alt

জাতীয়

ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় মাত্র একটি দল: মুহাম্মদ ইউনূস

সংবাদ ডেস্ক : শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

বাংলাদেশের সব দল নয়, মাত্র একটি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন চায় বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বৃহস্পতিবার টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে ৩০তম নিক্কেই ফোরাম ‘ফিউচার অব এশিয়া’র উদ্বোধনী অধিবেশনের মূল বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খবর জাপান টাইমসের। মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমার কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। মানুষের ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা, মর্যাদা নিশ্চিত এবং গণতন্ত্র মসৃণ রূপান্তরের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন এ তিনটি দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকার পালন করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে কিনা, তা নির্ভর করছে সংস্কার কতটুকু সম্পন্ন হয়, এর ওপর। ডিসেম্বরে নির্বাচন দেয়া নিয়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলই বলছে, কিন্তু সব দল নয়। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর। ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে গেলে তাড়াহুড়ো করে সংস্কার করতে হবে। ভালো করে সংস্কারের জন্য ডিসেম্বরের পর আরও ৬ মাস প্রয়োজন। নির্বাচিত দলের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চাই। অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা এ সরকারের মূল লক্ষ্য

দেশের মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণ করা।

‘উত্তাল বিশ্বে এশিয়ার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বক্তব্যে মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, সমাজের অভ্যন্তরে, এমনকি নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আস্থা হ্রাস পাচ্ছে। বিশ্ব ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, আমরা এক গভীর অনিশ্চিত সময় পার করছি। আমরা এমন একটি বিশ্বকে প্রত্যক্ষ করছি যেখানে শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে, উত্তেজনা বাড়ছে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা সবসময় নিশ্চিত থাকছে না। এশিয়া ও তার বাইরের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে এবং শান্তি দিন দিন অধরা হয়ে উঠছে। ইউক্রেন, গাজা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যুদ্ধ ও মানবসৃষ্ট সংঘাত হাজারো মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারে গৃহযুদ্ধ এক নির্মম রূপ নিয়েছে এবং সাম্প্রতিক ভূমিকম্প এর গভীর মানবিক সংকটকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি আমাদের দুই প্রতিবেশীর মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু ব্যয়বহুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আমরা কোটি কোটি টাকা যুদ্ধের পেছনে ব্যয় করছি অথচ লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে বা ন্যূনতম চাহিদার জন্য লড়াই করছে।’ তিনি যুদ্ধবিরতির জন্য উভয় দেশের নেতাদের ধন্যবাদ জানান এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সহাবস্থানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ বেড়ে যাওয়ায় মুক্তবাণিজ্য ব্যবস্থার ভিত্তি চ্যালেঞ্জের মুখে এবং আর্থিক বৈষম্য সমাজে বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন বিভাজনের কারণে অসন্তোষ ও অস্থিরতা দেখা গেছে, যা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন ডেকে এনেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বহুমুখী অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এবং মানবিক কারণে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের আবাসস্থল এশিয়া অনিশ্চয়তার কেন্দ্রস্থলে, একই সঙ্গে সম্ভাবনারও কেন্দ্রে। আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো বিশাল, কিন্তু আমাদের সম্মিলিত শক্তিও বিশাল। এ বাস্তবতায়, আমি বিশ্বাস করি এশিয়ার সামনে একটি সুযোগ, এমনকি একটি দায়িত্ব রয়েছে ভিন্ন পথ দেখানোর : শান্তির, সংলাপের, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের। শুধু সংখ্যাগত নয়, মানুষের কল্যাণ, আস্থা ও আশার উন্নয়ন।’

তিনি বলেন, এশিয়ার ভবিষ্যৎ কেবল অর্থনীতি বা ভূরাজনীতির বিষয় নয়, এটি মানুষের, ভাবনার এবং সাহসের বিষয়। ভয়ের দ্বারা নয়, সম্ভাবনার দ্বারা; শক্তির দ্বারা নয়, উদ্দেশ্যের দ্বারা পরিচালিত হই। চলুন, একটি উত্তম বিশ্বের কল্পনা করতে সাহসী হই। চলুন, একে অপরের প্রতি আস্থা রাখি। চলুন, শুধু প্রয়োজনীয়তার কারণে নয়, বরং আন্তরিক ইচ্ছে থেকে একে অপরকে সহযোগিতা করি। এশিয়ার ভবিষ্যৎ এখনও লেখা হয়নি আমরাই তা একসঙ্গে লিখব। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও জাপান একসঙ্গে কাজ করে এশিয়ার ভাগ্য এমনকি বিশ্বের ভাগ্যও পুনর্লিখন করতে পারে।

নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিলের রায় রোববার

বিশেষ অভিযানে সারাদেশে গ্রেপ্তার ৯০০

স্রোতে ডুবে খাগড়াছড়ি ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ৩ জনের মৃত্যু

ছবি

ভালুকার রসালো কাঁঠাল যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন জেলায়

ছবি

‘নিরাপত্তায় ব্যর্থ’ উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি ঢাবি ছাত্রদলের

ছবি

মিনিমাম সংস্কার করে ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দাবি সিপিবির

ডেঙ্গুতে মে মাসে আক্রান্ত ১,৭৭৩ জন

ছবি

ঝুঁকিতে মনু ও ধলই নদীর ৮টি পয়েন্ট

ছবি

মজুদ, ব্যয় বৃদ্ধি, মসলার দাম চড়া চট্টগ্রামে

জিএম কাদেরের বাসায় হামলা রংপুরে জাতীয় পার্টির বিক্ষোভ

রাজধানীতে অস্ত্রের মহড়া, গণপিটুনিতে নিহত ২

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল আজ: চিফ প্রসিকিউটর

ছবি

বায়ুদূষণ মোকাবিলায় সরকার তিনটি বড় উদ্যোগ নিয়েছে: পরিবেশ উপদেষ্টা

ছবি

নতুন ফ্যাসিবাদের আগমন ধ্বনি শোনা যাচ্ছে: আনু মুহাম্মদ

আগামীকাল প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির বৈঠক

ছবি

সিলেটে ধেয়ে আসছে বন্যা, জলাবদ্ধতায় অচল নগর

ছবি

সোমবার বাজেট, উপস্থাপন টিভিতে

ছবি

সিলেট-ময়মনসিংহে নদীর পানি বৃদ্ধির আশঙ্কা, বন্যা সতর্কতা জারি

ছবি

জুলাইয়ে আহত-কর্মচারীদের সংঘর্ষ: ৪ দিন ধরে বন্ধ চক্ষুবিজ্ঞানে সেবা, দুর্ভোগে রোগীরা

ছবি

গুরুত্ব হারাল স্থল সুস্পষ্ট লঘুচাপ, সংকেত নামিয়েছে আবহাওয়া অফিস

ছবি

জাপান সফর শেষে দেশের পথে প্রধান উপদেষ্টা

ছবি

জাপানের সাথে এ বছরই অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষরের পরিকল্পনা বাংলাদেশের

চেয়ারম্যানকে অপসারণ: সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ

দিনাজপুরে চাঁদাবাজির সময় এনসিপি নেতা আটক

দম্পতিকে হত্যার পর ‘ভিডিও কলে স্বজনদের লাশ দেখায়’ গাউস

রাজধানীতে অপহরণকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার

ইসলামী ধারার সঙ্গে ন্যাশনাল ব্যাংক একীভূত হওয়ার সুযোগ নেই: কেন্দ্রীয় ব্যাংক

ছবি

কমলগঞ্জ ও জুড়ি সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে ২৯ জনকে পুশইন

ছবি

আনোয়ারায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তীরে এসে আটকে গেল কয়লাবাহী জাহাজ

ছবি

গভীর নিম্নচাপ: নোয়াখালীর অধিকাংশ এলাকা বিদ্যুৎবিহীন

ছবি

কক্সবাজার উপকূলের অর্ধশত গ্রাম প্লাবিত, পানিবন্দী সেন্টমার্টিন

অন্তর্বর্তী সরকার জামায়াতের স্বার্থকে সংরক্ষণ করেছে, আজহারের মুক্তিতে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি প্রতিক্রিয়া

চক্ষুবিজ্ঞান হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা বন্ধ, ভোগান্তিতে রোগীরা

ট্রাম্প আরোপিত শুল্ক আপাতত বহাল আপিল আদালতে

ছবি

ভারী বৃষ্টির আভাস, ভূমিধসের শঙ্কা

একটি দল ছাড়া কোনো দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় না, তা সঠিক নয়: গণফোরাম

tab

জাতীয়

ডিসেম্বরে নির্বাচন চায় মাত্র একটি দল: মুহাম্মদ ইউনূস

সংবাদ ডেস্ক

শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫

বাংলাদেশের সব দল নয়, মাত্র একটি রাজনৈতিক দল ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন চায় বলে দাবি করেছেন প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল বৃহস্পতিবার টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে ৩০তম নিক্কেই ফোরাম ‘ফিউচার অব এশিয়া’র উদ্বোধনী অধিবেশনের মূল বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। খবর জাপান টাইমসের। মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আমার কোনো রাজনৈতিক অভিলাষ নেই। নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই আমার প্রধান লক্ষ্য। মানুষের ন্যায়বিচার, সমতা, স্বাধীনতা, মর্যাদা নিশ্চিত এবং গণতন্ত্র মসৃণ রূপান্তরের লক্ষ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য সাধারণ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার।

সংস্কার, বিচার এবং নির্বাচন এ তিনটি দায়িত্ব অন্তর্বর্তী সরকার পালন করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ডিসেম্বরে নির্বাচন হবে কিনা, তা নির্ভর করছে সংস্কার কতটুকু সম্পন্ন হয়, এর ওপর। ডিসেম্বরে নির্বাচন দেয়া নিয়ে একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলই বলছে, কিন্তু সব দল নয়। ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন করতে সরকার বদ্ধপরিকর। ডিসেম্বরে নির্বাচন করতে গেলে তাড়াহুড়ো করে সংস্কার করতে হবে। ভালো করে সংস্কারের জন্য ডিসেম্বরের পর আরও ৬ মাস প্রয়োজন। নির্বাচিত দলের হাতে দায়িত্ব ছেড়ে দিতে চাই। অনেক চড়াই-উৎরাইয়ের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা এ সরকারের মূল লক্ষ্য

দেশের মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণ করা।

‘উত্তাল বিশ্বে এশিয়ার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক বক্তব্যে মুহাম্মদ ইউনূস আরও বলেন, সমাজের অভ্যন্তরে, এমনকি নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আস্থা হ্রাস পাচ্ছে। বিশ্ব ক্রমেই অস্থির হয়ে উঠছে। তিনি বলেন, আমরা এক গভীর অনিশ্চিত সময় পার করছি। আমরা এমন একটি বিশ্বকে প্রত্যক্ষ করছি যেখানে শান্তি বিনষ্ট হচ্ছে, উত্তেজনা বাড়ছে এবং পারস্পরিক সহযোগিতা সবসময় নিশ্চিত থাকছে না। এশিয়া ও তার বাইরের বিভিন্ন অঞ্চলে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে এবং শান্তি দিন দিন অধরা হয়ে উঠছে। ইউক্রেন, গাজা এবং দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যুদ্ধ ও মানবসৃষ্ট সংঘাত হাজারো মানুষের জীবন ও জীবিকা ধ্বংস করে দিচ্ছে।

তিনি বলেন, আমাদের প্রতিবেশী দেশ মায়ানমারে গৃহযুদ্ধ এক নির্মম রূপ নিয়েছে এবং সাম্প্রতিক ভূমিকম্প এর গভীর মানবিক সংকটকে আরও অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সম্প্রতি আমাদের দুই প্রতিবেশীর মধ্যে একটি সংক্ষিপ্ত কিন্তু ব্যয়বহুল যুদ্ধ সংঘটিত হয়েছে। অত্যন্ত দুঃখজনক যে, আমরা কোটি কোটি টাকা যুদ্ধের পেছনে ব্যয় করছি অথচ লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে বা ন্যূনতম চাহিদার জন্য লড়াই করছে।’ তিনি যুদ্ধবিরতির জন্য উভয় দেশের নেতাদের ধন্যবাদ জানান এবং দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সহাবস্থানের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

তিনি বলেন, বাণিজ্যিক বিধিনিষেধ বেড়ে যাওয়ায় মুক্তবাণিজ্য ব্যবস্থার ভিত্তি চ্যালেঞ্জের মুখে এবং আর্থিক বৈষম্য সমাজে বেড়েই চলেছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ায় এমন বিভাজনের কারণে অসন্তোষ ও অস্থিরতা দেখা গেছে, যা শাসনব্যবস্থার পরিবর্তন ডেকে এনেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, বহুমুখী অভ্যন্তরীণ চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও, বাংলাদেশ বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তায় ভূমিকা রাখছে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা ও শান্তি প্রতিষ্ঠা মিশনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এবং মানবিক কারণে মায়ানমার থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়ে।

মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি মানুষের আবাসস্থল এশিয়া অনিশ্চয়তার কেন্দ্রস্থলে, একই সঙ্গে সম্ভাবনারও কেন্দ্রে। আমাদের চ্যালেঞ্জগুলো বিশাল, কিন্তু আমাদের সম্মিলিত শক্তিও বিশাল। এ বাস্তবতায়, আমি বিশ্বাস করি এশিয়ার সামনে একটি সুযোগ, এমনকি একটি দায়িত্ব রয়েছে ভিন্ন পথ দেখানোর : শান্তির, সংলাপের, অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের। শুধু সংখ্যাগত নয়, মানুষের কল্যাণ, আস্থা ও আশার উন্নয়ন।’

তিনি বলেন, এশিয়ার ভবিষ্যৎ কেবল অর্থনীতি বা ভূরাজনীতির বিষয় নয়, এটি মানুষের, ভাবনার এবং সাহসের বিষয়। ভয়ের দ্বারা নয়, সম্ভাবনার দ্বারা; শক্তির দ্বারা নয়, উদ্দেশ্যের দ্বারা পরিচালিত হই। চলুন, একটি উত্তম বিশ্বের কল্পনা করতে সাহসী হই। চলুন, একে অপরের প্রতি আস্থা রাখি। চলুন, শুধু প্রয়োজনীয়তার কারণে নয়, বরং আন্তরিক ইচ্ছে থেকে একে অপরকে সহযোগিতা করি। এশিয়ার ভবিষ্যৎ এখনও লেখা হয়নি আমরাই তা একসঙ্গে লিখব। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও জাপান একসঙ্গে কাজ করে এশিয়ার ভাগ্য এমনকি বিশ্বের ভাগ্যও পুনর্লিখন করতে পারে।

back to top