটো ৮০ টাকা, আলু ২৫ টাকা। একপিচ বাঁধাকপি-ফুলকপি-লাউ-জালি-কুমড়া ৬০ টাকায় বিক্রি করছি।’
মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারের উত্তরপাশে রাস্তার ধারে বটগাছের নিচে আদা রসুন-পেঁয়াজ-শুকনো মরিচ বিক্রি করছেন আবু তালেব। এসব পণ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে জানিয়ে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা আর আমদানি আর ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৮০ টাকা। দেশি রসুন আমার কাছে যেটা আছে সেটা বাছাই করা, কেজি ২০০ টাকা। ১২০ টাকাতেও পাবেন সেটা আমার কাছে নাই। আর আমদানি রসুন ২৪০ টাকা। আর এক দানার রসুন ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। ইন্ডিয়ান আদা ২০০ টাকা, চায়না ২৪০ আর দেশি খাগড়াছড়ির ৪০০ টাকা। সুট মরিচ একটা ৩০০ টাকা আরেকটা ৪০০ টাকা।’
শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
কোরবানির ঈদ সামনে রেখে গ্রামের বাড়ির জন্য ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ৯২০ টাকায় কিনে সেগুনবাগিচা এলাকার বাসায় ফিরছেন মো. ওসমান গনি। তিনি মূলত পেশায় একজন রিকশাচালক, বাড়ি সিরাজগঞ্জ। তিনি সংবাদকে জানালেন, ‘রোজার মাসেও লিয়া গেছি সাড়ে ৮০০ টাকায়। এখন ৭০ টাকা বাড়ইচে।’
তিনি বলেন, ‘এখন দুই মাসে ৭০ টাকা বাড়ছে। আর দুই মাস যাইবে ৭০ টাকা বাড়বে। আরও ২ মাস যাইবে, আরও ১০০ টাকা বাড়বে। এইভাবে খালি বাড়তেই থাকবে। জিনিসপাতির দামেই ডবল।’
খেদের সঙ্গে তিনি বলেন, ঢাকা শহরে যে টাকা ইনকাম হয়, বাড়িতে গেলে তা আর থাকে না, খরচ হয়ে যায়।
আরও যোগ করেন, ‘শান্তি নাই। কার কাছ থাকি কে দেশ কাইড়া নিয়া কোটিপতি হবো, বাড়ি-গাড়ি করবো এই ধান্দা।’
টিসিবির ঢাকা মহানগরীর শুক্রবারের বাজারদরের হিসেবে ৫ লিটার বোতলজাত সয়াবিনতে তেল বিক্রি হয়েছে ৯১০ থেকে ৯২০ টাকা। একই পরিমাণ সয়াবিন তেল এক বছর আগে বিক্রি হয়েছিল ৭৯০ থেকে ৮১৫ টাকায়।
রাজধানীর বাজারগুলোতে এখনও চড়াদামে বিক্রি হচ্ছে মাংস। বাজারভেদে এককেজি গরুর মাংস কিনতে পড়ছে ৭৫০ থেকে ৭৮০ টাকা আর খাসির মাংস ১২০০ থেকে ১২৫০ টাকা। দেশি মুরগি কেজি ৬৫০ টাকায়। তবে, ব্রয়লার মুরগি পাওয়া যাচ্ছে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।
বাড়ছে ফার্মের মুরগির ডিমের দাম। এক ডজন কিনতে পড়ছে ১৪০ টাকা, আর পাড়া মহল্লায় ১৪৫ টাকায়। যা দুই সপ্তাহ আগেও পাওয়া যেত ১৩০ টাকায়।
শুক্রবার,(৩০ মে ২০২৫) রাজধানী সেগুনবাগিচা কাঁচা বাজারে এক কেজি গরুর মাংস সদাই করে অন্য পণ্য দেখছেন মারিয়া। তার কাছে দামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘দাম বেশি, কেজি পড়লো ৮০০ টাকা। এখন আর দেশে শান্তি আছে? খাতে হবে, ভালো-মন্দ যা পাই (দাম যাই হোক) তাই খাই।’
টাউনহল বাজারে কামালের মসলার দোকানে সদাই করতে এসেছেন ঝর্ণা বেগম। তিনি ছোট সাদা এলাচি ৫০ গ্রামের দাম কতো জানতে চাইলে দোকানি বললেন ২৬০ টাকা। এরপর কালো এলাচ ২৫ গ্রামের দাম জানতে চাইলেন, এবার দোকানি জানালেন ৭৫ টাকা । এররপর অর্ডার দিয়ে ওজন দিয়ে পাল্লায় তাকিয়ে যখন বুঝলেন ২৫ গ্রাম এইটুকু, তখন নিরূপায়ভাবেই দোকানিকে বললেন, আচ্ছা তাহলে ৫০ গ্রামই দেন। আর ২০ টাকার তেজপাতা দেন।’ মসলার দাম কেমন মনে হচ্ছে জানতে চাইলে ঐ দোকানে আসা ঝর্ণা বেগম সংবাদকে বলেন, ‘দাম তো আগের চেয়ে বেশি।’
ঈদ উপলক্ষে মসলার দাম কমা-বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে দোকানি কামাল সংবাদকে বলেন, ‘কাল মার্কেটে গেলে জানতে পারবো।’ ‘কালো এলাচ ৩০০ টাকা, দারুচিনি ১০০ গ্রাম ৬০ টাকা, লং ১৪০ টাকা, কালো গোল মরিচ ১৩০ টাকা, জিরা কেজি ৬৫০ টাকায়,’ বিক্রি করছেন বলে জানান তিনি।
বোরোর ভরা মৌসুম চললেও রাজধানীর বাজারগুলোতে আশানুুরুপ কমেনি দাম। নতুনে সামান্য কমলেও পুরান চাল আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারের আসা নতুন মিনিকেট নামক চাল বাজারভেদে খুচরায় বিক্রি হচ্ছে কেজি ৮০ টাকা আর পুরাতন মিনিকেট ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। নতুন বিআর আটাশ ৬২ থেকে ৬৫ টাকা আর নতুন মোটা চাল ৫৫ থেকে ৫৮ টাকায়।
চালের দামের বিষয়ে জানতে চাইলে টাউনহল বাজারের খুচরায় চাল বিক্রেতা রিয়াদ সংবাদকে বলেন, ‘চালের শ্যাষ নাই, ‘যেমন তেরো জাতের মানুষ আছে, তেমনি তেরো জাতের চালও আছে। ডায়মন্ড ব্যান্ডের নতুন মিনিকেট চাল কেজি ৮০ টাকা আর পুরাতনটা নিলে ৯০ টাকা পড়বে। নতু স্বর্ণা কেজি ৫৫ টাকা।’
একই বাজারের রামগঞ্জ রাইস এজেন্সির বিক্রেতা সেলিম সংবাদকে বলেন, ‘ চালের বাজার এখনও স্বভাবিক হয়নি। যারা আগে এক গাড়ি মাল উঠাইতো তারা এখন ৩০-৪০ বস্তা মাল তুলছে। ঈদের পর বাজার কিছুটা বোঝা যাবে।’
টিসিবির এক বছর আগে ঢাকা মহানগরীর বাজারদরে সরু চাল কেজি ৬০ থেকে ৭৬ টাকা, মাঝারি ৫২ থেকে ৫৮ টাকা আর মোটা ৪৮ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এক বছরের ব্যবধানে টিসিবির ঢাকা মহানগরীর শুক্রবারের বাজারদরের হিসাবে সরু চাল কেজি ৭২ থেকে ৮০ টাকা, মাঝারি ৫৬ থেকে ৬২ টাকা আর মোটা ৫২ থেকে ৫৫ টাকায়। যদিও রাজধানীর খোলা বাজারগুলোতে খুচরায় টিসিবির দামের চেয়েও বেশি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
সবজির দাম গত সপ্তাহের মতোই আছে জানিয়ে ওই বাজারের সবজি বিক্রেতা ইবরাহিম সংবাদকে বলেন, ‘পটোল-ঝিঙ্গা-চিচিঙ্গা-ঢেঁড়স ৬০ টাকা, বেগুন-বরবটি-করোলা ৮০ টাকা, গাজর ৮০ থেকে ১২০ টাকা টমেটো ৮০ টাকা, আলু ২৫ টাকা। একপিচ বাঁধাকপি-ফুলকপি-লাউ-জালি-কুমড়া ৬০ টাকায় বিক্রি করছি।’
মোহাম্মদপুর টাউনহল বাজারের উত্তরপাশে রাস্তার ধারে বটগাছের নিচে আদা রসুন-পেঁয়াজ-শুকনো মরিচ বিক্রি করছেন আবু তালেব। এসব পণ্য আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে জানিয়ে তিনি সংবাদকে বলেন, ‘দেশি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা আর আমদানি আর ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৮০ টাকা। দেশি রসুন আমার কাছে যেটা আছে সেটা বাছাই করা, কেজি ২০০ টাকা। ১২০ টাকাতেও পাবেন সেটা আমার কাছে নাই। আর আমদানি রসুন ২৪০ টাকা। আর এক দানার রসুন ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা। ইন্ডিয়ান আদা ২০০ টাকা, চায়না ২৪০ আর দেশি খাগড়াছড়ির ৪০০ টাকা। সুট মরিচ একটা ৩০০ টাকা আরেকটা ৪০০ টাকা।’